বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
টাঙ্গাইলের সখিপুরে দ্বিতীয় স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় স্বামী কারাগারে যেতে হয়েছে। শুক্রবার রাতে স্ত্রী লাবনী আক্তার তার স্বামী উপজেলার প্রতিমাবংকী পূর্বপাড়া গ্রামের দারগ আলীর ছেলে শাহাদত হোসেন (৩৫) এর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ১১’র খ ধারায় সখিপুর থানায় মামলা করলে পুলিশ রাতেই তাকে গ্রেফতার করে। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে পরকীয়ার সম্পর্কে উপজেলার দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের কৈয়ামধূ গ্রামের আরফান আলীর মেয়ে লাবনী আক্তারের সাথে একই উপজেলার প্রতিমাবংকী পূর্বপাড়াগ্রামের দারগ আলীর ছেলে শাহাদত হোসেন এর বিয়ে হয়। শাহাদত হোসেন এর এটি দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম স্ত্রীর সন্তানও রয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই লাবনী আক্তারের উপর যৌতুক চেয়ে নানাভাবে শারীারক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে স্বামী শাহাদত হোসেন। এ নিয়ে বেশ কয়েক দফায় বিচার শালিসও হয়েছে। গত ১২ জুন যৌতুকের দাবিতে ঘরের ভেতর আটকিয়ে স্ত্রী লাবনী আক্তারকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে শাহাদত। খবর পেয়ে লাবনীর পরিবারের লোকজন মূমুর্ষূ অবস্থায় লাবনীকে উদ্ধার করে সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে । কিছুটা সুস্থ হবার পর নির্যাতিত লাবনী আক্তার গত ২১ জুন (শুক্রবার) রাতে স্বামীর নির্যাতনের বিচার চেয়ে সখিপুর থানায় মামলা করলে পুলিশ ঐ রাতেই স্বামী শাহাদত হোসেনকে গ্রেফতার করে। মামলার বাদী লাবনী আক্তার জানায়- প্রেমের বিয়ে ছিল আমাদের। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা এনে দিতে আমার উপর নির্যাতন চলতে থাকে। আমি আমার পাষন্ড স্বামীর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মজিবুর রহমান বলেন- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্বামী শাহাদত হোসেনকে গ্রেফতার করে শনিবার টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।