রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ‘ছেলে ধরা’ আতঙ্কে ভূগছেন সাধারণ মানুষ। রোহিঙ্গারা দিনে অথবা রাতে ছদ্মবেশে অপহরণ কিংবা অন্য কোনো অপরাধমূলক কর্মকাÐ করছে এমন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে উপজেলার সর্বত্র। এরই মধ্যে কমপক্ষে কয়েকজনকে ছেলে ধরার (অপহরণ) কথিত অপরাধে আটক করে পুলিশেও দিয়েছে এলাকাবাসী।
জানা যায়, উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ফকির হাট, সরেঙ্গা ও বরুমছড়া ইউনিয়নের লুধি মাঝির বাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় ছেলে ধরার (অপহরণ) কথিত অপরাধে দুই নারী ভিখারী ও মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিদের ধরে মারধরের ঘটনাও ঘটে। গ্রামবাসী তাদের ছেলে ধরা মনে করে আটক করে। সন্দেহভাজন যে কয়জনকে ধরেছে তারা কেউই ছেলে ধরা নন। কিছু অসাধু ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ‘ছেলে ধরা’ বলে ভিখারী, মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির ছবি ভাইরাল করছে। ছেলে ধরা আতঙ্ক এতোদূর পৌঁছেছে যে, অভিভাবকরা তাদের শিশু সন্তানদের স্কুলেও যেতে দিচ্ছেন না। পারলে সঙ্গে নিজেরা যাচ্ছেন, অথবা দলবদ্ধ হয়ে পাঠানোর চেষ্টা করছেন।
বরুমছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, আসলেই ছেলে ধরা বলতে কিছু নেই। সম্পূর্ণ গুজব এটি। অসাধু কিছু ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেলে ধরা বলে গুজব চালাচ্ছে। গুজবে কান না দেওয়ার জন্য এলাকাবাসীকে আহবান জানানো হয়েছে।
যদিও বিষয়টিকে সম্পূর্ণ গুজব বলে উড়িয়ে দিয়ে আনোয়ারা থানার ওসি দুলাল মাহমুদ বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব। গুজবে কান না দেয়ার আহবান জানানো হচ্ছে। এরা ছেলে ধরা নয়, যাদের আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে কেউ মানসিক ভারসাম্যহীন, আবার কেউ ভিখারী। গুজব ছড়িয়ে যারা ভিখারী ও মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিদের আক্রমণ করবে, সুষ্ঠু প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।