Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রিয়া সাহা শুধু হিন্দু নিখোঁজের কথাই বলেননি ইসরাইলের রাষ্ট্রীয় ভোজসভায়ও যোগদান করেছেন

মোবায়েদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০১৯, ১২:০১ এএম

প্রিয়া সাহাকে নিয়ে অনেক কথা লেখা হয়েছে। এগুলো এতই সাম্প্রতিক যে আমি আর সেগুলোর পুনরাবৃত্তি করবো না। কিন্তু প্রিয়া সাহার ঘটনায় সবচেয়ে বড় যে প্রশ্নটি বুদ্ধিজীবী এবং সরকারি মহলকে আলোড়িত করছে সেটা হলো, এই মহিলা পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট অর্থাৎ পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে যেতে পারলেন কিভাবে? সরকার বলছে যে প্রিয়া সাহা কোনো সরকারি ডেলিগেশনে যায়নি। সে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক। এখন দেখা যাচ্ছে যে সাংগঠনিক সম্পাদক একজন নয়, ৮ জন। মতান্তরে ১১ জন রয়েছে। গত শুক্রবার এক সুধী সমাবেশে বক্তৃতা প্রসঙ্গে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাস গুপ্ত বলেছেন যে, ঐক্য পরিষদের তরফ থেকে এই মহিলাকে আমেরিকা পাঠানো হয়নি। তাহলে সে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পর্যন্ত পৌঁছলো কিভাবে? সে আমেরিকায় গিয়েছে, সেটা নিয়ে আমি কোনো প্রশ্ন করছি না। কারণ আমেরিকায় যেতে চাইলে যেভাবেই হোক, ভিসা জোগাড় করা যায়। তাছাড়া তার দুই মেয়ে সেখানে পড়ছে। সুতরাং ভিসা নিয়ে সে আমেরিকা গেছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সে ট্রাম্প পর্যন্ত পৌঁছলো কিভাবে?

ইসরাইলের রাষ্ট্রীয় ভোজ সভায় ডান কোণে প্রিয়া সাহা (গোল চিহ্নিত)

এ ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার মার্কিন পজিশন ব্যাখ্যা করেছেন তাদের ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার। তিনি বলেন, আমেরিকা সফর করতে গিয়ে কোনো বিদেশি নাগরিক আমেরিকায় কি বলবেন আর কি না বলবেন সেটা আমেরিকা নির্ধারণ করে দেয় না। পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হককে তিনি একথা বলেছেন। গত ২৪ জুলাই বুধবার দৈনিক ‘নিউ এজের’ প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে যে কূটনৈতিক সূত্র মোতাবেক প্রিয় বালা ওরফে প্রিয় সাহা দ্বৈত পরিচয়ে (উঁধষ ঈধঢ়ধপরঃু) আমেরিকায় গিয়েছেন। একটি হলো বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসাবে। আর একটি হলো মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের আমন্ত্রণে। এখানে যেন কোনো সন্দেহের অবকাশ না থাকে তার জন্য আমরা রিপোর্টটির সংশ্লিষ্ট ইংরেজি অংশটুকু তুলে দিচ্ছি, Preo Bala participated in the forum on dual capacities– a member of the Bangladesh delegation as well as on invitation from the Department of State of the US government, diplomatic sources said(New age 24th July 2019).

বাংলাদেশের বিদেশ সচিবের সাথে আলোচানর পর মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে জিজ্ঞেস করা হয় যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের সাথে তিনি কি আলোচনা করেছেন? উত্তরে রাষ্ট্রদূত মিলার কোনো কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান। ট্রাম্পের কাছে তিনি যা বলেছেন পরবর্তীতে একটি ভিডিও স্টেটমেন্টে প্রিয় বালা সেটি ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন যে, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমিতির প্রেসিডেন্ট আবুল বারাকাত বাংলাদেশ থেকে হিন্দুদের নিখোঁজ হয়ে যাওয়া সংক্রান্ত যে গবেষণা পত্র তৈরি করেছেন তিনি সেই গবেষণা পত্র থেকে এই তথ্য নিয়েছেন। গত সোমবার ২২ জুলাই আবুল বারাকাত বলেছেন যে, তার গবেষণা পত্রে যেসব তথ্য আছে সেগুলো প্রিয়া সাহা বিকৃত আকারে উপস্থাপন করেছেন। আবুল বারাকাত তার গবেষণা পত্রে বলেছেন যে ১৯৬৪ সাল থেকে ২০১৩ সাল এই ৫০ বছরে ১ কোটি ১৩ লক্ষ হিন্দু নিখোঁজ রয়েছেন। ২০১৬ সালে প্রকাশিত তার এই গবেষণা পত্রের কোথাও তিনি বলেননি যে ৩ কোটি ৭০ লক্ষ হিন্দু নিখোঁজ। তিনি আশা করেন যে প্রিয়া সাহা অতিদ্রæত তার সেই বিকৃত এবং বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য প্রত্যাহার করবেন।

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য থেকে দুটি প্রশ্ন এখানে উদয় হয়। সেটি হলো,তিনি নাকি বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের একজন সদস্য হয়ে আমেরিকা সফর করেছেন। বাংলাদেশের কোন প্রতিনিধি দলের সদস্য হয়ে? এই বিষয়টি মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার পরিস্কার করেননি। একটি প্রতিনিধি দল ঐ সময় আমেরিকা ছিল অন্য বিষয়ে আলোচনা করার জন্য। সেই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব করেছেন পররাষ্ট সচিব আব্দুল মোমেন। পররাষ্ট্র সচিব আব্দুল মোমেন বলেছেন যে তার প্রতিনিধি দলে প্রিয়া সাহা অন্তর্ভূক্ত ছিলেন না। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমেরিকা সফরের জন্য ঐক্য পরিষদের নিকট যে আমন্ত্রণ পাঠায় সেই আমন্ত্রণের উত্তরে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদ থেকে ৩ জনের নাম প্রস্তাব করা হয়। এই ৩ জনের মধ্যে প্রিয়া সাহার নাম ছিল না বলে ঐক্য পরিষদের জেনারেল সেক্রেটারি রানা দাস গুপ্ত শুক্রবারও পুনরুল্লেখ করেন। তাহলে তিনি কোন ক্যাপাসিটিতে আমেরিকায় গেলেন এবং ট্রাম্পের সাথে কথা বললেন? এটি একটি বিরাট রহস্য হয়ে রয়েছে যার উত্তর আজও পাওয়া যায়নি।

দুই

এখানে আরও একটি রহস্যময় কিন্তু চাঞ্চল্যকর বিষয় উল্লেখ করতে হয়। গত ২৩ জুলাই মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে ইসরাইলিদের একটি রাষ্ট্রীয় ভোঁজ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই ভোঁজ সভাতেও প্রিয়া সাহাকে নিমন্ত্রণ করা হয় এবং তিনি নিমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এসম্পর্কে এক শ্রেণীর পত্র পত্রিকায় ছবি ছাপা হয়েছে এবং টেলিভিশনে সেই ছবি সম্প্রচারিত হয়েছে।হোয়াইট হাউজে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ধরার পর তিনি আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিৎজের ভোজসভায় যোগ দেন। বুধবার (২৪ জুলাই) ওই ভোজ সভা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ‘টাইমস অব ইসরাইল’। ওই প্রতিবেদনের সঙ্গে ছাপা হওয়া ছবিতে আমন্ত্রিত অতিথিদের সারিতে তাকে খুঁজে পাওয়া গেছে। (ছবিটি এখানে ছাপা হলো)। ছবিতে দেখা যায় যে ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাঁড়িয়ে কথা বলছেন। তাদের পেছনে ভোঁজ সভায় আমন্ত্রিত অতিথিরা উপবিষ্ট রয়েছেন।

গত শুক্রবার ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির এক সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জাামান খান কামাল বলেন, ‘ইন্ডিয়ান নেতারা আমাকে বারবার জিজ্ঞেস করতেন, তোমাদের দেশে হিন্দুদের পার্সেন্টেজ কত। আমি তখনই বলতাম এটা দশের কাছাকাছি। তারা বলত ৮। ২০০৪-এ এরকমই ছিল, কিন্তু আজকে ১২ এর কাছাকাছি।’ প্রিয়া সাহার ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্টের কাছে কীভাবে তিনি গেলেন। কারা তার ব্যবস্থা করে দিলেন সেগুলো কিন্তু আস্তে আস্তে আমাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে। তিনি যেটা বলেছেন দেশের মানুষ সেটা বিশ্বাস করে না। প্রিয়া সাহার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রিয়া সাহা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুর গুম হওয়া নিয়ে যে পরিসংখ্যান দিয়েছেন, তা ভিত্তিহীন। শাহরিয়ার কবির বলেন, জামায়াত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলছে ভারতের হুমকির কারণে নাকি প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী স্বীকার করেছেন যে আগে হিন্দুরে সংখ্যা ছিল ৮ শতাংশের কাছাকাছি। অর্থাৎ তখন যদি জনসংখ্যা ১৬ কোটি হয়ে থাকে তাহলে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ১ কোটি ২৮ লক্ষ। এখন জনসংখ্যা ১৭ কোটি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী হিন্দু জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২ শতাংশ। তাহলে হিন্দুদের মোট জনসংখ্যা হলো ২ কোটি ৪ লক্ষ। অর্থাৎ এই সরকারের ১০ বছরে হিন্দুদের সংখ্যা বেড়েছে ৭৬ লক্ষ। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি বলছে হিন্দুদের ওপর মুসলমানরা জুলুম করছে। ফলে হিন্দুরা এদেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। একই কথা বলছে আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী ঘরানা। এটা শুধু বলছে না এই কথাটি বিএনপি জামায়াত প্রভৃতি দলের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের একটি শক্ত পলিটিক্যাল প্রোপাগান্ডা। কিছু সংখ্যক মানুষ সেটা বিশ^াসও করেছিলেন। এই প্রোপাগান্ডা যদি সত্য হতো তাহলে হিন্দু জনসংখ্যা কমতে কমতে ১ কোটিরও নিচে এসে দাঁড়াতো। অথচ সেখানে উল্টো হিন্দু জনসংখ্যা বেড়েছে ১ কোটি। এখন তাহলে প্রিয়া সাহা এবং তার পেছনের মদদ দাতাদের বিরুদ্ধে সরকার কি ব্যবস্থা নেবেন?

তিন

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে কথা বলার পরদিন এক ভিডিও সাক্ষাতকারে প্রিয়া সাহা তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেন। তাকে জিজ্ঞেস করা হয় যে তিনি ৩ কোটি ৭০ লক্ষ হিন্দু গুম হওয়ার কথা কেনো বলেছেন? উত্তরে প্রিয়া সাহা বলেন যে, তিনি এসব কথা বলার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট থেকে। প্রধান মন্ত্রী দেশ বিদেশে ঘুরে ঘুরে হিন্দুরে ওপর জুলুম নির্যাতনের কথা বলেছেন। সেখান থেকেই তিনি এই ধরণের কথা বলার অনুপ্রেরণা এবং সাহস পেয়েছেন।

প্রিয়া সাহা যখন দেখছে যে সমগ্র বাংলাদেশ তার এই রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্যের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে তখন সে আত্ম রক্ষার ঢাল হিসাবে ব্যবহার করেছে প্রধান মন্ত্রীকে। কিন্তু বাস্তব হলো এই যে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বা তার মন্ত্রী সভার কোনো সদস্য অতীতে বা বর্তমানে কখনো বলেননি যে বাংলাদেশ থেকে ৩ কোটি ৭০ লক্ষ হিন্দু নিখোঁজ হয়েছে। প্রিয়া সাহার এই বক্তব্যের পর আমরা প্রধান মন্ত্রীর এ সংক্রান্ত উক্তি ভেরিফাই করেছি। কিন্তু কোথাও আমরা প্রিয়া সাহার এই আজগুবি খবর পাইনি। প্রিয়া সাহার কথা যদি সত্যি হয় তাহলে বাংলাদেশ বর্তমানে হিন্দু জনসংখ্যা দাঁড়াতো ১ কোটি ৮০ লক্ষ + ৩ কোটি ৭০ লক্ষ = ৫ কোটি ৫০ লক্ষ।

প্রিয়া সাহা বলেছে যে ৩ কোটি ৮০ লক্ষ হিন্দু নাকি ‘নিখোঁজ’ হয়েছে। নিখোঁজ একটি মারাত্মক শব্দ। নিখোঁজ হওয়া মানে গুম হওয়া, খুন হওয়া, অপহৃত হওয়া বা নিরুদ্দিষ্ট হওয়া। কিন্তু তারা কেউ নিখোঁজ হয়নি। তারা সকলেই বেঁচে আছে। আর এমন জ¦লন্ত সত্য তথ্যটি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক ‘যুগশঙ্খ’। বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেছেন, হিন্দু নেত্রী প্রিয়া সাহা বাংলাদেশের ৩ কোটি ৭০ লক্ষ ধর্মীয় সংখ্যালঘু নিখোঁজ থাকার যে অভিযোগ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে করেছেন তা সঠিক। সরকারের বিভিন্ন হিসেব অনুযায়ী, ১৯৭১ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ৭০ লক্ষ হিন্দু রয়েছেন, যাদের মধ্যে একটি বড় অংশ ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন।

গতকাল সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম “দৈনিক যুগশঙ্খ” নামক এক পত্রিকার সাক্ষাৎকারে গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক এ কথা বলেন। এ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক বলেছেন যে, পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মূখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু, ত্রিপুরার বর্তমান মূখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব প্রমুখ ঐ ৩ কোটি ৭০ লক্ষ নিখোঁজের মধ্যেই রয়েছেন। যদি গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিকের কথা বিবেচনা করতে হয় তাহলে মহা নায়িকা সূচিত্রা সেন, অমর কবি জীবনানন্দ দাস সহ পশ্চিমবঙ্গে জীবিত ও মৃত অসংখ্য সুবিখ্যাতি ব্যক্তি সাবেক পূর্ব বঙ্গে ছিলেন এবং ভারত বিভক্তির পর পশ্চিমবঙ্গে চলে যান। এরাও তো তাহলে গোবিন্দ প্রামানিক বা প্রিয়া সাহার ভাষায় নিখোঁজ।

আলোচনা লম্বা হয়ে যাবে তাই আর অন্য প্রসঙ্গে গেলাম না। কিন্তু ভারত বিভক্তি মানে হলো প্রধানত বাংলা এবং পাঞ্জাবের বিভক্তি। এই দুইটি প্রদেশ বিভক্তির পর যে লাখে লাখে হিন্দু পূর্ব বঙ্গ থেকে পশ্চিমবঙ্গে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে অসংখ্য মুসলমান পূর্ব বঙ্গে, পশ্চিম পাঞ্জাব থেকে অসংখ্য হিন্দু এবং শিখ পূর্ব পাঞ্জাবে এবং পূর্ব পাঞ্জাব থেকে অসংখ্য মুসলমান পশ্চিম পাঞ্জাবে মাইগ্রেট করে তারা কি সকলেই প্রিয়া সাহার নিখোঁজ তালিকায় পড়বেন? এসব প্রশ্নে উত্তর প্রিয়া সাহাকে দিতে হবে। আর দিতে হবে কিভাবে তিনি ট্রাম্পের কাছে পৌঁছাতে পারলেন এবং কিভাবে তিনি ইসরাইলের রাষ্ট্রীয় ভোজ সভায় নিমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে যোগদান করলেন তারও উত্তর।

[email protected]



 

Show all comments
  • Jomadder Mizan ৩০ জুলাই, ২০১৯, ১:৫৪ এএম says : 1
    দেশের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করবে তাদের বিচার না হলে অন্যরা এ সুজগে ষড়যন্ত্র করতে উৎসাহী হবে
    Total Reply(0) Reply
  • Robert Hassan ৩০ জুলাই, ২০১৯, ১:৫৪ এএম says : 1
    Some times White House hired aid they are clean up wash room and working for waitress.
    Total Reply(0) Reply
  • Sharmin Akter ৩০ জুলাই, ২০১৯, ২:০৪ এএম says : 1
    প্রিয়া সাহাকে অইনের আওতে এনে দেশদূহীর দৃস্টান্ত মুলক সাস্তী দেওয়ার জন্য প্রধান মন্ত্রীর নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি
    Total Reply(0) Reply
  • Abdul Kaium ৩০ জুলাই, ২০১৯, ২:০৫ এএম says : 1
    একটি গান মনে পারে গেল, সময় গেলে সাধন হবেনা। তার উপযুক্ত ব্যবস্তা না নিলে কপালে দুঃখ আছে বাংগালী জাতির,।আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এর যতা বিহিত একটা ব্যবস্তা গ্রহন করুন। কারন আমাদের বংগবন্দু সহ ৩০ লাখ সহিদ এবং ২ লাখ মা, বোন, আমাদের কে, স্বাধীন ওতা দিয়াগেছেন।তাই বলতেছি, বাংলাদেশের এক মাএ দ্বায়িত্ব আপনার কাছে,আমরা আশাবাদী যেমন করে বাংলার জমিনে রাজাকারের বিছার হয়েছে, তেমনি এই বেঈমান প্রিয়া সাহার ও বিছার হবে। বাংলাদেশের জনগন আপনার দিকে তাকিয়ে আছে, আল্লাহ হাফিজ। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।
    Total Reply(0) Reply
  • Shaon Shaon ৩০ জুলাই, ২০১৯, ২:০৬ এএম says : 1
    সরকার যদি এখোন হাত গুটিয়ে বসে থাকে আর তার স্বামী কে স্বপদে বহাল রাখে তবে শুধুই সরকার নয় পুরো বাঙালী জাতি কে চরম মূল‍্য দিতে হবে । আর একটা কথা সেটা হলো আমাদের দেশের গোয়েন্দা সংস্থা কি করে ? যদি তারা এভাবে ঘুমায় সময় পার করে তবে এই রকম আবুল গোয়েন্দা সংস্থা রেখে লাভ কি ?
    Total Reply(0) Reply
  • Nour Mohammed Bhutto ৩০ জুলাই, ২০১৯, ২:০৬ এএম says : 1
    প্রিয়া সাহা বাংলাদেশের জন্য হুমকি। ও ক্ষতির কারন।
    Total Reply(0) Reply
  • Tazul Islam ৩০ জুলাই, ২০১৯, ২:০৭ এএম says : 1
    এই মহিলা ইজরাইল এর সাথে মিটিং করুক আর না করুক ৷ এদের মত অনেক লোক আছে দেশের মধ্যে যারা দেশকে ধংশের পরিকল্পনা করছে ৷ তাদেরকে যদি এখই দেশ থেকে বিতারিত করা না যায় ৷ দেশ আগামীতে আপগানিস্থান পাকিসস্থান এর মত হওয়ার সম্ভভনা আছে ৷ আল্লাআমাদের দেশকে হেফাজত করুক
    Total Reply(0) Reply
  • Afrajur Rahman Sohag ৩০ জুলাই, ২০১৯, ২:০৭ এএম says : 1
    প্রিয়া শাহার বিষয়টি হালকা ভাবে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই
    Total Reply(0) Reply
  • Md Nurushafa MdNurushafa ৩০ জুলাই, ২০১৯, ২:০৮ এএম says : 1
    সরকার রাজাকারদের ফাসি দিয়েছে দেশ দ্রোহি তাই প্রিয়া সাহা দেশ দ্রোহি কাজের জ্যন সরকারের কাছে আমরা প্রিয়াসাহার ফাসি চাই।
    Total Reply(0) Reply
  • Zvee ৩০ জুলাই, ২০১৯, ৮:১০ এএম says : 1
    She is the agent of Raw anf Mosad
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রিয়া সাহা


আরও
আরও পড়ুন