মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে সংখ্যালঘুরা এখনও হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের হাতে আক্রান্ত হয়ে চলেছেন বলে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর গত শনিবার কংগ্রেসে রিপোর্ট উপস্থাপন করেছে। রিপোর্টে বলা হয়, ভারতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিশেষ করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন হচ্ছে। চরমপন্থী হিন্দু গোষ্ঠীর হাতে বিগত বছরগুলিতে অত্যাচারিত হয়েছেন মুসলিমরা। এমনকি একাধিক হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। এদিকে, এই রিপোর্ট প্রত্যাখান করেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গতকাল রোববার বলা হয়, ভারতে নাগরিকদের অবস্থা কেমন, তা নিয়ে বিদেশিদের বলার কোনও এখতিয়ার নেই। এর আগে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির পক্ষ থেকেও ওই মার্কিন রিপোর্টকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ তকমা দেয়া হয়েছিল।
‘রিপোর্ট অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম, ২০১৮’ শীর্ষক মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘২০১৭ সালেও ভারতে নাগরিকদের ধর্মীয় স্বাধীনতা অবনমনের ধারা অব্যাহত ছিল। ভারতের মতো একটি বহু ধর্ম ও বহু সংস্কৃতির দেশে ওই ঘটনা আগের চেয়ে আরও বেড়েছে। ধর্মের সঙ্গে জাতীয়তাবাদকে মিশিয়ে দেয়ার ঘটনা বেড়েছে। ‘গৈরিকীকরণে’র লক্ষ্যে অ-হিন্দু ও হিন্দু দলিতদের বিরুদ্ধে হিন্দু জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠী ও সংগঠনগুলি হিংসা, হুমকি ও হেনস্থার ঘটনা ওই বছরে আরও বাড়িয়েছে। ধর্মীয় স্বাধীনতা আরো বেশি ক্ষুন্ন হওয়ার ঘটনা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ভারতের ১০টি রাজ্যে। এগুলো হচ্ছে, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, ছত্তীশগঢ়, গুজরাত, ওড়িশা, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থান।’
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, ভারতের মাটিতে বারবার গো-রাজনীতি মাথাচাড়া দিয়েছে। কখনও গো-মাংস রাখার জন্য মুসলিমরা অত্যাচারিত হয়েছেন, কখনও গরু বিক্রি বা হত্যা করার গুজবে প্রহৃত হয়েছেন। এমনকি প্রাণ পর্যন্ত দিতে হয়েছে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের মুসলমানদের ওপর ১৮টি হামলা হয়েছিল এবং নিহত হয়েছিলেন ৮ জন।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সদর দফতরে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে সচিব মাইক পম্পেও বলেন, এই প্রতিবেদন একটি রিপোর্ট কার্ডের মতো ছিল। এই রিপোর্টে বিভিন্ন দেশ মৌলিক মানবাধিকারকে কতটা সম্মান করেছে তা দেখানো হয়েছে। তিনি ভারত প্রসঙ্গে বলেন, ভারত সরকার কখনও কখনও ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং সরকারের সমালোচকদের ওপর হামলা রুখতে ব্যর্থ হয়েছে, তার ফলে গণহত্যার মতো ঘটনাও ঘটেছে।
এই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেছেন, ‘ভারতের মতো একটি সজীব গণতান্ত্রিক দেশে সংখ্যালঘু-সহ প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকারগুলিকে সংবিধানই সুরক্ষিত রেখেছে। সেই অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে কি না, কোনো বিদেশি বা অন্য দেশের সরকারের তার ওপর নজর রাখার প্রয়োজন রয়েছে বলে আমরা মনে করি না।’ তিনি বলেছেন, ‘বৃহত্তম গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ নিয়ে ভারত গর্বিত। একই সঙ্গে দেশের বহুত্ববাদী সমাজব্যবস্থা ও সহিষ্ণুতার প্রতি নিষ্ঠার জন্যেও ভারত গর্বিত।’ সূত্র : এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।