পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইমেরিটাস প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, দেশের বুদ্ধিজীবীরা দায়িত্ব পালন না করে ‘চামচাগিরি’ করছেন। গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে আয়োজিত এক স্মারক বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ শিক্ষাবিদ বলেন, বুদ্ধিজীবীদের মানুষকে পথ দেখানোর কথা। কিন্তু তাঁরা চামচাগিরি করেন, বিশ্বাসঘাতকতা করেন, দায়িত্ব পালন না করে উল্টোটা করেন, এটাই বাংলাদেশে হচ্ছে, চলছে। নাজমুল করিম স্টাডি সেন্টারের উদ্যোগে আয়োজিত এ বক্তৃতা সভায় বাংলাদেশ : কর্তৃত্ববাদী রাজনীতির চালচিত্র’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ। এসময় সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ড. নেহাল করিম উপস্থিত ছিলেন।
প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমরা উন্নতি অনেক করেছি, দৃশ্যমান উন্নতি আছে, অবকাঠামোগত উন্নতি আছে, জিডিপি পরিসংখ্যান আছে, বিদেশি প্রশংসা আছে। কিন্তু ভেতরের দুর্দশা হচ্ছে শিশুর। যে শিশু খেলতে চেয়েছিল, খেলতে গিয়ে ধর্ষিত হলো, খেলতে গিয়ে প্রাণ হারাল। এটাই হচ্ছে বাংলাদেশের বাস্তবতা। এই বাস্তবতাই প্রতিফলিত হচ্ছে, এই রাষ্ট্র নৃশংস, এই রাষ্ট্র আমলাতান্ত্রিক। রাষ্ট্রকে ‘কর্তৃত্ববাদী’ মন্তব্য করে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘শুধু কর্তৃত্ববাদী বললেই হবে না, এই ব্যবস্থা পিতৃতান্ত্রিক, পুঁজিবাদী ও চূড়ান্ত। এই রাষ্ট্র ফ্যাসিবাদী। ক্ষমতা যখন একজনের হাতে চলে যায়, সেটা আমরা পাকিস্তানের আমলে দেখেছি, ৪৬ বছর ধরে বাংলাদেশের ইতিহাসে দেখছি। এই রাষ্ট্রের আমলাতান্ত্রিক, পুঁজিবাদী চরিত্র আরও বিকশিত হয়েছে, নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। আর সেই জন্যই আজকের দুর্দশা হচ্ছে, আমরা কোনো আশার আলো দেখতে পাচ্ছি না।
তিনি সমাজ থেকে পুঁজিবাদকে দূর করতে না পারলে সমাজ আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে বলে মন্তব্য করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘রাজনীতি যখন প্রতিহিংসার শিকার হয় বা নেপথ্যে চলে যায়, তখন বুদ্ধিজীবীরা পথ দেখান। এখন বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়ের মধ্যে পদ-পদবি-পদকের মোহ এত বেশি যে, তারা রাজনীতিবিদদের তথা রাজনৈতিক দলগুলোর মোসাহেবে পরিণত হয়েছেন। বুদ্ধিজীবীদের অধঃপতনের আরেকটি কারণ বা অনুষঙ্গ হলো সামাজিক আন্দোলন থেকে দূরে থাকা।’
মহিউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রের কর্তৃত্ববাদী চরিত্র শুধু বাংলাদেশের নয়, সারা বিশ্বেই এমনটা হচ্ছে। বাংলাদেশে বাস করে প্রতিনিয়ত আমরা এটার মুখোমুখি হই। কর্তৃত্ববাদ মানে অন্যের ওপরে নিজের মতামত চাপিয়ে দেওয়া। এটা আমরা সর্বত্র প্রতিনিয়ত দেখছি। রাজনীতিতে, অর্থনীতিতে, বিভিন্ন সামাজিক ক্ষেত্রে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও দেখছি, মতামত চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা। এমনকি গণমাধ্যমেও এই প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। গণতান্ত্রিক চর্চার সঙ্গে এই চাপিয়ে দেওয়া কর্তৃত্ববাদ সংগতিপূর্ণ না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।