মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে অর্থ ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল। বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলও বিজেপির বিশাল বাজেটের নির্বাচনের সমালোচনা করেছিল। এবার দেশটির ব্যালান্স শিট বলছে, বিজেপির সম্পত্তির পরিমাণ ক্রমবর্ধমান। জাতীয় রাজনীতিতে ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু শক্তিতে পরিণত হলেও বহুজন সমাজবাদী পার্টি (বিএসপি) সম্পদের নিরিখে দেশে তৃতীয় বৃহত্তর দল। তবে, মমতা ব্যানার্জি নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল সে-সব থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরেই রয়েছে। কারণ, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে তাদের সম্পত্তির পরিমাণ মাত্র ২৯ দশমিক ১ কোটি ভারতীয় টাকা।
বুধবার (৩১ জুলাই) অ্যাসোসিয়েশন অব ডেমোক্র্যাটিক রিসার্চ (এডিআর) দেশটির সাতটি সর্বভারতীয় দলের সম্পত্তির হিসেব প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৬-১৭ সালের তুলনায় ২০১৭-১৮ সালে বিজেপির সম্পত্তির পরিমাণ ২৭০ কোটি টাকা বেড়েছে। ২০১৬-১৭ সালে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের দলের সম্পত্তি ছিল ১২১৩ দশমিক ১৩ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১৪৮৩ দশমিক ৩৫ কোটি।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা কংগ্রেসের সম্পত্তির পরিমাণ ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ কমেছে। ২০১৬-১৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশের শত বছরের পুরানো দলটির সম্পত্তি ছিল ৮৫৪ দশমিক ৭৫ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭২৪ দশমিক ৩৫ কোটি। সংসদে বা বিধানসভায় শক্তি হ্রাস পেলেও সম্পত্তি বৃদ্ধিতে অবশ্য অসুবিধা হয়নি বিএসপি-র। ২০১৭-১৮ সালে তাদের সম্পত্তির পরিমাণ হয়েছে ৭১৬ দশমিক ৭২ কোটি টাকা। সম্পত্তি নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলির সম্পত্তির নিরিখে তৃতীয় স্থানে মায়াবতী নেতৃত্বাধীন এই দল। অথচ ২০১৬-১৭ সালে তা ছিল ৬৮০ দশমিক ৬৩ কোটি টাকা।
ভোটে রক্তরক্ষণ ক্রমশ বাড়লেও সম্পত্তির নিরিখে দেশে চতুর্থ স্থানে সিপিএম। ২০১৭-১৮ সালে তাদের সম্পত্তি পরিমাণ ৪৮২ দশমিক ১ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭ সালে তা ছিল ৪৬৩ দশমিক ৭৬ কোটি। কয়েক দিন আগেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, তারা গরিবেব পার্টি। এডিআর-এর হিসেব সেই বক্তব্যকেই আরও জোরালো করছে। কারণ, এক বছরের ব্যবধানে তিন কোটির কম সম্পত্তি বেড়েছে মমতার দলের। ২০১৬-১৭ সালে জোড়াফুলের সম্পত্তি ছিল ২৬ দশমিক ২৫ কোটি টাকা যা সামান্য বেড়ে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে দাঁড়ায় মাত্র ২৯ দশমিক ১ কোটি টাকায়।
সম্পত্তির নিরিখে মোদীর দলের তুলনায় সোনিয়া-রাহুল গান্ধীদের দল ক্রমশ পিছোলেও ঋণের ক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে আছে। ২০১৭-১৮ সালে কংগ্রেসের ঋণের পরিমাণ ৩২৪ দশমিক ২ কোটি টাকা। বিজেপির মাত্র ২১ দশমিক ৩৮ কোটি। এ ক্ষেত্রে পদ্ম শিবিরের কাছেই রয়েছে তৃণমূল। তাদের ঋণ ১০ দশমিক ৬৫ কোটি টাকা। সর্বভারতীয় দলের ক্ষেত্রে সব চেয়ে কম ঋণ বিএসপি-র। ২০১৭-১৮ সালে তাদের ঋণ ১ দশমিক ৭৫ কোটি টাকা।
অনেক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকের মতে, দীর্ঘ পাঁচ দশকের বেশি সময় দেশের শাসনক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। তাই বিজেপির তুলনায় কংগ্রেসের সম্পত্তির পরিমাণ এত কম হওয়ার কথা নয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে কংগ্রেসের দামি সম্পত্তি রয়েছে। যদিও সেই সম্পত্তির সবটা এখন শতাব্দীপ্রাচীন দলের অধীনে নেই। আর তৃণমূল নামের সামনে সর্বভারতীয় দলের তকমা থাকলেও আদতে মমতার দলের কর্মকাণ্ড পশ্চিমবঙ্গেই সীমাবদ্ধ। ফলে সম্পত্তির পরিমাণ খুব বেশি বাড়ার সুযোগ নেই মমতার জোড়াফুলের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।