পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
ছোটদের দৌড়াদৌড়ি কলকাকলিতে কান ঝালাপালা হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু তা না-হয়ে ইদানিং চিত্রটা অনেক বদলে গেছে। সবুজ ঘাসের উপর কচিকাঁচাদের দূরন্তপনা এখন আর চোখে পড়ে কই? মাঠজুড়ে ছুটে বেড়ানো, দৌড়াদৌড়ি করা শিশু-কিশোরদের এখন দেখা মিলে না বললেই চলে। কবি যথার্থ বলেছেন-‘আমাদের যুগে আমরা যখন খেলেছি পুতুল খেলা/ তোমাদের যুগে এই বয়সেই লেখাপড়া করো মেলা।’ ‘অ্যাক্টিভ হেলদি গ্লোবাল অ্যালায়েন্স’-এর রিপোট বলছে, ডিজিটাল যাপন ক্রমশ বদলে দিচ্ছে শৈশবের সংজ্ঞা। সার্বিক জীবনযাপনে নগরায়ণের প্রভাব যত গাঢ় হচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মন এবং স্বাস্থ্য।
খেলাধুলায় শরীর ও মন ভালো থাকে। এই আপ্তবাক্যটি এখন আর কাজ দিচ্ছে না। কারণ এখনকার শিশু, কিশোর-কিশোরীরা খেলার প্রতি তেমন আকৃষ্ট নয়। স্কুলগুলোতে শিক্ষার অন্যান্য সিলেবাসের সাথে নামকাওয়াস্তে খেলাধুলা কথাটি যুক্ত থাকলেও সেটুকুও হচ্ছে না। ডিজিটাল মাধ্যমকেই ছোটোরা নিজেদের বিনোদনের সঙ্গী করে নিয়েছে। তাদের আসক্তি বাড়ছে ডিজিটাল দুনিয়ার উপর। এতে শৈশব আর থাকল কই? খেলা তো দূরের কথা, তারা খেলার নাম পর্যন্ত জানে না।
চল্লিশ বছর আগের কথা। তখনকার দিনে শিশু-কিশোররা তাদের পড়াশোনা ঠিক রেখে নানান রকম খেলা খেলত। এসব খেলাগুলো ছিল গুল্লি খেলা (মার্বেল), দাড়িয়াবান্ধা, গোল্লাছুট, লাটিম, ডাংগুলি প্রর্ভতি। বর্তমানে বড়দের ইচ্ছায় পারিপার্শ্বিক প্রতিযোগিতায় ছোটোদের আঙ্গুল কম্পিউটারের কী বোর্ডে। কম্পিউটারের গেম, ভিডিও গেম, ইন্টারনেট, গেম-এর আগ্রাসনে হারিয়ে যাচ্ছে হাডুডু, জোড়-বেজোড়, লুডু, ফুলন ফুলন, কানামাছি, টুংডাং, চোর-পুলিশ, যদু-মদু-রাম-শ্যাম প্রভৃতি খেলা। তারা ভুলে যাচ্ছে আমাদের অতীত ঐতিহ্য-সংস্কৃতি।
সে সময়ে হাফপ্যান্ট পরা ছেলেদের মধ্যে একটি আকর্ষণীয় এবং জমজমাট খেলা ছিল গুল্লিখেলা। আমাদের গ্রামের আট-নয় বছরের ছেলে নরোত্তম ছিল সেরা গুল্লি খেলোয়াড়। তাকে খেলায় হারোনোর মতো তিন গাঁয়ে কেউ ছিল না। যাকে বলে বেস্ট খেলোয়াড়। সব সময় তার জামার পকেটে, হাফপ্যান্টের পকেটে এমনকি থলিতেও থাকত শত শত মার্বেল। সকালে বা বিকালে পড়ার ফাঁকে একটু সুযোগ পেলেই সে বেড়িয়ে পড়ত মার্বেল নিয়ে। কয়েকজনকে ডেকে নিজে থেকেই শুরু করে দিত খেলা। ফলে অন্যেরাও খেলায় অংশগ্রহণ করত স্বতঃস্ফুর্তভাবে। এই খেলা নানা ধরনের এবং নিয়মও বিভিন্ন রকমের। কোনো খেলার নাম থুড়ি, কোথাও দানা (দাইন), আবার কোথাও এর নাম পইট। ছোটোবেলায় ছেলেদের কাছে ওই খেলাকেই সব থেকে বেশি আকর্ষণীয় বলে মনে হত। রাস্তার পাশে বা ফাঁকা মাঠে মাটিতে একটি ছোটো গর্ত করা হত। একটু দূরে মাটিতে একটি দাগ আঁকা হত কাঠি দিয়ে। ওই দাগে পা রেখে মার্বেল আস্তে করে ছোড়া হত গর্তের দিকে। যার মার্বেল গর্তের কাছে গিয়ে থামবে কিংবা গর্তে পড়বে সে হবে ‘সেরা’। দু‘জন বা কয়েকজনের মধ্যে সব থেকে আগে মার্বেল মারা সুযোগ পাবে সে। আগেই ঠিক থাকত ক‘টা করে মার্বেল দিয়ে দাইন হবে। সবার কাছ থেকে কথামত মার্বেল নিয়ে, সব মার্বেল এক হাতে মুঠ করে, ওই দাগটিতে পা রেখে সামনের দিকে মার্বেলগুলোকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। যেদিকে মার্বেল ছড়িয়ে দেওয়া হয় ওই দিকেও একটি দাগ দেওয়া থাকে। প্রতিটি মার্বেল সেই দাগ অতিক্রম করতে হবে। একটা মার্বেলও দাগের ভিতরে দিকে থাকলে সে খেলার সুযোগ হারাবে।
মার্বেল ছড়িয়ে দেওয়ার পর দাগে পা রেখে ছড়িয়ে দেওয়া মার্বেলের যে কোনো অন্য একটি মার্বেল দিয়ে আঘাত করতে হবে। ঠিকঠাক করতে পারলে দানে সব মার্বেল তার। কিন্তু একটি মার্বেল দিয়ে অন্য মার্বেলে লাগলেই আঘাত করার পর তৃতীয় মার্বেলে লাগলেই ‘ডন’ অর্থাৎ যে মেরেছে তার সুযোগ শেষ। এরপর নিয়মমত অন্যের পালা। যে ঠিকভাবে মারতে পারবে দানের সব গুলি তার। অবশ্য সহজে কেউ যেন জিততে না-পারে সেজন্য দাগের কাছাকাছি মার্বেলের গায়ে অন্য একটি মার্বেল রেখে গার্ড বা আড়াল করার সুযোগও রয়েছে। এক্ষেত্রে অন্য মার্বেল দিয়ে দানের মার্বেলে আঘাত করা সময় কয়েকটি মার্বেলে লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করে দেওয়া হয়।
মার্বেল দিয়ে আরও অনেক রকম খেলা আছে। গাপ্পি, পইট- এমন নানা নাম। ছোটোদের গুল্লি খেলায শামিল হত পাড়ার বড়রাও। তারা ভিড় করে খেলা দেখতেন, উৎসাহ ও পরামর্শ দিতেন। ছোটোদের খেলার আঁচ অনুভব করতেন তারাও। খেলা নিয়ে ঝগড়া-বিবাদও সামাল দিতেন তারা। এভাবেই গড়ে উঠত বড়দের প্রতি শ্রদ্ধা, শৃঙ্খলাবোধ। একজোট হয়ে কিছু করার মানসিকতা। খেলা এবং জেতার মানসিকতা ছোটোদের ছোটো থেকেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার মত করে গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
ছোটোদের মনমাতানো খুব সহজ খেলা ‘লতা না মাথা’ ‘জোড়-বেজোড়’। একটি পয়সার একদিকে থাকত অশোকস্তম্ভ, এই দিকটি হল মাথা। অন্যদিকে লেখা থাকে কত পয়সা, এটা লতা।
খেলার নিয়ম হল, পয়সাটি হাতে নিয়ে আলতো করে চেপে হাত ঝাঁকাতে হবে। তাতে বোঝা যাবে না দু‘হাতের মাঝে পয়সাটি কীভাবে আছে। এই অবস্থায় বলতে হবে লতা না শাথা। পয়সার উপর থেকে হাত সরিয়ে নিলেই বোঝা যাবে মাথা উপরে না লতা উপরে। বিপক্ষ যদি উত্তর দেয় মাথা এবং হাত সরিয়ে যদি দেখা যায় মাথা উপরের দিকে আছে জিত তার। এরপর অন্যজনের পালা। এই খেলার সাথে জড়িয়ে আছে তখনকার বহু স্মৃতি। অনেক বছর আগে তামার রঙের ২০ পয়সা ছিল। লতা না মাথার খেলার জন্য ময়লা হয়ে যাওয়া ২০ পয়সা মাটিতে রেখে পায়ের গোড়ালি দিয়ে ঘষে ঘষে চকচক করা হত। এই পয়সাটি এখন আর দেখাই যায় না। তবে অনেকেই আছেন যারা একটু অন্যরকম। তারা এখনও শখের ২০ পয়সাটি বুকে ধরে শৈশবের স্মৃতিপ্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছেন।
জোড়-বেজোড় একটি সহজ এবং খুবই মজার খেলা। এই খেলাটি হত সিমের বিচি, কাঁঠালের বিচি কিংবা তেঁতুলের বিচি দিয়ে। খেলাটি দ‘জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। একজন কয়েকটি বিচি হাতে মুষ্টিবদ্ধ অবস্থায় রাখত আর অন্যজন বলতে হত জোড় না বেজোড়। কথামত জোড় বা বেজোড় বলতে পারলে দানে যতগুলো বিচি ধরা আছে সবগুলোই পাবে সে। আর যদি সে ঠিকঠাক বলতে না-পারে তাহলে দাইনের হিসাবমত গুনে গুনে সমসংখ্যক বিচি তাকে দিতে হত। আর একটি মজার খেলা নাম কুতকুত। এই খেলাটি সাধারণত মেয়েরাই খেলত বেশি। অনেক সময় মেয়েরা সংখ্যায় কম হলে ছেলেরাও তাদের সাথে খেলার সুযোগ পেত। অবসর হলেই বিকালবেলা যে বাড়ির উঠোনটি বড়, সেই বাড়ির উঠোনেই খেলার ব্যবস্থা হত। ‘ঝাড় দেওয়া পরিষ্কার উঠোনের মাটিতে কাঠি দিয়ে আঁকা হয় একটি আয়তক্ষেত্র। মাঝে একটি লম্বা টান দিয়ে ঘরটিকে সমান দু‘ভাগ করা হয়। এরপর আড়াআড়ি কাঠি দিয়ে দাগ দিয়ে আয়তক্ষেত্রটিকে মোট ছয় ভাগ করা হয়। খেলা শুরু হয় ঘরের ডানদিক থেকে। মাটির ভাঙা পাতিলের ছোট্ট এক টুকরোকে ডানদিকের প্রথম ঘরে রাখতে হয়। এরপর এক পা ভাঁজ করে রেখে আর এক পায়ে পাতিলের টুকরোটি পায়ের আলতো টোকায় দ্বিতীয় ঘরে ঠেলতে হয়। এরপর নিজেকেও এক লাফে যেতে হবে পরের ঘরে। আর মুখে বলতে হবে কুতকুত কুতকুত কুুতকুত। এভাবে এক শ্বাসে কুতকুত বলতে বলতে পাতিলের টুকরোটি পায়ে ঠেলে লাফিয়ে লাফিয়ে পেরোতে হবে আঁকা বারোটি ঘর। পরের বার শুরু করতে হবে দ্বিতীয় ঘর থেকে। পেরোতে এগারোটি ঘর। কিন্তু মাটির পাতিলের টুকরোটি পরবর্তী ঘরে ধাক্কা দেওয়ার সময় দাগে পড়লে বা লাফিয়ে ঘর পেরোনোর সময় দাগে পা পড়লেই ‘মরা’।
এক পায়ে লাফিয়ে ঘর পেরোলে, দম রেখে সব ঘর ঘুরে আসার উত্তেজনা অনুভব করতেন বাড়ির বড়রাও। এসব খেলার মধ্য দিয়েই গড়ে উঠত প্রতিবেশীদের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক। একে অন্যকে সাহায্য করার মানসিকতা নিজের শরীর-স্বাস্থ্যকে গড়ে তোলার উপকারিতা তো আছেই। খেলাটিকে একটু ঝকঝকে ও আকর্ষণীয় করে তুলতে পাতিল টুকরোর পরিববর্তে চিনামাটির প্লেট ভাঙার টুকরোও ব্যবহার করা হত। একটি বিপজ্জনক খেলার নাম টুডোং। নাম শুনলেই গা কেমন শিউরে উঠে। এই খেলা নিয়ে বাড়ির বড়দের দুশ্চিন্তার অন্ত ছিল না। কখন কী হয়। ভালোয় ভালোয় বাড়ি ফিরে এলে রক্ষা। খেলার উপকরণ বেশি কিছু নয়। এক-দেড় হাত মাপের লম্বা কোনো গাছের ডাল এবং দশ আঙুল মাপের আরেকটি ছোটো ডাল। ডালের এই ছোট্ট টুকরোটিই গুলি। আর বড়টি ডান্ডা ক্রিকেট খেলার ব্যাটের মত। মাটিতে লম্বাটে ছোটো একটি গর্ত করে তাতে গুলিটি পেতে রাখতে হয়। গর্তে রাখার ফলে ছোটো টুকরোটির কিছু অংশ মাটির উপর উঁচু হয়ে থাকে। ওই জায়গায় ডান্ডা দিয়ে হালকাভাবে বাড়ি দিলেই গুলিটি লাফিয়ে উঠে এবং এরপর গায়ের সব শক্তি দিয়ে বাড়ি মারতে হয়। গুলি গিয়ে পড়ত অনেক দূরে । কিন্তু বাড়ি মারতে না-পারলে, ফসকে গেলেই সে মরা। নিয়ম হল, বাড়ি মেরে গুলিটি দূরে ফেলার পর গুলিটি যেখানে পড়েছে সেখান থেকে গর্ত পর্যন্ত দুরত্ব ব্যবহৃত হাতে ডান্ডাটি দিয়ে মাপতে হবে, স্কেল দিয়ে লম্বা কোনো কিছু মাপার মত। এক-দুই করে ডান্ডা করে ডান্ডা দিয়ে মেপে যতটা দূরে পড়বে তার তত পয়েন্ট। সমস্যার সুত্রপাত এখানেই। মাপা ঠিকমত হচ্ছে না বলেই ঝামেলার শুরু। তখন হয়তো মাপার জন্য তৃতীয় পক্ষের কাউকে সাক্ষী হিসেবে রাখা হত। অনেক সময় জোরে ডান্ডা মারার ফলে গুলিটি বিপক্ষের গায়ে আঘাত করতে পারে। পাড়ায় পাড়ায় এমন অনেক ঘটনার জন্য ভয়ে ভয়েই থাকতেন অভিভাবকরা। খেলার শেষে অক্ষত দেহে বাড়ি ফিরলেই নিশ্চিত হতে বড়রা।
কিশোর-কিশোরীদের একটি চিত্তাকর্ষক এবং আনন্দবর্ধক খেলা কানামাছি। খেলাটি দু‘জনে খেলতে পারে আবার চার-পাঁচজনেও খেলতে পারে । একজনের চোখ কাপড় দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়। তার কাজ চোখ বাঁধা অবস্থায় চেষ্টা করে কাউকে ছুঁতে পারে তাহলে যাকে ছুঁল সে মরা। এরপর যে মরা তার চোখ বেঁধে দেওয়া। এভাবেই খেলা চলে। তবে চোখ বাঁধা ব্যক্তি যাতে কাউকে সহসা ছুঁতে না-পারে তার চেষ্টার ত্রুটি রাখে না কেউ। শিশুদের কানামাছি হারিয়ে গেলেও কড়দের কানামাছি কিন্তু চলছেই। নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে সুযোগ বুঝে অন্যের চোখ বেঁধে নিজেদের আখের গুছিয়ে নিচ্ছে কায়েমি স্বার্থবাদীরা।
লুডু ঘরোয়া পরিবেশের খেলা। ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে বিছানায় গোল হয়ে বসে লুডু খেলার আনন্দই আলাদা। একটু সুযোগ পেলেই খেলতে বসা। একটি ছক্কার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। বিপক্ষের ঘুঁটি খাওয়ার জন্য বুক ধরফড় করা কিংবা সাপের মাথায় পড়ে হিরো থেকে ঝিরো হওয়ার চাপা উত্তেজনা। ঘুঁটির চাল নিয়ে লুটোপুটি, মনোমালিন্য এখন আর চোখেই পড়ে না। তবুও কোনো কোনো জায়গায় লুডু এখনও বেঁচে আছে অনেক পরিবারে। তবে নেই আগের মর্যাদা-আদর। অবশ্য থাকবে কী করে? সময় কোথায়? সকালে স্কুল। প্রাইভেট মাস্টারের বাড়ি। নাচ, গান, ছবি আঁকা এসবেই ব্যস্ত থাকতে হয় শিশু কিশোরদের।
ছেলেবেলার এসব খেলা অনেকের কাছে এখন শুধুই স্মৃতি। অতি আধুনিকতার ঝড়ে আমাদের পরম্পরাগত খেলাগুলো অনেকের কাছেই সেকেলে, গেঁয়ো। চোর-পুলিশ, যদু-মধু-রাম-শ্যাম, ফুলন ফুলন, কামাল চুরি, রান্নাবান্না, পুতুলের বিয়ে এমন আরও অনেক খেলাই হারিয়ে গেছে। খেলাধুলা নিছক মনোরঞ্জনেরই বিষয় নয়। খেলাধুলার মধ্যে শিশু অবস্থা থেকেই গড়ে উঠে ভ্রাতৃত্ববোধ। অনেকের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া, কোনো বিষয় ভাগ করে নেওয়ার মানসিকতা। এই পরিবেশ শিশু, কিশোর-কিশোরীদের দিতে পারছি না আমরা। এর জন্য দায়ী কে? অভিভাবক না সময়? সবাই মিলেই খুঁজতে হবে এসবের উত্তর।
লেখক: সাংবাদিক-কলামিস্ট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।