নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পটকিকে লুইস সুয়ারেজের মত আস্থাশীল স্ট্রাইকারের জুড়ি মেলা ভার। সেই সুয়ারেজেরই একমাত্র পেনাল্টি মিসে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে ওঠা হলো না উরুগুয়ের। টাইব্রেকারে টুর্নামেন্টের রেকর্ড শিরোপাধারীদের হারিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে পেরু।
ব্রাজিলের সালভাদরে ইতাইপাভা ফন্তে নোভা অ্যারেনায় রোববার নির্ধারিত সময়ে গোল করতে পারেনি কোনো দল। অফসাইডের কারণে উরুগুয়ের তিনটি গোল ভিএআরের সহায়তায় বাতিল হয়। গোলের সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন এডিনসন কাভানি ও ডিয়াগো গদিন। পুরো ম্যাচে উরুগুয়ের গোল পোস্টে একটি শটও নিতে না পারা পেরু পেনাল্টি ভাগ্যে জিতে যায় ৫-৪ ব্যবধানে।
বাংলাদেশ সময় ৪ জুলাই সকাল সাড়ে ছয়টায় শেষ চারে পেরু লড়বে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চিলির বিপক্ষে। আগের দিন একই সময়ে সেমিফাইনালের অন্য ম্যাচে মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল।
উরুগুয়ে ও বার্সেলোনার জার্সি মিলিয়ে সুয়ারেজ সর্বশেষ পেনাল্টি মিস করেন ২০১৬ সালের নভেম্বরে। সেই সুয়ারেজের নেওয়া প্রথম শটই রুখে দেন পেরু গোলরক্ষক। এর আগে তার একটি গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। দুই দলের হয়ে এরপর প্রত্যেকেই সফল কিক নেন। পেরুরর হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন এডিসন ফ্লোরেস।
নির্ধারিত সময়ে বাতিল হয় কাভানির গোলও। গোলমুখ বরাবর ১২ বার শট নিয়েও জালের দেখা পায়নি প্রতিযোগিতার ১৫ বারের চ্যাম্পিয়নরা। গোলরক্ষককে একা পেয়েও মাত্র ছয় গজ দূর থেকে বারের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন কাভানি ও গদিন।
ম্যাচ শেষে হতাশায় মাঠের মাঝে নুইয়ে পড়েন সুয়ারেজ। তাকে সান্ত¦না দিতে এগিয়ে আসেন সতীর্থরা। সুয়ারেসের পাশে দাঁড়ানো কাভানি মেনে নিচ্ছেন কঠিন এই বাস্তবতা, ‘গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে গোল করতে না পারায় লুইস ভীষণ হতাশ কিন্তু এটাই ফুটবল এবং জীবন। কখনও আপনি জিতবেন, কখনও হারবেন। আমরা এর আগে কোপা আমেরিকা জিতেছি কিন্তু আজ ছিটকে যাওয়াটা আমাদের মেনে নিতে হবে।’
সুযোগগুলো নষ্ট হওয়ায় হতাশ ডিফেন্ডার গদিন, ‘আমরা শুধু একটা গোল মিস করলাম। আমরা গোলের সন্ধানে ছিলাম কিন্তু এটা এলো না। যদি আমরা গোল করতে পারতাম, তাহলে ভিন্ন একটি ম্যাচ হতো।’ ‘আমরা ভালো খেললাম কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ছিটকে গেলাম। আমরা গোল করতে পারিনি। পেরু আমাদের চেয়ে ভালোভাবে পেনাল্টি শটগুলো নিয়েছে।’
কোনো অজুহাত না দেখিয়ে প্রতিপক্ষকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন কোচ অস্কার তাবারেজও, ‘ফলটা খুব হতাশার। কিন্তু আমাদের মেনে নিতে হবে। আমরা একটি জায়গায় ব্যর্থ হয়েছি-অফসাইড। মোট সাতটি অফসাইড হয়েছে এর মধ্যে তিনটি আবার গোল। এটা কোনো অজুহাত নয়। কোনো কিছু প্রমাণও করতে আসিনি। আমরা পারিনি এটাই বড় কথা। প্রতিপক্ষ পরিকল্পনা করেই এসেছিল, আমরা জিততে পারিনি।’
সেমিফাইনাল
মুখোমুখি সময়
আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ৩ জুলাই সকাল সাড়ে ৬টা
পেরু-চিলি ৪ জুলাই সকাল সাড়ে ৬টা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।