পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দিনে-দুপুরে নুর বানু (৬০) নামে এক বিড়ি শ্রমিককে করাত দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার দুপুরে উপজেলার গন্ধর্বপুর তালতলা এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত নুর বানুর পরিবারের দাবি, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই প্রতিপক্ষের লোকজন এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ। নুর বানু গন্ধর্বপুর এলাকার মৃত আব্দুল রাজ্জাকের স্ত্রী।
আটককৃতরা হলো, সিরাজগঞ্জ জেলার সাহাজাতপুর থানার বুরজুবালা এলাকার বাবু পরামানিকের ছেলে আব্দুল বারেক, নাবাবিলা এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে আল-মামুন, ফজর আলীর ছেলে হোসেন আলী, রূপগঞ্জ উপজেলার গন্ধর্বপুর তালতলা এলাকার নুরু মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর ও আহসান উল্লাহর ছেলে আলামিন।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, গন্ধর্বপুর এলাকার নিজ বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরে বিড়ি শ্রমিক নুর বানুর গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যাকান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত হন। দুপুরের দিকে দুর্বৃত্তরা করাত দিয়ে নুর বানুর গলা কেটে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সন্দেহভাজন পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে বলেও জানান ওসি।
প্রতিবেশী এলাছুন বিবি জানান, নুর বানু বাসা ভাড়া ও বিড়ি বানিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। দুপুর ১২টার দিকে নুর বানু এলাছুন বিবিকে পান আনতে দোকানে পাঠায়। এলাছুন বিবি দোকান থেকে পান নিয়ে এসে দেখতে পান বাড়ির লোহার গেইটটি ভেতর থেকে আটকানো। পরে পার্শ্ববর্তী বাড়ির এক শিশুকে দেয়াল টপকিয়ে গেইটটি খুলে দিতে বললে গেইটটি খুলে দেয়। পরে ওই বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরে গিয়ে নুর বানুর লাশ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করে।
নিহত নুর বানুর ছেলে ইলিয়াছ মিয়া জানান, তিনি মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে বাড়িতে যান। হত্যাকান্ডের সময়ে বাড়িতে ভাড়াটিয়া আব্দুল বারেক, আল-মামুন ও হোসেন আলী ছিলো। তাদের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। এছাড়া আটকৃত জাহাঙ্গীরদের সাথে তার মা নুর বানুর এক শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। ওই বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন তার মা নুর বানুকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন। তিনি এ হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।