প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
স্বাধীনচেতা দুরন্ত এক কিশোরী। রিকশাচালক পিতার বড় মেয়ে। মফস্বলে বেড়ে ওঠা নাইমার জীবন তার রঙ তুলির মত বর্ণিল। সমস্ত রঙ মিলেমিশে সেই তুলি দিয়ে অংকিত হয় সুন্দর সুন্দর সব আলপনা। নাইমা আলপনা এঁকে অল্প উপার্জন করে। তাতে তার পরিবারের দুর্দশা দূর হয় না। চোখে স্বপ্ন নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়েন সে। নাইমার জীবনে শুরু হয় নতুন নতুন সব অভিজ্ঞতা। শুরু হয় রিকশাকন্যার এক সাহসী যাত্রা। এমনই একটি গল্পে নির্মিত হচ্ছে ‘রিকশা গার্ল’ নামের একটি সিনেমা।
গাজীপুর অবস্থিত বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটিতে চলছে সিনেমাটির শুটিং। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেলো সিনেমার শুটিং ঘিরে চলছে এক মহাযজ্ঞ। কারণ গল্পের প্রয়োজনে সিনেমাটিতে একটি বস্তির সেটের প্রয়োজন হয়। আর তাই শতাধিক বস্তিঘর তৈরি করার হয়েছে গাজীপুরে অবস্থিত কবিরপুরের ফিল্ম সিটিতে। সত্যিকার বস্তির নির্মাণ করে চলছে শুটিং। এ যেন এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা। আন্তর্জাতিক মানের সিনেমা ‘রিকশা গার্ল’ নির্মিত হচ্ছে মিতালী পার্কিন্স এর বেস্টসেলার বই রিকশা গার্ল অবলম্বনে। সিনেমাটি পরিচালনা করছেন ব্যবসা সফল সিনেমা ‘আয়নাবাজির’ নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী। এতে অভিনয় করছেন নভেরা চৌধুরী, মোমেনা চৌধুরী, গুলশান আরা চম্পা, নরেশ ভূঁইয়া, নাসির উদ্দিন খান, এলেন শুভ্র, অপূর্ব রূপকথা, অশোক বেপারী, নাফিসা জেরিন মৌমি সহ অনেকে।
সিনেমা সম্পর্কে পরিচালক অমিতাভ রেজা চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সবসময়ই মানসম্পন্ন সিনেমা নির্মাণের চেষ্টা করি এবং এখন বাংলাদেশেই আন্তর্জাতিক মানের সিনেমা নির্মিত হচ্ছে। আমরা এমন সব সিনেমা বানাতে চাই যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের নামকে উজ্জ্বল করবে। বাংলাদেশে সাধারণত আমরা দেখি বস্তির শুটিংয়ের প্রয়োজন হলে সবাই বস্তির দিকে ছুটে যায়। কিন্ত গল্পের প্রয়োজনে আমরা শতাধিক বস্তিঘর নির্মাণ করে নিজেরা বস্তির অবয়ব দিয়ে সেট বানিয়েছি। এছাড়াও আমরা বাংলাদেশের কিছু প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সিনেমার শুটিং করেছি।’
অমিতাভ রেজা আরও বলেন, ‘ব্যবসায়ের দিক থেকে আমার পরিচালিত সিনেমার লাভ হোক আর লস হোক এটা আমি দেখবো না। আর আমার দেখার বিষয়ও নয়। এটা দেখবে প্রযোজক। আমার দায়িত্ব হলো ভালো একটি সিনেমা নির্মাণ করে প্রযোজকে বুঝিয়ে দেওয়া। আমি শুধু দর্শকদের শতভাগ চাহিদা মাথায় রেখে সে অনুযায়ী একটি পরিপূর্ণ সিনেমা নির্মাণের জন্য আমার সর্বচ্চো চেষ্টা করছি। আশা করছি আমার চেষ্টা বিফলে যাবে না। দর্শকরাও সিনেমাটি ভালো ভাবেই গ্রহণ করবেন বলেও বিশ্বাস। আমি বিশ্বাস করি দর্শকরা যেভাবে ‘আয়নাবাজি’ দেখেছেন। সাপোর্ট দিয়েছেন, পাশে থেকেছেন। ‘রিকশা গার্ল’কেও তারা পছন্দ করবেন, ভালোবাসা দিবেন। অন্যভাবেও বলা যায়, সিনেমাটি দর্শকদের ভালোবাসা অর্জন করবেই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।