পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ট্রেনে হামলায় আহত মাদরাসা শিক্ষকের সঙ্গে গত বুধবার ফোনে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই শিক্ষক এবং তার সঙ্গে থাকা আরও দুই ট্রেনযাত্রীকে রাজ্য সরকার ৫০ হাজার টাকা করে দেবে বলে জানান তিনি। গত ২০ জুন ট্রেনে ক্যানিং থেকে শিয়ালদহের দিকে আসার পথে বালিগঞ্জ ও পার্ক সার্কাসের মধ্যে বছর কুড়ির এক যুবককে তার পোশাক ও ধর্মবিশ্বাসের জন্য কটুক্তি, মারধর এবং পরে ধাক্কা দিয়ে প্ল্যাটফর্মে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বালিগঞ্জ জিআরপিতে অভিযোগ দায়ের হলেও পুলিশ অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশি সূত্রের খবর, আক্রান্ত যুবকের নাম শাহরুক হালদার। তার বাড়ি বাসন্তী থানার চুনাখালি গ্রামে। তিনি হুগলিতে একটি বেসরকারি মাদরাসায় পড়ান। এদিন বিধানসভার অধিবেশনের পরে মুখ্যমন্ত্রী নিজের ঘরে বলেন, ‘মাদরাসা শিক্ষকের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। ওই ঘটনায় তিন জনের প্রত্যেককে সরকার ৫০ হাজার টাকা দেবে।’
শাহরুক জানান, সেদিন অন্যদের সঙ্গে তিনি ট্রেনের সামনের দিকের একটি কামরায় উঠেন। তারপর দেখেন একটি ধর্মীয় সংগঠনের কয়েকশ’ সদস্য আগেই সেখানে উঠেছেন। ট্রেন ছাড়ার পর বিভিন্ন স্টেশনে ওই সংগঠনের আরও কিছু সদস্য ওঠেন।
চলন্ত ট্রেনেই তারা কিছুক্ষণের মধ্যে সেøাগান শুরু করেন অনেকে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিও দিতে থাকেন। কিছু পরে শাহরুক ট্রেন থেকে নামার সুবিধার জন্য দরজার কাছাকাছি চলে আসেন। বালিগঞ্জের কাছাকাছি পৌঁছলে পেছনের কামরায় তীব্র হট্টগোলের শব্দ শুনতে পান তিনি। পরে তার কামরাতেও ওই সংগঠনের বেশ কিছু সদস্য ওঠেন।
অভিযোগ, ওই যাত্রীদের একাংশ কামরার অন্য কিছু যাত্রীর ধর্মবিশ্বাস নিয়ে কটুক্তি শুরু করেন। শাহরুককে তার ধর্মীয় পোশাক এবং দাড়ি নিয়ে কটুক্তি করা হয়। তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করানোর হুমকিও দেওয়া হয় বলে শাহরুকের অভিযোগ।
তিনি জানান, কটুক্তির প্রতিবাদ করায় ওই সংগঠনের এক সদস্য তার গলা চেপে ধরেন। বচসার মধ্যে একজন তার ডান চোখে ঘুষি মারেন। তাকে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে বলা হয়। তিনি পড়ে যান। কয়েকজন যাত্রী তাকে ঠেলে দরজার কাছে এনে পার্ক সার্কাস স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেন বলে অভিযোগ।
পরে স্থানীয় কিছু যাত্রী শাহরুরকে তুলে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে কড়েয়া থানায় অভিযোগ জানাতে নিয়ে যান। সেখান থেকেই বিষয়টি জানানো হয় বালিগঞ্জ জিআরপিকে। পুলিশের সাহায্যে সেখানে গিয়ে তিনি অভিযোগ জানান।
তার আগে পার্ক সার্কাসে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে পুলিশ। জিআরপি’র কাছে অভিযোগে ঘটনার কথা লিখলেও ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি বলে জানান ওই শিক্ষক। রাতে তার বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে পুলিশ।
শাহরুক এদিন বলেন, ‘শুধু আমার নয়, ওইদিন আরও কিছু যাত্রীর একই অভিজ্ঞতা হয়েছে। বিপন্ন বোধ করছি। তবে এই নিয়ে আর সংবাদমাধ্যমে হইচই চাই না। আমি দ্রæত কাজে ফিরতে চাই।’
পুলিশি সূত্রের খবর, এই নিয়ে বালিগঞ্জ ও সোনারপুর থানায় পৃথক দু’টি অভিযোগ হয়েছে। কেউ গ্রেফতার হয়নি। আক্রান্ত যুবককেও আর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জিআরপি মন্তব্য করেনি। তবে এক বিবৃতিতে ধর্মীয় বিশ্বাস ও পোশাকের জন্য ওই যুবককে নিগ্রহের প্রতিবাদ জানান এসইউসি’র রাজ্য সম্পাদক চÐীদাস ভট্টাচার্য। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।