বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকার কেরানীগঞ্জে হযরতপুরে ছেলেধরা সন্দেহে গনপিটুনিতে নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে মোঃ জামাল হোহেন(২৮), মোঃ কামাল খান(৩০), মোঃ শাহ আলম(৩৫) ও মোঃ হবি মিয়া(৩৪) । আজ মঙ্গলবার (২৩জুলাই) দুপুরে হযরতপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ও এর আশেপাশে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বিপুল চন্দ্র দাস জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে আমরা হযরতপুর ইউনিয়ন ও এর আশেপাশের গ্রামগুলোতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করি। পর্যায়ক্রমে এই গনপিটুনির সাথে যারাই জড়িত আছে তাদেরকেও গ্রেফতার করা হবে। গ্রেফতারকৃত জামাল হোসেন ও কামাল খানের বাবার নাম মোঃ নুরুল ইসলাম এবং গ্রেফতারকৃত শাহ আলমের বাবার নাম হাফেজ চৌধুরী। তাদের সবার বাড়ি মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানার চর বাঘুরী গ্রামে। গ্রেফতারকৃত অপর আসামী মোঃ হবি মিয়ার বাবার নাম মোঃ সামসুদ্দিন । তার বাড়ি হযরতপুরের ইটাভাড়া উত্তর বালুরচর গ্রামে। এদিকে গনপিটুনিতে আহত যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম মোঃ আজিজুল(২০)। বাবার নাম সাহাবুদ্দিন । বাড়ি গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানার দক্ষিন গাও গ্রামে। এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বিপুল চন্দ্র দাস জানান, পিবিআইয়ের মাধ্যমে আহত যুবকের ফিংগার প্রিন্ট নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে তার এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করে তার পরিচয় আমরা জানতে পেরেছি। তবে এব্যাপারে আরো নিশ্চিত হওয়ার জন্য গাজীপুরর কাপাসিয়া থানায় আমরা বার্তা প্রেরন করেছি। অন্যদিকে নিহত যুবকের পরিচয় আমরা এখনো বের করতে পারিনি। তবে খুব শীঘ্রই একই পদ্বতিতে তার পরিচয়ও আমরা বের করতে পারব। উল্লেখ্য গত শুক্রবার(১৯জুলাই) রাতে হযরতপুরের রুসলপুর গ্রামে আমিনুল ইসলামের বাড়ির পূর্বপাশেরশর একটি রাস্তায় ছেলেধরা সন্দেহে নিহত ও আহত ওই দুই যুবককে এলাকাবাসী ব্যাপক গনপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মামলার বাদী মোঃ চুন্নু মিয়া ঘটনাস্থলে দ্রুত যান। এসময় তিনি হযরতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন আয়নালের উপস্থিতিতে তাদের উদ্ধার করে।পরে চেয়ারম্যানের লোকদের মাধ্যমে সিএনজি অটোরিক্সাযোগে আহত একজনকে মালঞ্চস্থ উপজেলা কমপ্লেক্সে এবং অপর একজনকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার দিন সে মারা যায়। এদিকে এই ঘটনায় গত শনিবার (২০জুলাই) মধ্যরাতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় অঞ্জাতনামা চারশত মানুষকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত এসআই মোঃ চুন্নু মিয়া বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নম্বর ৪৪ এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হচ্ছে কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বিপুল চন্দ্র দাস । এব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের জানান, এই গনপিটুনির ঘটনার সাথে যারাই জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। নিজ হাতে আইন তুলে নিয়ে কেউ এধরনের ঘটনা ঘটালে সে কোনমতেই রক্ষা পাবে না। অপরাধী যেইহোক তাকে আমরা আইনের হাতে সোপর্দ করব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।