প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
ব্যবসায়ী ও চিত্রনায়ক অনন্ত জলিলের চুরি হওয়া টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। টাকা উদ্ধারের সঙ্গে আভিযুক্ত আসামীও ধরা পড়েছে পুলিশের জালে। অনন্ত জলিলের তৈরী পোশাক কারখানা এ জে আই গ্রুপের গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিলের চুরি হওয়া ৫৭ লক্ষ টাকার মধ্যে ২৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন অনন্ত নিজেই।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, টাকা চুরির আসামি অনন্ত জলিলের গাড়ি চালক শহিদ বিশ্বাসের দেওয়া তথ্য মতে একটি বাড়ির উঠানের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার সকালে শহীদকে গ্রেফতার করা হয়। ভোলার দৌলতখান উপজেলার জয়নগর গ্রাম থেকে শহীদের সঙ্গে তার স্ত্রী আরজু বেগম এবং সহযোগী জুয়েল ও শাহাবুদ্দিনকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। চুরি করা টাকার মধ্যে ২০ লাখ টাকা পলিথিনে মুড়িয়ে বাড়ির উঠানে পুঁতে রাখেন শহীদ। তাকে গ্রেপ্তারের পর সেই টাকা মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়। আর তার স্ত্রী আরজুর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে অনন্ত জলিল গতকাল বুধবার নিজের ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। স্ট্যাটাসে পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে ধন্যবাদ জানাতেও ভুল হয়নি এই মামলার সঙ্গে জড়িত সকল পুলিশ অফিসারকে।
অনন্ত জলিলের দেওয়া সেই স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো। ‘ঢাকা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব শাহ মিজান শাফিউর রহমান বিপিএম (বার) পিপিএম, জনাব মোঃ সাঈদুর রহমান পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ (অপরাধ) উত্তর'দ্বয়ের এর সার্বিক দিকনির্দেশনায় ডিবি উত্তরের একটি চৌকস দল জনাব মোঃ আবুল বাসার পিপিএম (বার) অফিসার ইনচার্জ ডিবি উত্তর এর নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ আশরাফুল আলম সঙ্গীয়, এসআই মোঃ নজরুল ইসলাম, এএসআই জাহিদ, এএসআই আজহারুল সহ এক শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান পরিচালনা করিয়া মামলার প্রধান আসামি শহীদ ও তার সহযোগী আসামী জুয়েল, শাহাবুদ্দিন, আরজু বেগম’দের ভোলা জেলার দৌলতখান থানার জয়নগর গ্রাম হতে গ্রেফতার করা হয়। আসামির স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে আসামি শহীদ এর নির্মানাধীন বাড়ীর সামনে মাটির নীচ হতে ২০ লক্ষ টাকা এবং তার স্ত্রী আরজুর নিকট হতে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার মোট ২৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। মামলার আসামি গ্রেফতা ও উদ্ধার কাজে সার্বিক সহায়তা করেন মামলার বাদী মোঃ জাহিদুল হাসান মীর, হেড অব এইচ আার এ্যাডমিন, এজেআই গ্রুপ। ডিবি উত্তর ঢাকা জেলার অফিসারদের কর্মদক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে লুন্ঠিত টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হন। আবারো প্রমাণ করলো ‘পুলিশ জনতা, জনতাই পুলিশ’ ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার জনগণের আস্থাভাজন পুলিশ কর্মকর্তা।-অনন্ত জলিল’
ভিডিওতে দেখে নিন কিভাবে মাটির নিচ থেকে উদ্ধার হলো অনন্ত জলিলের চুরি হওয়া টাকা: লিঙ্ক
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।