Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রাম হবে সমৃদ্ধ নগরী

জনতার মুখোমুখি অনুষ্ঠানে মেয়র নাছির

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০১৯, ১২:০১ এএম

সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন চট্টগ্রামকে নিরাপদ ও বাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করার অভিপ্রায় পুনর্ব্যক্ত করে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেছেন। গতকাল নগরীর ২১নং জামালখান ওয়ার্ডস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে ‘জনতার মুখোমুখি মেয়র’ অনুষ্ঠানে তিনি এ সহযোগিতা কামনা করেন। নিরাপদ, বাসযোগ্য, পরিষ্কার ও সবুজ নগরী ক্রমান্বয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে জানিয়ে মেয়র বলেন, এ কাজে নগরবাসীকে আমাদের সঙ্গে পেতে চাই। ধীরগতিতে এগোচ্ছি আমরা। আমার প্রত্যাশা উন্নত দেশের সমৃদ্ধ নগরীর মতো চট্টগ্রামকে গড়ে তোলা। এটি বাস্তবায়ন সম্ভব।


জামালখান ওয়ার্ডের বেশ কয়েকজন পুরুষ ও মহিলা মেয়রকে সরাসরি প্রশ্ন করতে গিয়ে সাম্প্রতিক প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট পানিবদ্ধতার কথা তুলে ধরেন। জবাবে মেয়র নাছির পানিবদ্ধতাকে নগরীর একটি প্রধান সমস্যা উল্লেখ করে বলেন, পানিবদ্ধতা নিরসনে সিডিএ’র একটি প্রকল্প সেনাবাহিনীর তত্ত¡াবধানে বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। নালা-নর্দমায় ময়লা জমে থাকলেও পরিষ্কার না করায় পানি প্রবাহে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে নগরী তলিয়ে যাচ্ছে।
একজন প্রশ্নকর্তার জবাবে মেয়র বলেন, সিডিএ’র ৩৮৪ কি.মি. নালা-নর্দমা পরিষ্কার করার কথা রয়েছে। আইন অনুযায়ী একটি প্রতিষ্ঠান কোন প্রকল্প নিলে অন্য প্রতিষ্ঠান সেখানে কাজ করতে পারে না। তবে এগুলোর বাইরে যে নালা-নর্দমা রয়েছে সেগুলো সিটি কর্পোরেশন পরিষ্কার করবে। ইতোমধ্যে সিডিএ’র আওতায় যেসব নালা-নর্দমা পরিষ্কার করার কথা রয়েছে সেগুলোর তালিকা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য চসিকের প্রত্যেক প্রকল্পে নতুন নতুন ড্রেন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর ফলে নগরীতে পানিবদ্ধতা অনেকটা হ্রাস পাবে।


মেয়র নাছির বলেন, গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ও নিরাপদ যাত্রীসেবার লক্ষ্যে ১০০ এসি বাস নামানোর জন্য একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে রাজি করিয়েছি। তারা এলসি খুলেছে। বিআরটিএ, সিএমপিকে অনুরোধ জানিয়েছি দ্রুত অনুমোদন দেয়ার জন্য। তিনি বলেন, নালার পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে ঢাকনা দিচ্ছি। যাতে পথচারীরা স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারে। ময়লা ফেলে নালায় পানি চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে না পারে। এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভিত্তিহীন গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে আইন নিজের হাতে না নেয়ার আহ্বান জানান।


ডেঙ্গু প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, চসিক নিয়মিত ওষুধ ছিটানো, ডোর টু ডোর ময়লা সংগ্রহ এবং রাতে ময়লা অপসারণ করায় অন্য যেকোনো শহরের চেয়ে মশা কম, ডেঙ্গুর প্রকোপও কম। ফগার ও হ্যান্ড স্প্রে মেশিনে ১৬১ জন ওষুধ ছিটাচ্ছেন। ডাক্তারদের সচেতন করেছি। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি এবং নগরবাসীকে প্রচারপত্র দিয়ে সচেতন করছি। ডেঙ্গু আক্রান্ত কেউ যদি চিকিৎসা করাতে অপারগতা জানান তবে আমরা দায়িত্ব নেব।
এক প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, এ নগরীতে যে উন্নয়ন হয়েছে তা পরিকল্পিতভাবে হয়েছে এটা দাবি করতে পারি না। ড্রেনেজ ব্যবস্থা সুপরিকল্পিত নয়। দায়িত্বজ্ঞানহীন কিছু বাসিন্দা পানি আটকে দেন, বৃষ্টি-জোয়ারের পানি নিষ্কাশনে বাধা সৃষ্টি করে। বিদেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর লক্ষ্যে চসিক একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবেন বলে জানান মেয়র।
মেয়র জানান, গত অর্থবছরে ৫৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছি। যা চসিকের ইতিহাসে রেকর্ড। চসিকের ব্যয় ২৬০ কোটি টাকা। ৯ কোটি টাকার প্রশাসনিক ব্যয় এখন ২০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ভর্তুকি দিচ্ছে চসিক। মেয়র নাছির জামালখান ওয়ার্ডের যানজট নিরসনসহ নগরীতে মহিলাদের জন্য আলাদা বাস চালু ও দুটি বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে বলে জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্টগ্রাম নগরী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ