নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আগের রাতেই সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্রিকেটে সমাপ্তি ঘটেছে স্টিভ রোডস অধ্যায়ের। অনেকটা অনুমিত থাকলেও পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত ঝুলে ছিল, সেটিও ‘চূড়ান্ত’ হয়ে গেছে গতকাল। বিদায় জানাতে হচ্ছে বোলিং কোচ হিসেবে ক্যারিবীয় কিংবদন্তিকে। বিসিবি জানিয়ে দিয়েছে ওয়ালশের সঙ্গে চুক্তি আর বাড়বে না।
বিশ্বকাপ পর্যন্তই চুক্তি ছিল। বিশ্বকাপ শেষেই বাজল বিদায়-ঘণ্টা। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের বোলিং কোচ হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। গত তিন বছরে তাঁর অধীনে পেস বোলিং বিভাগের আহামরি উন্নতি চোখে পড়েনি বিসিবির। ওয়ালশের ব্যাপারে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন ওয়ালশের বিদায়, ‘ইতিমধ্যে দু-একজনের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে সেটা না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আপনারা ইতমধ্যে জেনেছেন সমঝোতার মাধ্যমে আমাদের প্রধান কোচের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় আমরা সেটা আর চালিয়ে নিচ্ছি না। এর বাইরে দু-একজন কোচ, কোর্টনি ওয়ালশদের সঙ্গে বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি ছিল। আমরা সেটাও আর করছি না। ফিজিও যে ছিল তাঁর সঙ্গেও আমরা আর চুক্তি বাড়াচ্ছি না।’
ওয়ালশের সঙ্গে কোচিং স্টাফ থেকে নাম কাটা যাচ্ছে ফিজিও থিহান চন্দ্রমোহনেরও। এখনো স্পিন বোলিং কোচ সুনীল যোশী, ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জি আর ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুকের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী, ‘স্পিন বোলিং কোচের সঙ্গে কথা হচ্ছে। এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। ফিল্ডিং কোচের ব্যাপারে একই।’ বিসিবি সূত্র জানাচ্ছে, বিসিবি ম্যাকেঞ্জিকে রাখতে চাইলেও যোশী আর রায়ান কুকের হয়তো বিদায়ই হয়ে যাবে।
ম্যাকেঞ্জিকে নিয়ে বিসিবির আগ্রহের আভাস পাওয়া গেছে নিজামউদ্দিনের কথাতেও, ‘আমাদের যারা বিদ্যমান কোচ আছে তাঁদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। তারা যদি আগ্রহী থাকে সে ক্ষেত্রে আমাদের আগ্রহের ব্যাপার আছে। আবার আমাদের থাকলে তাঁদেরও আগ্রহের ব্যাপার আছে। এখনো এ নিয়ে কাজ করছি। কার সঙ্গে কাজ কাজ করব, কাকে রাখব; আসলে এখনই চূড়ান্ত করে বলা ঠিক হবে না। এই মাসের শেষের দিকে একটা বোর্ড মিটিং আছে। সম্ভবত আমরা চেষ্টা করব শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য।’
বিশ্বকাপের সাফল্য-ব্যর্থতার ময়নাতদন্তের কোচিং স্টাফে রদবদল। কিন্তু হাতে সময় নেই, দলকে সাজিয়ে গুছিয়ে আনতে হবে দ্রæতই। দল যখনই এমন পরিস্থিতিতে পড়ে সবার আগে একটি নাম বার বার সামনে আসে- খালেদ মেহমুদ সুজন। অনেকেরই ধারণা এ অবস্থায় আপৎকালীন কোচ হিসেবে বেছে নেওয়া হতে পারে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করে আসা সাবেক এই অধিনায়ককে।
এর আগেও অন্তঃবর্তী কোচ হিসেবে কাজ করেছেন মাহমুদ। সে অভিজ্ঞতার কারণে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবতেই পারে বোর্ড। দায়িত্ব পেলে সেটা পালন করবেন তবে এভাবে বারবার স্বল্প মেয়াদের জন্য কোচ হওয়ার ব্যাপারটা পছন্দ হচ্ছে না মাহমুদের। এ ব্যাপারে আজ বিসিবির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে সরাসরিই বলেছেন, ‘এ নিয়ে আমাকেও চিন্তা করতে হবে। বারবার এক সিরিজের জন্য অন্তঃবর্তীকালীন দায়িত্ব নিতে চাই না। সেটা আমার জন্য ঠিক হবে না।’
দলের ম্যানেজার পদে থাকা মাহমুদের দাবি আপাতত কোচিং নিয়ে ভাবছেন না। বিদায়ী কোচদের কোনো ভুল ছিল কি না, বা স্কোয়াড নির্বাচনে ঘাটতি ছিল কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে মাহমুদ বলেছেন, ‘আমি কোচিং নিয়ে কথা বলব না কারণ আমি কোচিংয়ের অংশ নই। আমি পুরো দলের ম্যানেজার। দল নির্বাচন যখন আমরা করি তখন চেষ্টা করি সেরা খেলোয়াড়টি বাছাই করতে। এরপর কোচিং বিভাগের কাজ। ১৫ জনের স্কোয়াড যায়, তখন কোচরা প্ল্যান করে যে কোন একাদশ খেলবে, কে খেলবে না বা কাকে কোন দায়িত্ব দেওয়া হবে। এটি আমার এখতিয়ারভুক্ত না, আমি আসলে কোচিং বিভাগের অংশই নই।’
বোর্ড চাইলে যে কোচিং বিভাগের অংশ হতে আপত্তি নেই, সেটা অবশ্য এক প্রকার বলেই রেখেছেন সাবেক অধিনায়ক, ‘আমি সব সময় প্রস্তুত থাকি। আমি জানি না (হবেন কি না)। কোচিং আমার একটি পেশা। বোর্ড একবার আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিল। আমি আবারও অস্থায়ী পদে কাজ করব কি না এটাও একটা কথা। বোর্ডও আমাকে সেভাবে চিন্তা করবে কি না এটাও একটা কথা।’
মাহমুদ আশা করছেন, সিরিজ শুরু হওয়ার আগেই কোচ পেয়ে যাবে বোর্ড। বিশ্বকাপের পর আরও এক সপ্তাহের বেশি সময় পাওয়া যাবে। সে সময়ে দ্রæত পদক্ষেপ নিলেই শ্রীলঙ্কায় অস্থায়ী কোচ নিয়ে যেতে হবে না দলকে, ‘আমরা সঠিক সময়ে কোচ পেয়ে যাব আশা করছি। ভালো কোচ আনার চেষ্টা করছে বিসিবি থেকে। আমি বিশ্বাস করি বিশ্বকাপ শেষে অনেক কোচের চুক্তি শেষ হবে। আমরা যদি স্বল্প সময়ের মধ্যে এটা করতে পারি তাহলে ভালো কোচ আসতে পারে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।