প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
সংগীত শিল্পী মৌসুমী আক্তার সালমার দ্বিতীয় স্বামী সানাউল্লাহ নূরী সাগরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গোপনে বিয়ে করার অভিযোগে আজ বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে কক্সবাজারের নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ দায়ের করা মামলায় সাগর হাজিরা দিতে আদালতে উপস্থিত হলে আদালত এই আদেশ দেন।
সাগর সালমার দ্বিতীয় স্বামী। অন্যদিকে সালমাও সাগরের দ্বিতীয় স্ত্রী। সালমার আগে তার বর্তমান স্বামী সাগর অন্য আরেকটি মেয়েকে বিয়ে করেন। ২০১৪ সালের ৩ জুন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী এবং কক্সবাজারের মেয়ে তাসনিয়া মুনিয়াত পুষ্মীকে বিয়ে করেন সাগর।
সালমার সঙ্গে সাগরের বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসার আগেই তাসনিয়া মুনিয়ার মা সাগরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল ১ এ মামলা দায়ের করেন। মামলার নাম্বর ২৫৪, ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ১১ (গ), ১১ (গ)/ ৩০ ধারা।
জানা যায়, মামলাটিতে সাগরের সঙ্গে তার বাবা-মাকেও আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০ লক্ষ টাকা কাবিনে ২০১৪ সালের ৩ জুন সানাউল্লাহ সাগরের সঙ্গে বিয়ে হয় তাসনিয়া মুনিয়ার পুষ্মী। বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই সাগর যৌতুকের জন্য তাসনিয়াকে নানা ভাবে চাপ দিতে থাকে। শুধু তাই নয়, অমানবিক ভাবে পুষ্মীর শরীরে নির্যাতন চালায়। মেয়ের ভালোর দিকে তাকিয়ে পুষ্মীর বাবা-মা সাগরেকে তিন ধাপে ১০ লক্ষ টাকা প্রদান করে। ওই টাকা নিয়ে সাগর লন্ডনে পড়ালেখা করতে যান। এরপরই তারা সাগরের দ্বিতীয় বিয়ের খবরটি পান। এবং আইনের দারস্থ হন।
এদিকে শুরু থেকেই সালমা গণমাধ্যমে তার স্বামীকে নির্দোষ বলে আসছেন। সালমার দাবি তাকে বিয়ে করার অনেক আগেই সাগর তার আগের স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। সালমান অভিযোগ তার স্বামীকে ফাঁসানো হচ্ছে। স্বার্থ হাসিল করতেই এই সব মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে সালমা বিয়ে করেন রাজনীতিবিদ শিবলী সাদিককে। তাদের সে সংসারে স্নেহা নামের সাত বছরের একটি কন্যা সন্তানও রায়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।