নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নতুন বল কাজে লাগাতে হবে। লেংথে ধারাবাহিক হতে হবে। একই জায়গায় টানা বল ফেলে যেতে হবে। তিন বছরের মেয়াদে যতবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন কোর্টনি ওয়ালশ, এই কথাগুলো বলেছেন বারবার। বাংলাদেশের সদ্য সাবেক বোলিং কোচের কথাই শোনা গেল নতুন বোলিং কোচের কণ্ঠে। পেসারদের নতুন বলে কার্যকর ও লেংথে ধারাবাহিক দেখতে চান শার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট।
খেলোয়াড়ি জীবনে ল্যাঙ্গাভেল্ট নিজেও ছিলেন লেংথে ধারাবাহিক। যদিও নতুন বলের চেয়ে তার কার্যকারিতা পুরোনো বলেই ছিল বেশি। তবে নতুন বলের গুরুত্ব তিনি জানেন। নতুন বলে বাংলাদেশের পেসারদের সা¤প্রতিক দুর্দশার খবরও জেনেছেন। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর সঙ্গে আলাপচারিতায় বাংলাদেশের নতুন বোলিং কোচ শোনালেন, কিভাবে এগিয়ে যেতে চান পেসারদের নিয়ে, ‘সব সংস্করণেই নতুন বলে ধারাবাহিক হতে হবে। ধারাবাহিকভাবে লেংথে ফেলতে হবে বল। ওভারে অন্তত চার-পাঁচটি বল এমন জায়গায় রাখতে হবে যেন ব্যাটসম্যানকে তা ভাবায়। দেশের মাটিতে ওরা (বাংলাদেশ) বেশিরভাগ সময় হয়তো একজন বা দুজন পেসার খেলাবে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ায় গেলে তিন পেসার লাগতে পারে। আমাদের তিনজন ফিট বোলার খুঁজে বের করতে হবে, যারা ধারাবাহিকভাবে ভালো জায়গায় বল রাখবে ও লেংথে আগ্রাসী হবে।’
মুস্তাফিজুর রহমানের মতো যারা পুরোনো বলে কাটার কিংবা গতি বৈচিত্র্যের ওপর নির্ভর করেন, তাদেরকেও নতুন বলের চ্যালেঞ্জ নিতে দেখতে চান নতুন বোলিং কোচ, ‘সেরা হতে হলে নতুন বলে ধারাবাহিক হতে হবে। লেংথে ধারাবাহিক হতে হবে। মুস্তাফিজের গতি বৈচিত্র্য ভালো, কিন্তু নতুন বলে সেটি করা কঠিন। অনেক সময়ই উইকেট গ্রিপ করবে না। আমার মতে গুরুত্বপূর্ণ হলো সিম পজিশন ভালো ও সোজা রাখা। সে অনেক অফ কাটার ব্যবহার করে। তবে আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হবে ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের জন্য বল ভেতরে ঢোকানো, বাঁহাতিদের জন্য বাইরে নিয়ে যাওয়া।’
টেস্টে দেশের মাটিতে বাংলাদেশের পেসারদের খেলার সুযোগই থাকে সামান্য। দেশের বাইরে যখন সুযোগ আসে, বেশির ভাগ সময়ই পারফরম্যান্স থাকে হতাশাজনক। ওয়ানডেতে দেশে ভালো করলেও বিদেশের মাটিতে পারফরম্যান্স উজ্জ্বল নয় ততটা।
দেশের বাইরে বাংলাদেশের পেসারদের পারফরম্যান্সে উন্নতিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে চান ল্যাঙ্গাভেল্ট, ‘এটা আমার জন্য খুব ভালো একটি চ্যালেঞ্জ। বছর দুয়েক আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং কোচ থাকার সময় ওদের (বাংলাদেশ) বিপক্ষে খেলেছিলাম আমরা। তখন দেখেছি বিদেশের কন্ডিশনে ওদের ধুঁকতে। লাইন-লেংথের ধারাবাহিকতা নিয়ে ধুঁকছিল তারা। এটি ঠিক করে ফেলা যাবে। আমাকে এটি দেখতে হবে টেকনিক্যাল সমস্যা হিসেবে। এটি হবে আমার চ্যালেঞ্জ।’
দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেসার ও সাবেক বোলিং কোচ ল্যাঙ্গাভেল্ট বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।