বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মাই ম্যানদের সিলেট মহানগর যুবলীগের নেতৃত্ব নিয়ে আসতে জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগের গ্রুপ নেতারা। দীর্ঘ ১৪ বছর পর যুবলীগের সম্মেলন কাউন্সিল উপলক্ষে নির্ঘুম গ্রুপবাজ নেতারা। ২০১৪ সালের ৬ জুলাই ঘোষিত আহবায়ক কমিটি ৫ বছর ধরে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছিলেন মহানগর যুবলীগকে তারা। ৯০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের শর্ত থাকলে, সেই শর্তের কোন তোয়াক্কা করতে হয়নি স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের আশীর্বাদে। যুবলীগ নেতাদের পকেটে রেখে নিজেদের আধিপত্য অটুট রেখেছেন আ‘লীগ কতিপয় নেতাও। দলের দায়িত্ব পালনের চেয়ে আ‘লীগ নেতাদের সেবায় ছিলেন তারা মত্ত। তাই ৫ বছরে হয়নি ওয়ার্ড কমিটি সম্মেলন, হয়নি পূর্নাঙ্গ মহানগর কমিটি। যুবলীগের উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে গিয়ে গলাটিপে রাখা হয়েছিল যুবলীগের স্বাভাবিক সাংগঠনিক কার্যক্রম। অবশেষ কেন্দ্রের হ্স্তক্ষেপে মহানগরের সম্মেলন ও কাউন্সিলে তারা নড়েচড়ে উঠেন। কর্তৃত্ব হারানোর ভয়ে, তারুন্য নির্ভর প্রত্যাশিত নেতৃত্বকে জিম্মি করে পুনরায় সেই ম্যানগার্ড নেতৃত্বকে গুরুত্বপূর্ণ পদে ফিরয়ে আনতে তারাই মাঠে নেমেছেন নানা কৌশলে। কেন্দ্রের দৃষ্টিভংগিকে বুমেরাং করে নিজস্ব আধিপত্য কেন্দ্রিক নেতৃত্ব রক্ষাই তাদের একমাত্র উদ্দেশ্যে। এর মধ্যে দিয়ে আ‘লীগের ভ্যানগার্ড হিসেবে যুবলীগের ঐতিহ্য ভেস্তে যেতে পারে শাহজালাল ও শাহপরান (র.) মাটি সিলেট থেকে। কেন্দ্রের নেতাদের মিস গাইড করে, পুরানোদের দিয়ে আপাতত সাজাতে চান যুবলীগ। স্থানীয় গ্রুপবাজ নেতাদের স্বার্থ রক্ষা হলেও যুবলীগ রাজনীতির ভবিষ্যত কঠিন সংকটে পড়ে এমন অভিমত স্থানীয় মাঠ রাজনীতির ত্যাগী, পরীক্ষিত কর্মীদের। নতুনদের মূল্যানয়নের ব্যর্থতায়, যুবলীগের নেতৃত্ব ও রাজনীতির অস্তিত্ব হুমকি পড়বে এমন আশংকা স্থানীয় রাজনীতিক বিশ্লেষকদের। কেন্দ্রিয় নেতাদের বিচক্ষণ ও দূরদর্শী ভূমিকা ছাড়া এহেন পরিস্থিতি মোকাবেলা সম্ভব নয় বলেও জানান তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।