বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গ্যাসের আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া কুমিল্লা মডেল কলেজের শিক্ষক তাহমিনা মুনা'র স্বামী সুমন সালাউদ্দিনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার সিনিয়র বিচারিক ১ নম্বর আমলি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক মাজহারুল হক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে কলেজ প্রভাষক তাহমিনা মুনার মৃত্যু ঘিরে দিনদিন রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। গত রোববার প্রভাষক তাহমিনা মুনার মৃত্যুর পর তার স্বামী আবৃত্তি শিল্পী সালাউদ্দিন সুমনের ভূমিকা নিয়ে নিহতের পরিবার, ভাড়াটিয়া এলাকার প্রতিবেশী কুমিল্লার সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সন্দেহ দেখা দেয়।
কুমিল্লা নগরীর ঝাউতলা এলাকার ভাড়া বাড়িতে গত ৩১ আগস্ট মধ্যরাতে আগুনে দগ্ধ হন কুমিল্লা মডেল কলেজে প্রভাষক তাহমিনা। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রায় এক সপ্তাহ পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪ সেপ্টেম্বর রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মুনার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর পর মুনার স্বামী সুমন বলেন, সেদিন রাত ১টায় চুলায় আগুন জ্বালাতে গিয়ে কেরোসিনের বোতল গায়ে পড়ে অগ্নিদগ্ধ হন মুনা।
কিন্তু মুনার স্বজনদের দাবি, সুমন পরিকল্পিতভাবে মুনাকে হত্যা করেছে। আর এমন অভিযোগ এনে মঙ্গলবার রাত ১টায় সুমনের নামে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন নিহত কলেজ প্রভাষক তাহমিনা মুনার ভগ্নিপতি মো. তরিকুল ইসলাম।
নিহত কলেজ প্রভাষক মুনা কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়াপাড়া এলাকার মোঃ ইদ্রিস মিয়া কন্যা। অভিযুক্ত স্বামী সালাউদ্দিন সুমন কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার হারং ভূঁইয়া বাড়ির বাসিন্দা। এই দম্পতির আড়াই বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সুমন সালাউদ্দিন স্ত্রী কন্যা নিয়ে কুমিল্লা নগরীর ঝাউতলা এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।