নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এগিয়ে আসলো ঘরোয়া ফুটবল মৌসুম। চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসর শেষ হওয়ার কথা আগামী ৮ আগস্ট। এদিনই শেষ হচ্ছে ঘরোয়া ফুটবলের এবারের মৌসুম। তবে চলতি মৌসুম শেষের আগেই বাফুফে ঘোষণা দিল নতুন মৌসুমের দিনক্ষণ। এবারের মৌসুম শেষ হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহ পরই শুরু হচ্ছে নতুন মৌসুম।
২১ জুলাই বাফুফের নির্বাহী কমিটির সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঘরোয়া ফুটবলের আগামী মৌসুম শুরু হবে ১৬ আগস্ট থেকে। এইদিন ফুটবলারদের দলবদল কার্যক্রম শুরুর মধ্যদিয়ে আগামী মৌসুমের পর্দা উঠছে। বাফুফে খেলা মাঠে গড়ানোর তারিখও নির্ধারণ করেছে। ১৬ আগস্ট শুরু হয়ে দলবদল চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এরপর মৌসুম সূচক টুর্নামেন্ট ফেডারেশন কাপ শুরু হবে ২১ অক্টোবর। বিপিএলের খেলা শুরু দিনক্ষণ ঠিক না হলেও ডিসেম্বরে লিগ শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এক মৌসুম শেষ হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহ পর আরেক মৌসুমের দলবদল শুরু শের ফুটবলে এক ব্যতিক্রমী ঘটনা। তবে দুই মৌসুমের বিরতিটা একটু বাড়তে পারে। বাফুফে ইতোমধ্যে লিগ কমিটিকে তাগিদ দিয়েছে এবারের বিপিএল ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করতে।
বাফুফের মৌসুম এগিয়ে আনার পরিকল্পনা বেশ কয়েকটি কারণে। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের লিগ যেখানে শেষ হয়েছে, সেখানে এখনো চলছে বাংলাদেশের লিগ। তাই আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না বাফুফে। যে কারণে তাদেরকে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ট্রান্সফার উইন্ডোতে মিল থাকে না। বিদেশি ফুটবলার আনতে বেকায়দায় পড়তে হয় ক্লাবগুলোকে। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের টুর্নামেন্টে অংশ নিতে গিয়েও ক্লাবগুলোর নাম ঠিকমতো পাঠানো সম্ভব হয় না বাফুফের। যেমন চলমান এএফসি কাপে ঢাকা আবাহনী খেলছে ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন দলেরই অংশ নেয়ার কথা এই টুর্নামেন্ট। বিপিএল চলমান বলে এএফসি তাদের টুর্নামেন্টে ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন দলকেই খেলার সুযোগ দিয়েছে। এসব ঝামেলার বাইরে আরেকটা সমস্যা হলো আবহাওয়া। অক্টোবরে ফুটবল মৌসুম মাঠে গড়ালে বৃষ্টি এড়িয়েই খেলা চালানো সম্ভব। এটা ভালো ফুটবলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। সব কিছু মিলিয়ে বাফুফে মৌসুম এগিয়ে আনার পরিকল্পনার বিষয়ে ক্লাবগুলোকে চিঠি দিয়ে মতামত চেয়েছিল। জোরালো কোনো আপত্তি ছাড়াই ক্লাবগুলো তাদের মতামত দিয়েছে। বাফুফের সিদ্ধান্তে তারা এক মত। তবে তাদের কিছু বক্তব্য আছে সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে। এই যেমন বিপিএলে যারা অবনমনের শঙ্কায় আছে তারা দোটানায় থাকবে। কারণ, লিগ শেষ না হলে তো তাদের অবস্থান বোঝা যাবে না। তাই তারা কি করবে সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেনা। তবে যাদের অবনমনের শঙ্কা নেই তারা এখন থেকেই নতুন মৌসুমকে সামনে রেখে নিজেদের ঘর গোছানোর কাজ শুরু করতে পারবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।