Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জমে উঠেছে চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির নির্বাচন

আশিক বন্ধু: | প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

 দীর্ঘ ৭ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির নির্বাচন। আগামী ২৭ জুলাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে প্রার্থীদের পদচারণায় এফডিসির প্রযোজক সমিতি। তারা ভোটারদের সাথে কথা বলছেন এবং বিভিন্ন প্রতিশ্রæতি দিচ্ছেন। সকাল থেকে রাত অবধি প্রযোজক সমিতির অফিস সিনেমার লোকজনে মুখর হয়ে আছে। কারা বিজয়ী হবেন, কারা চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কাজ করবেন, কে অতীতে কাজ করেছেন, কাকে এবার দরকার-এসব কথা আড্ডায় ঘুরেফিরে আসছে। এফডিসিতে এখন প্রতিদিনই দেখা মিলছে তারকা প্রযোজক থেকে শুরু করে নতুন প্রজন্মের প্রযোজকদেরও। প্রযোজকদের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা যোগাতে আসছেন নায়ক-নায়িকা পরিচালকরাও। এফডিসি যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে আগের মতো। তবে সবার কথা হচ্ছে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সিনেমা হল বাড়াতে হবে, আধুনিকায়ন জরুরী, সিনেমা নির্মাণ বাড়াতে হবে। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার হচ্ছেন ১৪১ জন। তারমধ্যে ৪১ জন প্রার্থী, ৯ জন সহযোগী। নির্বাচনের মাধ্যমে ২ জন সহযোগী সদস্যসহ মোট ২১ জন নির্বাচিত হবেন। প্রার্থী প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘আমরা সবাই একতায় থেকে আবার শুরু করতে চাই। কারণ এই জায়গাটা আমাদের কাজের, উৎসবের এবং আনন্দের। তাই সিনেমাকে পুরনো উদ্যোমে ফেরাতে হলে নির্বাচন দরকার ছিল’। প্রযোজক সামসুল আলম বলেন, ‘এবার প্রযোজক সমিতি পুরনো জৌলুসে ফিরে যেতে পারে। এবারের উৎসবমুখর পরিবেশ এবং সবার অংশগ্রহণে বুঝা যাচ্ছে, প্রযোজকরা নতুন করে সিনেমা নিয়ে ভাবছেন, কাজের জন্য পরিকল্পনা করছেন’। প্রযোজক জাহাঙ্গীর সিকদার বলেন, ‘আমরা চাই ই-টিকেটিং সিস্টেম চালু হোক। এখন আধুনিক সময়। দর্শকরা সিনেমা দেখার আগে যেন সহজভাবে ই-টিকেট করে সিনেমা হলে যেতে পারে। আর আমরা প্রযোজকরা অনেক সময় শূটিংয়ে বা টাকা লেনদেনে শিল্পীদের কাছে হয়রানির শিকার হই। এই অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। আবার অর্থ লগ্নি করার পরও হয়রানিতে পড়ি, তা বন্ধে আইন করা দরকার। অন্যদিকে পরিচালক প্রযোজক শাহ আলম মন্ডল বলেন, ‘আমরা চাই, সবাই একসাথে নতুন করে সিনেমার উন্নয়নে কাজ করে যেতে। তাই বিজয় বা পরাজয় বড় বিষয় নয়, সার্বিক সিনেমার বিজয় হোক তা চাই’। ২০১৯- ২০২১ নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম নেওয়ার পর থেকে যারা আলোচনায় আছেন তারা হলেন, কামাল মো. কিবরিয়া লিপু, খোরশেদ আলম খসরু, মেহেদী হাসান সিদ্দিকী মনির, শরীফ উদ্দিন খান দিপু, সামসুল আলম, আতিকুর রহমান লিটন, মোজাম্মেল হক খান, হুমায়ুন কবির সুজন, নাদের খান, নাদের চৌধুরী , মোহাম্মদ অলিউল্লাহ, ইস্পাহানী আরিফ জাহান, রশিদুল আমিন হলি, মোঃ ইকবাল হোসেন জয়, শাহ আলম মন্ডল, ইয়ামিন হক ববি, কামাল হাসান, মোরশেদ খান হিমেল, আরশাদ আদনান, এজে রানা, ড্যানি সিডাক, শরিফ চেীধুরী, মোঃ রিপন মিয়া, অপূর্ব রায়, মাসুম আজিজ, মোঃ শহীদুল্লাহ শাহীদ, কাজী মোঃ ইসলাম মিয়া, আশফাক আলম। উল্লেখ্য, নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন মিরাজুল ইসলাম উকিল ও সদস্য মোহাম্মদ খাদেমুল ইসলাম, মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন এবং নির্বাচন তত্ত¡াবধান করবেন সমিতির প্রশাসক মোহাম্মদ সেলিম হোসেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ