Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিজেপিকে রুখতে বাম-কংগ্রেসকে আহ্বান মমতার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ জুন, ২০১৯, ৭:৩৩ পিএম

লোকসভা নির্বাচনে আশাপ্রদ ফল না হলেও কট্টর বিজেপি বিরোধিতার জায়গা থেকে একচুলও সরেননি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী । বুধবার বিধানসভায় ভাষণ দিতে উঠে, সমস্ত বিরোধিতা ভুলে ফ্যাসিস্ট বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্যে বাম-কংগ্রেসকেও একযোগে হাত মেলাতে আবেদন জানালেন তিনি।

ভাষণে মমতা বলেন, ‘আমরা ২৩টি রাজনৈতিক দল বিজেপির বিরুদ্ধে যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি, সেটা চালিয়ে যেতে হবে। আমাদের জয়েন্টলি আসা দরকার।’ বস্তুত রাজ্যে বামেদের ভোটব্যাংক কেড়ে নিয়েই যে বিজেপির চমকপ্রদ উত্থাণ, তা স্পষ্ট। তাই বাম, সেইসঙ্গে কংগ্রেসকেও তিনি ডাক দিলেন একযোগে। বিধানসভাতে দাঁড়িয়েও এদিন ইভিএম কারচুপির অভিযোগ করেছেন মমতা। তার কথায়, ‘চেষ্টা করেও আমি আমার দলের সব ভোট অন্যদিকে শিফট করাতে পারব না। বড়জোর ৮০ শতাংশ পারব।’ আক্ষেপের সুরেই তিনি বলেন, ‘তৃণমূল সাধারণ মানুষের দল বলেই সহজে চোর-ডাকাত বলে গালাগালি দেওয়া যায়। কিন্তু বিজেপিতে আসলে পুঁজিবাদী জমিদারদের দল।’ সেইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমার দলেও কিছু লোক খারাপ আছে। কিন্তু সেটাও আমাদের শুধরে নিতে হবে।’

জয় শ্রীরাম না বলার জন্যে মাদ্রাসা শিক্ষককে ট্রেন থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন তিনি। সেইসঙ্গে বলেন, ‘বিজেপিকে ভোট দিলে কী হয়, তার প্রমাণ ভাটপাড়া।’ চিটফান্ডের বিষয়ও এদিন মুখ খুলেছেন তিনি। বলেন, ‘২০১৪ থেকে ২০১৯ হল। এবার সিবিআই-কে বলব টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।’

যদিও মমতার আবেদন প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান স্পষ্টতই জানান, ‘বিজেপির সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আমরা একসঙ্গে লড়তে রাজি। কিন্তু বিধানসভায় তৃণমূলের সঙ্গে কোনওরকম আপোষ করা হবে না।’ অপরদিকে মুকুল রায়ের কটাক্ষ, তৃণমূল একলা এরাজ্যে আর কিছু করতে পারবে না বুঝেই এখন বাম-কংগ্রেসকে ডাকছে। কিন্তু তাতেও আর তৃণমূলের কোনও লাভ হবে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ