মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভর্তি হওয়ার কিছু দিন পরই কলেজ ছেড়ে দিয়েছিলেন স্টিভ জোব্স। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েও এক বছরের বেশি টেকেননি বিল গেটস। তেমনই আরও দুই ড্রপ আউট হেনরিক ডুব্রুগাস (২৩) এবং পেড্রো ফ্রাঞ্চেশির (২২) উত্থানের কাহিনীও অ্যাপল কর্ণধার জোবস বা মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের চেয়ে কম কিছু নয়। তাদের তৈরি ব্রেক্স আইএনসি এখন বিশ্বের নামী সফটওয়্যার সংস্থাগুলির অন্যতম। বর্তমানে এই সংস্থার মূল্য ২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশী টাকায় যা ২৪ হাজার কোটির কাছাকাছি।
আকাশচুম্বী এই সাফল্যের বীজ বোনা শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে যখন ডুব্রুগাসের বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর। ওই সময়ই একটি অনলাইন ভিডিয়ো গেম তৈরি করে কার্যত বাণিজ্য দুনিয়ায় অভিষেক হয়েছিল ডুব্রুগাসের। সাফল্য এলেও পেটেন্ট বা স্বত্ত্বাধিকারীর নিয়ম না মানায় সেই উদ্যোগ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিলেন ডুব্রুগাস। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই গাঁটছড়া বাঁধেন ফ্রাঞ্চেশির সঙ্গে। শুরু হয় নতুন যাত্রা। দু’জন মিলে তৈরি করেন পগার ডট মি, যা আসলে একটি পেমেন্ট প্রসেসর অর্থাৎ অনলাইনে লেনদেনের প্ল্যাটফর্ম। বছর দু’য়েকের মধ্যেই সেই সংস্থার কর্মী সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫০। যদিও ২০১৬ সালে সেই সংস্থা বিক্রি করে দেন ডুব্রুগাস-ফ্রাঞ্চেশি। এর পরই আসে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সেই পর্ব। দু’জনই ভর্তি হন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু সেখানে এক বছরও টেকেননি। বরং সেখান থেকেই পরিকল্পনা করেন নতুন সংস্থা তৈরির। তার পরই জন্ম হয় ব্রেক্স আইএসি-র। তার পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর গত বছরই এই সংস্থার প্রথম সফটওয়্যার ‘ফিনটেক ডার্লিং’ বাজারে এসেছে। এর পরেই উত্যুঙ্গ সাফল্য।
এই মার্কিন বাণিজ্য দুনিয়ায় ধনী উদ্যোগপতিদের অন্যতম হিসেবে উঠে এসেছেন ডুব্রুগাস-ফ্রাঞ্চেশি। বর্তমানে ব্রেক্স-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং কর্ণধার হিসেবে এক এক জনের অংশের সম্পত্তির পরিমাণ বাংলাদেশী টাকায় প্রায় প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা। তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির মূল্য সমীক্ষক সংস্থা ‘ইকুইটিজেন’ এই তথ্য দিয়েছে।
সিলিকন ভ্যালিতে ড্রপ আউটদের উদ্যোগপতি হয়ে ওঠার গল্প অবশ্য জোবস-গেটসদের মতো আরও অনেকই রয়েছেন। বিশেষত স্ট্যানফোর্ড ড্রপ আউটদের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসা শুরু করা অনেকটা পরিচিত দৃশ্য হয়ে উঠেছে। কিন্তু তার মধ্যেও ব্যতিক্রম ডুব্রুগাস-ফ্রাঞ্চেশি। অল্প বয়সেই এই বিরাট সাফল্যে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন শিল্পমহলের। তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বিল গেটস বা স্টিভ জোবসের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন এই দুই যুবকের মধ্যে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।