রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
চরফ্যাশন উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের চরযমুনা গ্রামের নুরুল ইসলাম ওরফে ইউসুফ মাস্টার ২৫ বছর নিখোঁজ থাকার পর আদালতে বাতিজা রাসেল বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি বিজ্ঞ আদালত দুলারহাট থানাকে ঘটনা সত্য হলে তদন্তপূর্বক মামলা গ্রহণ করে অথবা রিপোর্ট প্রদানের জন্যে আদেশ দেয়া হয়েছে। অপহরণের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। মূল ঘটনা উৎঘাটনের দাবি জানিয়েছেন ইউসুফ মাস্টারের পরিবারের পক্ষ থেকে।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নীলকমলের চরযমুনা গ্রামের সুখরঞ্জন, নন্দলাল, হরলাল, অনুকুল ও বীরেন চন্দ্র বেপারীগংরা চিকিৎসার আশ্বাসে ৫ জানুয়ারি ১৯৯৪ তারিখে সকাল ১০টায় বাড়ি হতে রাসেলের চাচা নুরুল ইসলাম ওরফে ইউসুফ মাস্টার মূল্যমান দলিল এবং কাগজপত্র নগদ টাকাসহ রওনা করেন। দীর্ঘদিন ভারত হতে চিকিৎসা শেষে না আসায় তার কোন সংবাদ না পাওয়া আমার চাচা অবিবাহিত থাকায় আমরা অভিভাবক ও নিকট আত্মীয় হিসাবে খোঁজ খবর নিতে থাকি। চাচার বিষয় প্রতিপক্ষকে জিজ্ঞেস করলে কোন সঠিক উত্তর না দিয়ে বিভিন্ন সময় নানান কথা বার্তা বলে। তিনি জীবিত না মৃত তার অবস্থান সম্পর্কে আমরা সন্দিহান হয়ে পরি। তৎকালীন ১৬ নভেম্বও ১৯৯৪ তারিখে চরফ্যাশন থানায় সাধারণ ডায়রি করি। ওই সময় নিখোঁজের বিষয় একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
আমি ও আমার পরিবার নিরুপায় হয়ে বিগত ২৬ ডিসেম্বর-২০১৮ ও ১৩ জানুয়ারি-২০১৯ তারিখে বিজ্ঞ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম সরকারের মাধ্যমে চাচার সন্ধান চেয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক ৩টি নিগ্যাল নোটিশ প্রদান করি। এই সকল কর্মকান্ডে সুখরঞ্জন, নন্দলাল ও অনুকুলগংরা ক্ষিপ্ত হয়ে ৩ এপ্রিল-১৯ তারিখে লাঠি-শোঠা দিয়ে আমি ও আমার পিতা আ. হককে মারধর করে। এবং বলে বেড়ায় আর কোন সময় বর্তমান ও ভবিষ্যতে আইনের আশ্রয় নিলে আমাদেরকে খুন জখম করার হুমকি প্রদান করে।
এ ছাড়াও আমার চাচা নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর তৎকালীন স্থানীয় নীলকমল ইউপির চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন লিখন দীর্ঘ ১৫-২০ বছর চেয়ারম্যান থাকায় অবস্থায় আমাদেরকে বিষয়টি সঠিক ফয়সালা দিবে এবং আমার চাচার ব্যপারে চাপ প্রয়োগ করবে বলে খাল ক্ষেপন করেছেন বলে সংবাদকর্মীদের কাছে লিখিত অভিযোগে জানা গেছে। আমরা নিরুপায় হয়ে চরফ্যাশন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সিআর ১৮১/১৯ (চর-দুলা)মামলা দায়ের করি। মামলাটি দুলারহাট থানার ওসিকে তদন্তপূর্ব রির্পোট প্রদানের দায়িত্ব দেয়া হয়।
দুলারহাট থানার ওসি মিজানুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, প্রাথমিক তদন্তে পেলাম ইউসুফ মাস্টার নিখোঁজ রয়েছেন। তার সাথে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। রাসেল বাদী হয়ে যে মামলা করেছে। মামলাটি আদালত থেকে আমার উপর তদন্তের দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদান করা হবে। মামলার বাদী রাসেল বলেন, আমি প্রশাসনের কাছে চাচা অপহরণের ঘটনা উৎঘাটনের দাবি করছি। আজ আমার ও পরিবারের কাছে শূণ্যতা মনে হচ্ছে। ২৫ বছর পর মামলা দায়ের করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।