প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
চলচ্চিত্র সাংবাদিকদের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) এর দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শুক্রবার (২৬ জুলাই)। জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে।
এবারের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পাঁচজন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন সিনিয়র সাংবাদিক আলিমুজ্জামান হারু। এছাড়া আছেন এরফানুল হক নাহিদ, মাহাবুবুর রহমান, আলমগীর কানাই চক্রবর্তীএবং আবুল হোসেন মজুমদার।
এবারের নির্বাচনে সভাপতি ফাল্গুনী হামিদ ও সাধারণ সম্পাদক হামিদ মোহাম্মদ জসীমের নেতৃত্বে সহ-সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন চ্যানেল আইয়ের রাজু আলিম ও দৈনিক আমার বার্তার বাদল আহমেদ। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন সংবাদ প্রতিদিনের রিমন মাহফুজ। অর্থ সম্পাদক পদে আছেন মাসিক ক্যানভাসের সৈয়দ ফারজানা জামান রুম্পা। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আছেন রাইজিং বিডির রাহাত সাইফুল। আন্তর্জাতিক ও গবেষণা পদে প্রার্থী হয়েছেন সাপ্তাহিক সময়ের কাগজের শফিকুল আলম মিলন।
ক্রীয়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে আছেন দৈনিক মানবজমিনের মুজাহিদ সামিউল্লাহ।সমাজ কল্যান ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদে আছেন দৈনিক ভোরের দর্পনের আনজুমান আরা শিল্পী। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের আবু সুফিয়ান রতন। দপ্তর সম্পাদক পদে আছেন সাপ্তাহিক সিনেকন্ঠর সিরাজুল ইসলাম সিরাজ। এছাড়া কার্য নির্বাহী পদে এই প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন হাফিজুর রহমান সুরুজ, লিটন রহমান, হাসনাইন সাজ্জাদি, মনিরুল ইসলাম মানিক, খালেদ আহমেদ, সাহবুদ্দিন মজুমদার, হাফিজ রহমান, ইরানী বিশ্বাস এবং এ কে এম নিজামুল হক ইফতি।
অন্যদিকে সভাপতি ছাড়াই নাগরিক টেলিভিশনের কামরুজ্জামান বাবুর নেতৃত্বে (লাল-সবুজ) প্যানেলের হয়ে সহ-সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সৈকত সালাউদ্দিন। এছাড়া এই পদে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ইনডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের রবিন শামস। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন দিনকালের আবদুল্লাহ জেয়াদ। অর্থ সম্পাদক পদে আছেন আমাদের সময়ের মঈন আবদুল্লাহ। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আছেন কালের কন্ঠর এম এস রানা। আন্তর্জাতিক ও গবেষণা পদে প্রার্থী হয়েছেন বাংলা ট্রিবিউনের জনি হক।
ক্রীয়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন জাগো নিউজের লিমন আহমেদ। সমাজ কল্যান ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন দৈনিক ভোরের কাগজের শ্রাবনী হালদার। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন সময় টেলিভিশনের ইসরাফিল শাহীন। দপ্তর সম্পাদক পদে আছেন সময়ের আলোর নিপু বড়ুয়া। এছাড়া কার্য নির্বাহী পদে এই প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন লিটন এরশাদ, ইব্রাহিম খলিল খোকন, অঞ্জন রহমান, রাশেদ রাইন, আবিদা নাসরীন কলি, রেজাউল করিম রেজা, মাহমুদ মানজুর, শেখ সেলিম এবং মীর সামী।
এছাড়া এই নির্বাচনে বিভিন্ন পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ছয় জন। এদের মধ্যে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছেন কাজী ফারুখ বাবুল। সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন দৈনিক খবরের সিনিয়র সাংবাদিক শপথ চৌধুরী। এই পদেই প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন দিলদার হোসেন। এছাড়া দপ্তর সম্পাদক পদে আছেন আসলাম এবং নির্বাহী সদস্য হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে দেখা যাচ্ছে ছায়াছন্দর তুষার আদিত্যকে।
মোট ৪৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ২০১৯-২০২১ মেয়াদে ঐতিহ্যবাহী এই সংগঠনটির সর্ব মোট ৫৩৯ জন সদস্য আগামী দুই বছরের জন্য তাদের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেবেন ২১ জন প্রার্থীকে। দুই প্যানেলই বিনোদন সাংবাদিকতার মান উন্নয়ন এবং সদস্যদের স্বার্থ রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন নিজেদের তফসিলে।
অবশ্য এর আগের নির্বাচন গুলোতেও তৎকালীন প্রার্থীরা সাধারণ সদস্যদের দিয়েছিলেন নানা ধরণের প্রতিশ্রুতি। কিন্তু বাস্তবতা বড়ই কঠিন। নির্বাচিত নেতারা অধিকাংশ প্রতিশ্রুতিই রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে সংগঠনটির অসংখ্য সদস্যদের অভিযোগ রয়েছে। এবার দেখা যাক এই নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে নির্বাচিত প্রার্থীরা বাচসাসের জন্য এবং এই সংগঠনটির সদস্যদের জন্য কতোটুকু সফলতা আনতে পারেন।
উল্লেখ্য, শুরুতে ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই সংগঠনের নাম ছিল ‘পাকিস্তান চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি’। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর নাম পরিবর্তন করে হয়। নতুন নাম হিসেবে দেওয়া হয় ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি’ সংক্ষেপে ‘বাচসাস’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।