মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মুসলমানদের ‘তিন তালাক’ প্রথাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসাবে গণ্য করে বিতর্কিত একটি আইন অনুমোদন করেছে ভারতের পার্লামেন্ট। এই আইন ভঙ্গ করলে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। এই আইনের সমর্থকরা বলছেন, এর ফলে মুসলমান নারীরা আরো নিরাপদ হবেন। তবে বিরোধীদের দাবি, ফৌজদারি শাস্তির বিধানের কারণে হয়রানি এবং অপব্যবহারের সুযোগ তৈরি হবে।
প্রথা অনুযায়ী, তিন বার তালাক উচ্চারণ করে, বার্তা পাঠিয়ে বা ইমেইল করে মুসলিম স্বামী তাদের স্ত্রীকে তালাক দিতে পারতেন। ওই প্রথাকে অসাংবিধানিক বলে ২০১৭ সালে রায় দেয় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। আইনের এই প্রস্তাবটি ২০১৭ সালেই প্রথম উত্থাপন করা হয়। কিন্তু পার্লামেন্টের রাজ্যসভায় সেটি আটকে যায়, কারণ কোন কোন সংসদ সদস্য প্রস্তাবটিকে অন্যায্য বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। ভারতীয় জনতা পার্টি বিলটির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, আর প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের অবস্থান বিপক্ষে।
তিন তালাক প্রথাকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণার জন্য পিটিশন দাখিল করেছিলেন শায়রা বানু
তবে রাজ্যসভায় বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। মঙ্গলবার বেশ কয়েকজনের ওয়াক-আউট আর অনুপস্থিতিতে এই বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ৯৯ আর বিপক্ষে ভোট পড়ে ৮৪। এই ফলাফলকে ‘লৈঙ্গিক সমতার’ বিজয় বলে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে অনেকে অভিযোগ করছেন, এর মাধ্যমে হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপি আসলে মুসলমানদের লক্ষ্যবস্তু করছে।
অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন পার্টির এমপি আসাদুদ্দিন ওইসি বলেছেন, নতুন আইনটি মুসলিম সত্ত্বার ওপর বিজেপির আরেকটি আঘাত। দলটি ২০১৪ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছে।
এর আগে মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের মতো মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে তিন তালাক প্রথাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে ভারতে এই প্রথার ব্যবহার চলে আসছিল, যা বিবাহ এবং বিচ্ছেদের আইনের সঙ্গে খাপ খায় না। ২০১৮ সালের ১৯শে সেপ্টেম্বর তিন তালাক প্রথাকে একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা একটি অর্ডিন্যান্স বা নির্বাহী আদেশ জারি করে।
অনেক মুসলমান নারীও তিন তালাক নিষিদ্ধ করার আইনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন
তিনবার তালাক উচ্চারণ করে স্ত্রীকে বিবাহ বিচ্ছেদ দিলে এই আইন অনুযায়ী মুসলিম পুরুষদের তিন বছরের জেল ও আর্থিক জরিমানার বিধান থাকছে। তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর খোরপোষ পাওয়ারও অধিকার থাকবে।
গত বছরের অগাস্টে এক ঐতিহাসিক রায়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তিন তালাককে বেআইনি ও অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছিল। কিন্তু এ ব্যাপারে আইন প্রণয়নের ভার তারা ছেড়ে দিয়েছিল সরকারেরই ওপর। এরপর এই প্রথাকে শাস্তিযোগ্য করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ‘দ্য মুসলিম উইমেন প্রোটেকশন অব রাইটস ইন ম্যারেজ অ্যাক্ট’ নামে একটি বিলও আনে, যা সাধারণভাবে ‘তিন তালাক বিল’ নামেই পরিচিতি পায়। ডিসেম্বরে ওই বিলটি ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় পাস হয়ে গেলেও রাজ্যসভায় সেটি বিরোধীদের তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়ে। তবে এখন সেটি আইনে পরিণত হলো। সূত্র: বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।