নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চিলিকে বিধ্বস্ত করে কোপা আমেরিকার ফাইনালে পৌঁছেছে পেরু। ৪৪ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মত কোপার ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো দলটি।
পোর্তো আলেগ্রেতে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে চিলিকে ৩-০ গোলে হারায় পেরু। প্রথমার্ধে এডিসন ফ্লোরেস ও ইয়োশিমার ইয়োতুনের গোলে এগিয়ে থাকার পর ম্যাচের যোগ করা সময়ে পাওলো গুয়েরেরোর গোলে দলটির বড় ব্যবধানের জয় নিশ্চিত হয়। রোববার ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ব্রাজিল।
২০১৫ ও ২০১৬ সালের ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে পরাজিত করে টানা তৃতীয়বারের মত শিরোপা জয়ের মিশনে খেলতে নামা চিলির সোনালী প্রজন্মকে পরাজিত করাটা ছিল পেরুর জন্য এবারের আসরের সবচেয়ে বড় অঘটন। ফাইনালে পরিবর্তে গত দুইবারের ফাইনালিস্ট চিলি ও আর্জেন্টিনা শনিবার সাও পাওলোতে তৃতীয় স্থানী নির্ধারনী ম্যাচে মাঠে নামবে।
গ্রুপ পর্বে এই পেরুই ব্রাজিলের কাছে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল। গ্রুপের তিনে থেকে তারা শেষ আটে ওঠে। এই পর্বে তারা টাইব্রেকারে রেকর্ড ১৫ বারের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়েকে হারিয়ে চমক দেখায়। কিন্তু এদিন পুরোটাই ছিল পেরুর দখলে। তিনবার ভিএআর’র সহায়তায় রক্ষা পেয়ে তারা চিলিকে পরাজিত করে।
ম্যাচের গোলতাদা ইয়োতান ম্যাচ শেষে বলেন, ‘পেরু তাদের সঠিক পথে ফিরে গেছে। আজকের ম্যাচের ফলাফল তারই প্রমান। ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচটা অবশ্যই কঠিন। কিন্তু সেটা সম্পূর্ণ একটি ভিন্ন ম্যাচ। ফাইনালে সকলেই জেতার জন্যই মাঠে নামে। শিরোপা জিততে হলে আমাদের অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
গোলরক্ষক পেদ্রো গালেসে ব্রাজিলের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে ছিলেন খলনায়ক। কিন্তু এদিন নিজেকে দারুণভাবে প্রমাণ করেন। কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি লুইস সুয়ারেজের পেনাল্টি আটকে দিয়ে চমক দেখিয়েছিলেন। এদিও ম্যাচের শেষ সময়ে তিনি পেনাল্টি সেভ করা ছাড়াও আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে দলকে রক্ষা করেন।
পরাজিত অধিনায়ক গ্যারি মেডেল বলেন, ‘এটা আমাদের সকলের জন্য অত্যন্ত হতাশার। কারণ, আমরা শিরোপার জন্যই লড়াইয়ে নেমেছিলাম। পেরু আজ দুর্দান্ত খেলেছে, আমরা তাদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। তারা পরিশ্রম করেছে, ফাইনালে যাওয়াটা তাদের প্রাপ্য ছিল।’
ম্যাচের শুরু থেকেই পেরু বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে। ২১ মিনিটে কুয়েভার ক্রস থেকে আন্দ্রে কারিলোর ফ্লিকে গোল করে পেরুকে এগিয়ে দেন ফ্লোরেস। ৩৮ মিনিটে কারিলোর সহযোগিতায় ইয়োটান ঠান্ডা মাথায় চারজন ডিফেন্ডারের মধ্য দিয়ে লো ভলিতে বল জালে জড়ান।
বিরতির পর মাঠে ফিরে এসে চিলি গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে উঠে। ৫১ মিনিটে এডুয়ার্ডো ভারগাসের ফ্লিক গালেসেকে পরাস্ত করলেও পোস্টে লেগে ফেরত আসে। এরপর চিলির বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টা রুখে দেন গালেসে। তবে ইনজুরি টাইমে গুয়েরেরোর গোলে চিলির পরাজয়ের ব্যবধান আরো বড় হয়। ম্যাচের অন্তিম সময়ে ভারগাসের পেনাল্টি রুখে দিয়ে চিলিকে আরো বড় হতাশা উপহার দেন গালেসে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।