পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রিফাত হত্যা মামলার প্রতিবেদন হাইকোর্টে
‘আমরা বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড পছন্দ করিনি’ বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যার প্রধান আসামি নয়ন বন্ডের ‘বন্দুক যুদ্ধে’ নিহত হওয়া প্রসঙ্গে গতকাল বৃহস্পতিবার এ মন্তব্য করেন আদালত। রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হলে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান এবং বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের ডিভিশন বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। ধার্যকৃত তারিখ অনুযায়ী ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার রিফাত হত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনটি বরগুনা জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের দেয়া। মাহমুদ বাশার আদালতে বলেন, সরকার এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ত্বরিৎ ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে মামলার কোনো আসামি পালাতে পারেনি। এ যাবত মামলার অন্তর্ভুক্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ‘সন্দেহজনক’ হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে আরো ৫ জনকে। মামলার এক নম্বর আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতার করতেও পুলিশ তৎপর রয়েছে।
এ পর্যায়ে আদালত বলেন, আমরা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাÐ পছন্দ করি না। তাছাড়া একদিনে ‘নয়ন বন্ড’ তৈরি হয়নি। তাকে লালন করা হয়েছে। অপরাধী বানানো হয়েছে। আদালত বলেন, আমরা এ মামলায় কোনো রুল জারি করব না। তবে সব সময় নজর দারিতে রাখব। আগামী ৭ জুলাই মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
এর আগে গত ২৭ জুন সুপ্রিম কোর্ট বারের আইনজীবী রূহুল কুদ্দুস কাজলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রিফাত হত্যার আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রেড অ্যালার্ট জারির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এর আগের দিন ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে রিফাতকে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। স্ত্রী মিন্নি রিফাতকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিকেল ৪টার দিকে মারা যায় রিফাত। পরে হত্যার রোমহর্ষক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় নিহত রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা সদর থানায় ২৭ জুন মামলা করেন। মামলায় সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড এবং তার সহযোগী রিফাত ফরাজী ও তার ছোট ভাই রিশান ফরাজীসহ ১২ জনকে আসামি এবং অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরো ৪/৫ জনকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।