Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

দলেই ‘একঘরে’ হয়ে পড়ছেন ট্রাম্প

প্রকাশের সময় : ১০ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ভিডিও ফাঁসে স্ত্রীও বিব্রত : আহ্বান সত্ত্বেও প্রার্থীতা প্রত্যাহার করবেন না
ইনকিলাব ডেস্ক : নারীদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের অডিও টেপ ফাঁস হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলের আরও কয়েকজন সিনিয়র নেতা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। বিবিসি’র খবরে বলা হয়, রিপাবলিকান দলের এক ডজনেরও বেশি নেতা ট্রাম্পের উপর থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছেন। এবং এ সংখ্যা আরো বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে ট্রাম্প তার নিজের দলেই একঘরে হয়ে পড়ছেন, যার ভয়াবহ প্রভাব নির্বাচনে অনিবার্য এবং তা কাটিয়ে ওঠা প্রায় অসম্ভব। গত শুক্রবার ওয়াশিংটন পোস্ট ২০০৫ সালে ট্রাম্পের সঙ্গে এনবিসি টিভির উপস্থাপক বিলি বুশে একটি কথপোকথন ফাঁস করে। যেখানে ট্রাম্পকে নারীদের ব্যাপারে অনেক অশ্লীল ও আপত্তিকর কথা বলতে শোনা যায়। ওই কথপোকথনে বিবাহিত এক অভিনেত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে উদগ্র আগ্রহের কথাও বলতে শোনা যায় ট্রাম্পকে, যিনি বর্তমানে তৃতীয় স্ত্রী মেলানিয়াকে নিয়ে ঘর করছেন। ভিডিও প্রকাশের পর ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়াও বিব্রত হয়েছেন বলে জানান। তবে এত সমালোচনা এবং প্রার্থীতা প্রত্যাহারের আহ্বান সত্ত্বেও রিপাবলিকান এই প্রার্থী।
অডিও টেপ প্রকাশের পরপরই কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার পল রায়ান, উটাহ রাজ্যের রিপাবলিকান গভর্নর গারি হারভার্ট, রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির চেয়ারম্যান রেইন্স প্রেইবাস এবং সিনেটে রিপাবলিকানদের নেতা মিচ ম্যাককনেল ট্রাম্পের ব্যাপক সমালোচনা করে নারীদের কাছে তাকে ক্ষমা চাইতে বলেন। পরে এক ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প তার এক যুগ আগের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চান। তবে সেইসঙ্গে স্পষ্ট করে বলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন না। টুইটারে ট্রাম্প বলেন, “আমার সরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা শূণ্য। কারণ প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে আমি অবিশ্বাস্য সমর্থন পেয়েছি। গণমাধ্যম এবং কর্তৃপক্ষ আমাকে খুব খারাপভাবে নির্বাচনী দৌড় থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছে।”
রিপালিকান দলের অন্য যেসব নেতা ট্রাম্পের উপর থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছেন তারা হলেন, দলের সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জন ম্যাককেইন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কনডোলিৎসা রাইস ও নিউ হ্যাম্পশায়ারের সিনেটর কেলি আয়ত্তে।
ম্যাককেইন বলেন, “এমনকি পরিস্থিতি যদি ট্রাম্পের প্রার্থিতার পক্ষেও থাকে তারপরও তিনি যে মন্তব্য করেছেন তাতে তার উপর সমর্থন ধরে রাখা অসম্ভব।” রাইস বলেন, “যথেষ্ট হয়েছে! ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়া উচিৎ না। তার সরে দাঁড়ানো উচিত।” এক বিবৃতিতে কেলি বলেন, “আমি এমন একজনকে সমর্থন করতে পারি না এবং করবও না, যিনি দম্ভের সঙ্গে নারীদের অবমাননা করেন এবং নীপিড়ন করেন। আমি হিলারি ক্লিন্টনকেও ভোট দেব না। বরং সেখানে মাইক পেন্সের নাম লিখে আসব।” আরও বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান নেতা পেন্সকে ভোট দেওয়ার কথা বলেছেন।
এ বিষয়ে শনিবার ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “আমার স্বামী যে শব্দ ব্যবহার করেছেন সেটা আমার কাছে অগ্রহণযোগ্য ও আক্রমণাত্মক। আমি যে মানুষটাকে চিনি ওই মন্তব্যগুলো তার সঙ্গে মানায় না। তার একজন নেতা হওয়ার মত হৃদয় ও মন আছে। আমি আশা করি মানুষ তাকে ক্ষমা করবে, যেমন আমি করেছি এবং আমাদের দেশ ও বিশ্বকে অন্য যেসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মোকাবেলা করতে হচ্ছে সেগুলোর দিকে মনযোগ দেবে।”



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দলেই ‘একঘরে’ হয়ে পড়ছেন ট্রাম্প
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ