পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর ভাটারা থানাধীন সোলমাইদ এলাকা থেকে আয়েশা আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সোলমাইদের একটি বাসা ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। আইনি প্রক্রিয়া শেষে বিকেলের দিকে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, মৃত আয়েশা নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর ওয়াবদা গ্রামের খোকন মিয়ার মেয়ে। দুই সন্তানকে নিয়ে সোলমাইদের ফরাজীটোলা কবরস্থান রোডস্থ একটি ছাপড়া ঘরে ভাড়া থাকতেন। তার স্বামী জসিম উদ্দিন ট্রাকচালক এবং তিনি একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। তার স্বামীই তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবার। নিহত আয়েশার চাচাতো ভাই তৌহিদুল ইসলাম বলেন, দুই বছর আগে আয়েশার স্বামী জসিম কাউকে না জানিয়ে আরেকটি বিয়ে করে। তখন থেকে জসিম টাঙ্গাইলে এবং আয়েশা ঢাকায় থাকেন। গত ৩/৪ দিন আগে জসিম টাঙ্গাইল থেকে সোলমাইদ এলাকায় তার মায়ের বাসায় আসেন। পরে বৃহস্পতিবার জসিমের বোন এসে আয়েশার মেয়েকে নিয়ে যায়। রাতে ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন আয়েশা। এদিকে, গতকাল সকালে ছেলে ঘুম থেকে উঠে তার মায়ের হাত-পা বাঁধা এবং গলায় তার পেঁচানো অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করে। পরে ছেলের কান্নাকাটিতে আশপাশের লোকজন অবস্থা দেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, স্বামী জসিম আগেও বহুবার আয়েশাকে নির্যাতন ও মারধর করেছে। জসিমই তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।
ভাটারা থানার এসআই নাজমুল হুদা বলেন, মৃতের হাত-পা ওড়না দিয়ে খাটের পায়ার সঙ্গে বাঁধা এবং গলায় তার বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি অনুসন্ধান চলছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।