মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জেরুজালেমের উপকণ্ঠে ফিলিস্তিনিদের ঘর ধ্বংস করায় ইজরায়েলের বিরুদ্ধে নিন্দা জানাতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রস্তাব আটকে দিল যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘের কূটনীতিকদের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম দ্য রিপাবলিক।
ঘর ধ্বংস করে ১৭ ফিলিস্তিনিকে বাস্তুচ্যুত করায় জাতিসংঘের কর্মকর্তারা এই পরিকল্পনা স্থগিত করতে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু ইসরায়েল তাদের ধ্বংসযজ্ঞ অব্যাহত রেখেছে। তাদের দাবি, ‘সোমবার ধ্বংস করা ১০টি বহুতল ভবন অবৈধভাবে নির্মিত হয়েছিল, এবং পশ্চিম তীর দখল করে রাখা ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীর জন্য তারা হুমকি সৃষ্টি করছিল। সেখানকার বেশিরভাগ বাড়ি নির্মাণাধীন ছিল।’
গত মঙ্গলবার কুয়েত, ইন্দোনেশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি পাঁচ অনুচ্ছেদের খসড়া বিবৃতি নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের কাছে জমা দেয়। রয়টার্স জানায়, বিবৃতিতে সতর্ক করে দেয়া হয় যে, এই ধ্বংসযজ্ঞের ফলে ‘দুই-রাষ্ট্রের সমস্যা সমাধান করা আরো কঠিন হবে এবং সম্ভাব্য শান্তি ও স্থিতিশীলতার সম্ভাবনা হ্রাস পাবে।’
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস মঙ্গলবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান বয়কট আন্দোলনের নিন্দা জানানোর জন্য সিনেটে গৃহীত বিলের পক্ষে ভোট দেয়। ফ্রেশম্যান কংগ্রেসম্যান ইলহান ওমর ও রাশিদা তালিব দু’জনেই এই বিল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রথম ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে প্রতিনিধিত্ব করা তালেব সবাইকে বিলের বিপক্ষে দাঁড়াতে আহ্বান জানিয়েছিলেন। তার পরেও মাত্র ১৭জন সদস্য এই বিলের বিপক্ষে ভোট দেন।
জেরুজালেমে বর্তমানে প্রায় ৫ লাখ ইহুদি ও ৩ লাখ ফিলিস্তিনি বাস করে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্য প্রাচ্য দূত জেসন গ্রিনব্যাট এবং সিনিয়র উপদেষ্টা এবং জামাতা জারেড কুশনার শান্তি পরিকল্পনা করতে প্রায় দুই বছর ধরে সেখানে অতিবাহিত করেছেন। তারা আশা করছেন যে, দুই পক্ষের মধ্যে নতুন করে আলোচনা শুরু করার জন্য তারা একটি উপযুক্ত সমাধান উপস্থাপন করতে পারবেন। যদিও জটিল এই কূটনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দেয়ার মতো যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী কুশনারের নেই বলেই মনে করেন বিশ্লেষকরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।