মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ছোট খাটো নেতা পরের কথা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার একাংশ মন্ত্রী যখন মুসলিম সম্প্রদায় সম্পর্কে অকছার বাজে কথা বলে সমাজে বিভাজন উস্কে দিচ্ছেন, তখন দিল্লির মঞ্চে দাঁড়িয়ে গেরুয়া শিবিরকে সবক দিতে চাইলেন আর.এস.এস এর সর্বশেষ সঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত।
তাঁর স্পষ্ট বার্তা, “হিন্দু রাষ্ট্র মানে এই নয় যে সেখানে মুসলিমদের কোনও জায়গা নেই। যে দিন আমরা এ কথা বলব সে দিন আর হিন্দুত্ব থাকবে না। কারণ হিন্দুত্ব মানে ভারতীয়ত্ব। অর্থাৎ সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলা। তাঁর কথায়, “যেদিন বলা হবে যে এখানে মুসলিম দরকারনেই, সেদিন হিন্দুত্ব আরথাকবে না।”
রাজনৈতিক মহলে দীর্ঘ লালিত ধারনা হল, আর.এস.এস এর সর সঙ্ঘচালক তথা প্রধানই হলেন গেরুয়া শিবিরের সর্বোচ্চ নেতা। তাঁর মত কট্টরপন্থী মুসলিম বিরোধী মুখ থেকে বেরোনো এই বার্তা সর্বভারতীয় স্তরের রাজনীতির জন্য বড় ব্যাপার বইকি। এটা যে ২০১৯ ভোটে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার এক প্রচেষ্টা তা দিনের আলোর মত পরিষ্কার বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত।
নয়াদিল্লির বিজ্ঞান মঞ্চে তিন দিন ধরে একটি সম্মেলনের আয়োজন করেছে আরএসএস। যে সম্মেলনে আলোচনার মুখ্য বিষয় হল, ‘ভবিষ্যতের ভারত’। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ওই মঞ্চ থেকেই গোটা দেশের সামনে ‘হিন্দুত্বের’ ব্যাখ্যা রাখতে চেয়েছেন মোহন ভাগবত।
সঙ্ঘ প্রধান এ দিন বলেন, “আরএসএস বিশ্বজনীন সৌভ্রাতৃত্বের দর্শনে বিশ্বাস করে। যে দর্শনের মূল কথাই হল, বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য। এবং এই ধারনা ভারতীয় সভ্যতা থেকেই উঠে এসেছে। যাকে আমরা হিন্দুত্ব বলি।” তাঁর কথায়, সংবিধান রচনার সময় বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকরও বিশ্বজনীন সৌভ্রাতৃত্বের দশর্নের কথাই বলেছিলেন।
এখন প্রশ্ন হল, মোহন ভাগবত কেন এমন কথা বলছেন? তাহলে কি নরেন্দ্র।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।