Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মিয়ানমার নৌবাহিনীর প্রশিক্ষণের জন্য সাবমেরিন দিচ্ছে ভারত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০১৯, ৫:৫৭ পিএম

মিয়ানমারকে প্রথমবারের মতো একটি কিলো-ক্লাস সাবমেরিন দেবে ভারত। দেশীয়ভাবে মেরামতের কাজ শেষ হওয়ার পর চলতি বছরের শেষ দিকে এটি মিয়ানমারে পাঠানো হতে পারে। আগামীতে নিজস্ব সাবমেরিন বহর তৈরির চেষ্টা করছে মিয়ানমার। ভারতের সাবমেরিন আইএনএস সিন্ধুবীর প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহার করবে মিয়ানমার নৌবাহিনী।

ভারত ১৯৮০’র দশকে এই কিলো-ক্লাস সাবমেরিন রাশিয়া থেকে সংগ্রহ করে। বর্তমানে হিন্দুস্তান শিপইয়ার্ড লি (এইচএসএল)-এ সাবমেরিনটির আধুনিকায়নের কাজ করছে বলে জানা গেছে, যা চলতি বছরের মধ্যেই শেষ হওয়ার কথা।

সূত্র জানায় যে, মূল নির্মাতা রাশিয়ার কাছ থেকে এটি ভারতে সংস্কারের অনুমতি নেয়া হয়েছে। পরে তা মিয়ানমার নৌবাহিনীর প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হবে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারত ও মিয়ানমাররের মধ্যে বেশ কিছু উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময় হচ্ছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী প্রধান সিনিয়র জেনারেল ম্লিন অং লাই এখন সরকারি সফরে ভারতে রয়েছেন।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায় যে মিয়ানমার সেনাপ্রধানের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা জোরদার, মিয়ানমার প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে যৌথ মহড়া ও প্রশিক্ষণ পর্যালোচনা, যৌথ নজরদারি ও সামর্থ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে সামুদ্রিক নিরাপত্তা জোরদার করা এবং নতুন অবকাঠামো গড়ে তোলা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) আওতায় মিয়ানমারকে সাবমেরিন সরবরাহ করা হতে পারে। বিগত কয়েক বছর ধরে মিয়ানমার সেনা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার ফলশ্রুতিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সূত্র জানায়।

সামর্থ্য বৃদ্ধির অংশ হিসেবে ভারত চলতি মাসের গোড়ার দিকে মিয়ানমারকে ‘সায়েনা’ নামের এডভান্সড লাইট টর্পেডো সরবরাহ করে। ২০১৭ সালে এ ব্যাপারে ৩৮ মিলিয়ন ডলারের রফতানি চুক্তি হয়। ভারত ডায়নামিক্স লি (বিডিএল) এই টর্পেডো তৈরি করে।

এই অঞ্চলে আন্ডারওয়াটার উইপন সিস্টেম সরবরাহের জন্য চীনের ব্যাপক প্রচেষ্টার মধ্যে মিয়ানমারের সঙ্গেসাবমেরিন সরবরাহের চুক্তি করলো ভারত। সূত্র জানায়, নিজের পুরনো সাবমেরিন সরবরাহ করতে মিয়ানমারের সঙ্গে চীনও আলোচনা করছে।

২০১৭ সালে বাংলাদেশকে দুটি রিফারভিশড টাইপ ০৩৫জি (মিং ক্লাস) সাবমেরিন সরবরাহ করে চীন। এ ব্যাপারে দেশ দুটির মধ্যে ২০৩ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি হয়। ভারত এই চুক্তিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখে। এটা প্রতিবেশী দেশটির চীনের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়ার প্রমাণ।

সূত্র দাবি করে যে চীনে মিং ক্লাসের চেয়ে ভারতের কিলো ক্লাস সাবমেরিন অনেক সামর্থবান। মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তিতে তার নৌবাহিনীর প্রশিক্ষণের বিষয়টি ব্যাপকভাবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যাতে তারা ভবিষ্যতে আরো বড় বহর গড়তে পারে।

চলতি বছরের মার্চে মিয়ানমার নৌবাহিনী প্রধান কমোডর মোয়ে অং ঘোষণা দেন যে তার দেশ শিগগিরই সাবমেরিন শাখা খুলতে যাচ্ছে। মিয়ানমারের সিনিয়র সেনা অফিসাররা সম্প্রতি রাশিয়া সফর করে নতুন সাবমেরিন সংগ্রহ ও প্রশিক্ষণ নিয়ে কথা বলেন। এরই প্রেক্ষাপটে আইএনএস সিন্ধুবীর সুবিধাজনক হতে পারে। সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ