পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকান্ডে তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি জড়িত ছিলেন। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির গতকাল বুধবার এ কথা বলেছেন। হুমায়ুন কবির বলেন, রিফাত শরীফ হত্যার ঘটনায় মূল আসামি নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর সঙ্গে মিন্নি পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকান্ড সংগঠিত করেছে।
রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গ্রেফতার নিহতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার বেলা ৩টার দিকে মিন্নিকে কড়া পুলিশ প্রহরায় বরগুনার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির মিন্নিকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্র জানায়, গতকাল বেলা তিনটায় পুলিশ মিন্নিকে বরগুনার বিচারিক হাকিম মো. সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে হাজির করে। এ সময় আদালতের চারপাশে কড়া পুলিশ প্রহরা ছিল। আদালতের বাইরে মিন্নির বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনরা উপস্থিত থাকলেও তাদের সঙ্গে তাকে কথা বলেত দেয়া হয়নি। আদালতের কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর বেলা পৌঁনে চারটার দিকে মিন্নিকে আদালত থেকে কড়া প্রহরায় পুলিশ লাইন্সে নেয়া হয়।
এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শাজাহান হোসেন বলেন, মিন্নি এ মামলার ১ নম্বর সাক্ষী হলেও জিজ্ঞাসাবাদে রিফাত হত্যাকান্ডের সঙ্গে মিন্নির সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে হাজির করে মিন্নির ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিফাত হত্যাকান্ডের বিষয়ে মিন্নির কাছে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। এজন্য তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, মিন্নি মানসিকভাবে অসুস্থ। এটা জানিয়েই আদালতে মিন্নির জামিন আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু জামিন না মঞ্জুর করে তার রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বরগুনার মাইঠা এলাকার বাবার বাসা থেকে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরসহ মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তার বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য বরগুনার পুলিশ লাইন্সে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর দীর্ঘ ১০ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ ও বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ ও পুলিশের কৌশলী এবং বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে আটকে যান মিন্নি। বেরিয়ে আসে হত্যাকান্ডে তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ। এরপরই মিন্নিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।