বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হবিগঞ্জের মাধবপুরে এক শিক্ষক কে সমাজচ্যুত ও এক ঘরে করে রেখেছে স্থানীয় মাতবর(সর্দ্দার) ও কথিত সার্চ কমিটি । লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার জদীশপুর জেসি উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক কাজী ফারুক আহাম্মেদের বাড়িতে কেউ প্রবেশ করলে তাকেও শাসন করা হয়। সর্দ্দার ও সার্চ কমিটির ভয়ে কেউ ওই শিক্ষকের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে পারছে না। শুধুতাই নয় ওই শিক্ষকের গৃহ নির্মান, বিদ্যূৎ সংযোগ ও পানি চলাচলে বাধা দিয়ে হত্যার হুমকি পর্যন্তও দেওয়া হয়েছে । অন্যতায় তাদের সমাজচ্যুত বা এক ঘরে করা রাখা হয়েছে।
নিজেদের গড়া “সার্চ কমিটি” নীতিমালার মাধ্যমে চলছে মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর গ্রামের সামাজিক বিচার আচার। ওই এলাকায় বাইরের কোন মানুষ বাড়িঘর করলে তাদের সার্চ কমিটির নীতিমালা মেনে চলতে হয় যা। সার্চ কমিটির রোষানলে পড়েছেন মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর জেসি উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজী শিক্ষক কাজী ফারুক আহাম্মেদ।
শিক্ষক ফারুক আহাম্মেদের উপর এমন অমানবিক আচরনের কারনে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ইতোপূর্বে এমন সার্চ কমিটি সরকার বা প্রশাসনের দ্বারা স্বীকৃত কি না সেটা আমাদের জানা নেই। ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা জানান, জগদীশপুর গ্রামে বাহির থেকে এসে জমি কিনে কোন লোক বাড়িঘর করতে গেলে তথাকথিত সার্চ কমিটির লোকজন নানা ভাবে নির্যাতন করতে থাকে। ক্ষুদ্ধ শিক্ষকরা জানান, জগদীশপুর জেসি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কাজী ফারুক আহম্মেদ ১০ শতক জমি কিনে বসতঘর নির্মান করতে গেলে একই গ্রামের বাবুল মিয়া ও রানা মিয়া বাঁধা দিয়ে সিমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে। বিদ্যূৎ ও পানি চলাচলে বাধা দেন। রানা ও বাবুলের পক্ষ নিয়ে জগদীশপুর গ্রামের সমাজপতিরা শিক্ষক ফারুক আহাম্মদ কে সমাজচ্যুত করে একঘরে করে রেখেছে।
এ ঘটনায় শিক্ষক ফারুক আহাম্মেদ আইনের প্রতিকার চেয়ে মাধবপুর থানায় জগদীশপুর গ্রামের বাবুল মিয়া, রানা মিয়ার নামে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে জগদীশপুর ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি শালীসে নিষ্পত্তির জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলাম কিন্ত শিক্ষক শালীসে উপস্থিত না হয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন। সার্চ কমিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন গ্রামে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মাধবপুর থানার এসআই লিটন ঘোষ, অভিযোগপ্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন উভয় পক্ষ কে ডেকে নিয়ে আলোচনার ভিত্তিতে বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হচেছ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।