নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আয়ারল্যান্ড সফরের পর বিশ্বকাপ- প্রায় দুই মাসের টানা ব্যস্ত সূচির মাঝে একেবারেই পরিবারচ্যুত ক্রিকেটাররা। এই ‘হোমসিকনেস’ কাটিয়ে উঠতে না পারার খেসারতই কি দিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল? বিশ্বকাপে প্রত্যাশা না মেটাতে পারা মাশরাফিদের হাতাশাজনক পার্ফরম্যান্সের পর এই প্রশ্নটিও উঠতে পারে। তবে তাদের ভিড়ে ঠিকই নিজের কাজটি অবলিলায় করে গেছেন একজন- সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে গ্রæপ পর্বের ৮ ম্যাচের ৭টিতেই পেয়েছেন ফিফটির দেখা, যার দুটিকে দিয়েছেন সেঞ্চুরির দরজা। বল হাতেও ছড়িয়েছেন দ্যুতি, ১১ উইকেটের টালিতে আছে ম্যাচে ৫ উইকেটও! এই পথচলায় ভেঙেছেন বহু রেকর্ড, গড়েছেন নতুন কীর্তি, ছুঁয়েছেন নতুন নতুন মাইলফলক। বিশ্বকাপ শেষে অবসর সময়টি পরিবার নিয়ে কাটাতে এবং পবিত্র হজ্বব্রত পালনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে বাড়তি ছুটি চেয়ে দেশসেরা তারকার আবেদনটি গৃহীত হয়েছে সাদরে।
ইউরোপ ভ্রমণের লম্বা তালিকায় সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালির সঙ্গে একদিনের জন্য স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে ঘুরে এসেছেন আমেরিকাও। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে মূল অতিথি হিসেবে এমন অভিমত ব্যক্ত করেন সাকিব। সেখানেই বাংলাদেশ দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক ও ওয়ানডে দলের সহ-অধিনায়ক জানিয়েছেন নিজের লক্ষ্য ও ভবিষ্যত স্বপ্নের কথা, দেশের অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ জিততে চান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। দলীয় পারফরম্যান্সে খুশি নন সাকিবও। তিনি মনে করেন, দলের কোনো ক্রিকেটারই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে খুশি নন সাকিব, ‘হ্যাঁ, আমরা ভালো খেলেছি। কিন্তু এই পারফরম্যান্সে আমি খুশি না। আমার মনে হয় খেলোয়াড়রা কেউই খুশি না।’
সাকিব মনে করেন, তরুণ খেলোয়াড়দের ঠিকমত দেখভাল করলে ও তাদের আরও ভালো ভাবে গড়ে তুললে আগামী বিশ্বকাপে ভালো ফলাফল পেতে পারে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে সাকিব ৬০৬ রান ১১ উইকেটের মালিক ছিলেন, কিন্তু দলীয় পারফরম্যান্সের সমন্বয় না ঘটায় পয়েন্ট টেবিলের আট নম্বরে থেকে আসর শেষ করে টাইগাররা। আগামী বিশ্বকাপে ভালো করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সাকিব বলেন, ‘এখনকার খেলোয়াড়রা ছাড়া আগামী চার বছর থাকবে, তাদের সব ধরণের সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। ভালো খেলুক বা খারাপ খেলুক সবসময় পাশে থাকতে হবে। এখন থেকে তাদের নিয়ে কাজ করলে চার বছর পর একটা ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে।’
এসময় সাকিব জানান, অধিনায়ক হিসেবে কখনো বিশ্বকাপ জিততে পারলে সেটিই হবে তার জীবনের সেরা অর্জন, ‘বিশ্বকাপের মঞ্চে খেলতে পারাটাই যে কোন ক্রিকেটারের আজন্ম লালিত স্বপ্ন। আমি আগের এই মঞ্চে খেলার স্বাদ পেয়েছি। সামনেও হয়তো সুযোগ আছে। যদি অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্বসেরার ট্রফিটা এনে দিতে পারি তবে সেটিই হবে আমার জীবনের সেরা অর্জন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।