বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোমলমতি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত মাওলানা আবুল খায়ের বেলালী পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, তিনি এ পর্যন্ত ৮ জন কোমলমতি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেছে। ধর্ষণের পর কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যাতে মুখ না খুলে তার জন্য কোরান শরীফে হাত রেখে দোজখের ভয় দেখাতেন। এভাবেই তিনি তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ধর্ষণ করতেন। এসব কথা বলেছেন নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোঃ শাহজাহান মিয়া।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দুয়া সদর উপজেলার বাদে আঠারবাড়ী মা হাওয়া (আঃ) কওমী মহিলা মাদ্রাসার মুহতামিম আবুল খায়ের বেলালী সিলেট বালুরচর কওমী মাদ্রাসা হতে একজন দাওরায়ে হাদীস অর্জনকারী মাওলানা। তিনি একজন সুবক্তা, একজন ইমাম, শুক্রবারে জুম্মার নামাজের খতিব। মাওলানা (!!!) আবুল খায়ের বেলালী ২০১৫ সাল থেকে কেন্দুয়ার বাদে আঠারবাড়ি এলাকায় মা হাওয়া (আ:) কওমী মহিলা মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক (মুহতামিম) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। যে মাদ্রাসায় রয়েছে প্রায় ৩৫ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছাত্রী। তাদের মধ্যে ১৫ জন আবাসিক। সেখানে তিনিও আবাসিক। সময় সুযোগ বুঝে তিনি কলিংবেল চাপেন আর ওনার পছন্দমত একজন কোমলমতি ছাত্রীর ডাক পরে তার গা-হাত-পা টিপে দেবার জন্য। আর এক পর্যায়ে তিনি সেই অবুঝ শিশুদের উপর যৌন নির্যাতণ ও ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ শেষে আবার কোরআন শরীফ হাতে দিয়ে শপথ করান কাউকে কিছু না বলার জন্য, বললে কিন্তু আল্লাহ তোমাকে দোযখের আগুনে পোড়াবেন বলে ভয় দেখাতেন। ভয়ে কোমলমতি ছাত্রীরা কাউকে কিছু বলতেন না।
কিন্তু গত শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে ১১ বছর বয়সী এক কোমলমতি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেন এবং তাকে কোরান শরীফে হাত রেখে শপথ করান। কিন্তু বীরাঙ্গনা সেই কোমলমতি সাহসী শিক্ষার্থী ভয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করে জয়ী হয় এবং বলে দেয় সেই যন্ত্রনার মুহুর্ত গুলোর কথা তার বড় বোনসহ বাড়ির লোকজন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকলকে। স্থানীয় এলাকাবাসীর সহায়তায় আটক হন সেই হুজুররূপী ধর্ষক। থানায় আটক থাকা অবস্থাতেই আরো একজন শিশু তার উপর চালানো পাশবিক নির্যাতনের কথা থানা পুলিশকে জানায়। কেন্দুয়া থানায় বেলালীর বিরুদ্ধে দুইটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, শনিবার বিকাল ৩ টার দিকে জুডিসিলায় ম্যাজিষ্ট্রেট সোহেল ম্রং এর আদালতে উপস্থাপন করা হলে মাওলানা বেলালী ১৬৪ ধারায় স্বীকারোত্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন। পরে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।