দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
মুফতী শাঈখ মুহাম্মদ উছমান গনী : (পূর্ব প্রকাশিতের পর)
১৪. ‘তিনি এমন সহিহ হাদিসের বিপরীত বা বিরোধিতা করেছেন, যে হাদিসের প্রতিক‚ল কোনো হাদিসই নেই; যা অযথার্থ। (এর পর নাসিরুদ্দীন আলবানী বলেন) : “আর এই সর্বশেষ প্রকার ভ্রান্তি সবচেয়ে নিকৃষ্ট ও জঘন্য, যা (আল ফিকহুস সুন্নাহ) এর সঙ্কলক (সায়্যিদ সাবিক) এর জন্য আপতিত হয়েছে। সঙ্কলক মানুষের সুন্নাহ গ্রহণে মনোযোগী হওয়া সত্তে¡ও এমন ভুল করাটা মোটেই সমীচীন নয়। বিশেষত বাস্তবতা হলো নির্দেশিত মাসআলায় মতবিরোধের মাঝে তার উজর হলো কোনো কোনো মাসআলায় জমহূর কর্তৃক (নির্দিষ্টমানের) হাদিস গ্রহণ না করা বা (একই মানের হাদিস) অন্য কোনো মাসআলায় কেউ গ্রহণ করেছেন সে বিষয়ে অবগতি না থাকা। অথচ (তার মতে) এটাই হলো মুকাল্লিদগণের সুন্নাহ রদ করার এবং বিতর্কের মূল বিভ্রমের কারণ (আর তিনি নিজেই এর শিকার হয়েছেন)। ইমাম শাফিয়ীর বাণী সমাগত; যা এই বিভ্রম বাতিল করবে এবং একে সমূলে উৎপাটন করবে। আল্লাহ তাকে উত্তম বিনিময় দিন।” (নাসিরুদ্দীন আলবানী আরো বলেন) :
“আরো একটি নফল কথা উল্লেখ করতে হয়। এই সংশোধনী দ্বারা আমি তার অধিকার খর্ব করতে চাইনি বা তার সম্মানহানি করতে চাইনি। বরং আমার প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো, সাধ্যানুযায়ী হককে হক দ্বারা সাহায্য করা এবং ‘ফিকহুস সুন্নাহ’কে ভুলভ্রান্তি থেকে রক্ষা করা। নিশ্চয় এটি মানুষ তা গ্রহণ করা ও তা থেকে উপকৃত হওয়ার প্রতি আকৃষ্ট করবে। এবং বিরুদ্ধ চিন্তার জিব কেটে দিবে, যাতে হক এর মাধ্যমেও এর মধ্যে কোনো কথা বলতে না পারে এবং বাতিলভাবেও কোনো কথা বলতে না পারে। আশা করি সঙ্কলককে আল্লাহ তাওফিক বৃদ্ধি করবেন, যাতে তিনি এযাবত যা লিখেছেন তার প্রতি পুনরায় দৃষ্টি দিতে পারেন এবং আমি তার যে ভুলগুলো প্রকাশ করেছি তা সংশোধন করতে পারেন। এবং অন্যান্য গ্রন্থের অংশগুলো প্রকাশের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করেন; বরং তার যথার্থতা বিশুদ্ধতা প্রমাণিত হওয়ার পর তা প্রকাশ করেন এবং তাকে যঈফ হাদিসসমূহ হতে মুক্ত করেন। কারণ সহিহ এর মধ্যে এমন শক্তি রয়েছে যা যঈফ থেকে স্বনির্ভরতা দেয়।” (তামামুল মিন্নাহ ফী তালীকি আলা ফিকহিস সুন্নাহ, নাসিরুদ্দীন আলবানী, খÐ-১, পৃষ্ঠা : ১২-১৩)। এতে আলবানী সাহেব সায়্যিদ সাবিককে মাযহাব অনুসারী মুকাল্লিদগণের একই কাতারে নামিয়ে এনেছেন; সাথে সাথে তিনি শাফিয়ী মাযহাবের ইমামের কথায় সমাধানের পথ খুঁজছেন; এতে তিনিও একই কাতারে নেমে এসেছেন, যা তার অন্তর্দ্ব›েদ্বর প্রমাণ। অতঃপর নাসিরুদ্দীন আলবানী উক্ত (তামামুল মিন্নাহ ফী তালীকি আলা ফিকহিস সুন্নাহ) গ্রন্থের ১৫-৪২ (২৮) পৃষ্ঠাব্যাপী নতুন করে উনার নিজস্ব ১৫টি কায়দা উল্লেখ করেছেন। জানি না তার এসব কায়দা আরো কত বেকায়দা তৈরি করছে।
উল্লেখ্য, নাসিরুদ্দীন আলবানী সাহেবের এই সংশোধনী সায়্যিদ সাবিক-এর জীবদ্দশায় প্রদান করা হলেও এই আহলে হাদিস দাবিদার তথাকথিত সহিহ হাদিস অনুসারীগণের শ্রদ্ধেয় মুরব্বি এর কোনোটিরই পরিমার্জন করেননি। আছেন কোনো সালাফী দাবিদার সত্যানুরাগী সৎসাহসী? যিনি এই ভ্রান্তিগুলোর অপনোদন করতে প্রয়াসী হবেন!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।