নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ জাতীয় দলের এক সময়ের নিয়মিত ছিলেন খেলোয়াড় এনামুল হক। পরবর্তীতে ফর্মের বাজে অবস্থার কারণে দলে জায়গা হারান তিনি। ২০১৫ বিশ্বকাপের মাঝ পথে ইনজুরিতে পড়ে দেশে ফিরেছিলেন এই ওপেনার। এরপর প্রায় তিন বছর পর ২০১৮ সালে পুণরায় উইন্ডিজ সিরিজে দলে ডাক পেয়েছিলেন। কিন্তু প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় টিকতে পারেননি দলে। তখন বাদ পড়ায় বিজয়ের শেষ অনেকেই দেখে ফেলেছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ মৌসুম কাটানোয় আবারও সুযোগ পেলেন তিনি। এবার এই সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগাতে চান জিয়।
মূলত লিটন দাসের ছুটিই দলে তার জায়গা মসৃণ করে দিয়েছে। তবে এ সুযোগটা হাতছাড়া করতে চান না তিনি। নিজের অনুভ’তির কথা গণমাধ্য এভাবেই ব্যক্ত করলেন তিনি, ‘আমি এমন দিনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এখন আমার একমাত্র কাজ হচ্ছে ভালো খেলা। একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমি বিশ্বাস করি পারফরম্যান্সই সব কিছু। সিরিজটা ভালো খেলতে চাই।’
লম্বা সময় পর গত বছরের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন তিনি। তিন ম্যাচের সিরিজে যথাক্রমে ০, ২৩ ও ১০ রানের ইনিংস খেলেন এই ওপেনার। তন্মধ্যে দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ৯ বলে ২টি চার ও ২টি ছয়ে ২৩ রান করার পর আউট হন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ক্রিজে থিতু হয়ে আউট হওয়াকে অনেকেই মেনে নিতে পারেননি তখন। কিন্তু কালের পরিক্রমায় বিজয় নিজেকে অনেক গুছিয়ে নিয়েছেন এই তারকা। ২০১৪ সালে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে শতরানের ইনিংস এবং একই বছরে ক্যারিবীয়দের বিরুদ্ধে ১০৯ রানের ইনিংসেই চোখ বিজয়ের। তেমন কিছুরই স্বপ্ন দেখেন বিজয় এবং সেই সঙ্গে সকলের দোয়া চান তিনি, ‘আশা করছি এবার সুযোগটা কাজে লাগাতে পারব। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।’
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বর্তমানে খেলছেন বিজয়। সেখানে খেলেছেনও দুর্দান্ত। ১২১ রানের একটি আকর্ষণীয় ইনিংস খেলে নির্বাচকদের পুণরায় ভাবতে বাধ্য করেন তিনি। এছাড়া চলতি বছর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের মৌসুমটাও ভালো গেছে তার। টানা তিন ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন। শেষদিকে একটু ¤øান হলেও ১৬ ম্যাচে করেছেন ৫৫২ রান।
সা¤প্রতিক সময়ে তার পারফরম্যান্সেই ডাক পেয়েছেন তা জানালেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুও, ‘সে (বিজয়) সবসময় আমাদের দৃষ্টিতে ছিল। স¤প্রতি সে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে দারুণ খেলেছে। আশা করছি সে তার পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা শ্রীলঙ্কায় ধরে রাখবে। ইমরুল কায়েসও আমাদের দৃষ্টিতে ছিল। কিন্তু তার সা¤প্রতিক পারফরম্যান্স প্রত্যাশা অনুযায়ী নেই। তাই আমরা বিজয়কেই বেছে নিয়েছি।’ বিজয় তার ক্যারিয়ারে ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন ৩৭টি। ৩০.৫২ গড়ে ১০৩৮ রান করেছেন তিনি। ১২০ রানের ইনিংসই তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ। তিনটি সেঞ্চুরি ও তিনটি হাফ-সেঞ্চুরি আছে তার নামের পাশে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।