মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রশ্নোত্তর পর্বে বুধবার লোকসভায় থাকেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায়। কিন্তু কাশ্মীর নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিতর্কিত মন্তব্যে প্রশ্নের মুখে পড়বেন, এই আশঙ্কায় আজও বিরোধীদের মুখোমুখি হলেন না তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে পাশে বসিয়ে জবাব দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। কিন্তু বিদেশমন্ত্রীকে ‘জয়শঙ্কর’-এর বদলে তিন বার ‘জয়শঙ্কর প্রসাদ’ বলে সম্বোধন করলেন। সকালেই সনিয়া দলকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মোদীকে চেপে ধরতে। লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী মোদীকে বিঁধে জানান, ‘ঘোড়ার মুখ’ থেকে আসল কথা শুনতে চান তাঁরা। কারণ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁকে কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতা করতে বলেছিলেন। অথচ এখনও পর্যন্ত ট্রাম্প ও মোদী, কেউই নিজের মুখে তা খণ্ডন করেননি।
গত কাল বিদেশমন্ত্রী সংসদে স্পষ্ট জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী এমন কোনও কথাই বলেননি। কিন্তু মোদী এখনও চুপ। ট্রাম্পও নিজের বক্তব্য খণ্ডন করেননি। সেই জন্য আজ সংসদে ফের এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চেপে ধরার নির্দেশ দেন সনিয়া।
সকাল ১১টা থেকে টানা এক ঘণ্টা লোকসভায় হইচই করেন কংগ্রেস সাংসদেরা। ১২টার পরে স্পিকার অনুমতি দিলে অধীর বলেন, ‘‘আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাহেব বলেছেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী তাঁকে কাশ্মীর নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে বলেছেন। এটি ভুল হতে পারে, সত্যিও হতে পারে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত অন্য ব্যক্তিদের পাঠিয়ে বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আমরা ঘোড়ার মুখ থেকে শুনতে চাই। প্রধানমন্ত্রী নিজে এসে বিবৃতি দিন।’’
এর পরে ডিএমকের টি আর বালুও একই দাবি তোলেন। সেই সময়েই সনিয়ার নেতৃত্বে কংগ্রেস সাংসদেরা সভাকক্ষ ত্যাগ করেন। স্পিকার ওম বিড়লাও তাঁদের সরকারের বক্তব্য শুনে যাওয়ার অনুরোধ করেন। রাজনাথ উঠে বলেন, ‘‘সরকারের কথা শুনে সভাকক্ষ ত্যাগ করা উচিত ছিল।’’ এরপরেই তিনি বলেন, ‘‘এটি ঠিক প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যে জুন মাসে কথা হয়েছে। কিন্তু বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর প্রসাদ স্পষ্ট করেছেন, কাশ্মীরের বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। এর থেকে খাঁটি বিবৃতি হয় না।’’
এর সঙ্গেই জুড়ে দেন, ‘‘কাশ্মীরের প্রশ্নে কারও মধ্যস্থতা স্বীকার করার প্রশ্নই ওঠে না।’’ বিরোধীরা আপাতত আগামিকালের জন্য অপেক্ষা করছে। প্রধানমন্ত্রী রাজ্যসভায় এলেই চেপে ধরা হবে। কিন্তু মোদী আসবেন কি?
সূত্র: আনন্দবাজার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।