প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
আমি কখনো ধৈর্য্যহারা হইনি, আমার প্রচন্ড ধৈর্য্য আছে-বললেন জাতীয় চলচ্চিএ পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা মাসুম আজিজ। বাস্তবিকই তিনি অত্যন্ত বিনয়ী, ধৈর্য্যশীল এবং একজন তুখোড় অভিনয়শিল্পী। পাবনায় জন্মগ্রহন করা এই অভিনেতার জীবনে নানা ঝড়, বাধা বিপত্তি এসেছে, তবু দমে যাননি। নিজেকে শূন্য থেকে গড়েছেন, এখনো জীবনযুদ্ধে অবতীর্ণ। এই সময়ে এসে জীবনটা কেমন উপভোগ করেন? মাসুম আজিজ বলেন, ‘আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। অল্প বয়স থেকে অভাব অনটন দেখেছি। ছোটবেলায় একটা পুরো ডিম একা খেতে পারিনি। সবাই মিলে ভাগ করে খেতে হতো, যে কোন একটা তরকারী। জীবনটাকে খুব কাছ থেকে দেখেছি, চিনেছি। জীবনের অলি গলিতে ঢুকেছি। তাই বাস্তবত্ াআমার কাছে বড় বিষয়। তবু সবার দোয়ায় এখন অনেক ভালো আছি, সুখে থাকার চেষ্টা করি’। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে এসে এখন আপনার অভিনয় নিয়ে যদি আপনি বিচার করেন? মাসুম আজিজ বলেন, ‘আমি শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য কাজ করিনা। যেখানে শেখার কিছু থাকবে, বাস্তবতার ম্যাসেজ থাকবে, সে গল্পে আমি নিজেকে তুলে ধরি। তিনি বলেন, গল্প বা চরিত্র ভাবনাকে উন্নত করতে হবে, মন দিয়ে অনুভব করতে হবে। কাজটি যেন মানুষের মনে দাগ কাটে। হৃদয় সম্পর্শ করে। গল্পটাই প্রধান বিষয়, ভালো গল্প হলে অভিনয় করে আনন্দ পাই’। আপনাকে দুঃখ কষ্টের অভিনয়ে বেশি দেখা যায়? কারন কি? এ প্রশ্নের জবাবে মাসুম আজিজ বলেন, ‘কষ্টের গল্পগুলোতে অভিনয়ের জায়গা বেশি থাকে এবং তা কঠিনও। তাই কষ্টের, বাস্তবতার গল্পে অভিনয় করতে করতে অফারও আসে এখন বেশি। এতে করে সিরিয়াস গল্পের অভিনয়ে আমার ভক্ত বা দর্শক বেড়েছে। বাস্তবে আমি বেশ আনন্দ উপভোগ করি। আমি কষ্টে আছি তা নয়, জীবনটা উপভোগ করতে চাই। মৃত্যু নিয়ে ভাবতে চাইনা। শূটিংয়ে গেলে বেশ মজা করি। শূটিংয়ের সবাই আমাকে নিয়ে বেশ মেতে থাকেন। তবে কষ্টের অভিনয়ে দেখা গেলেও, বাস্তবের আমি আনন্দটাই বেশি করি। উল্লেখ্য, মাসুম আজিজ অভিনীত উল্লেখ্যযোগ সিনেমাগুলো হলো, ঘানি, এইতো প্রেম, গহীনে শব্দ, মমতাজ, ভোলা তো যায়না তারে, লালচর, গেরিলা। চার শ’র অধিক নাটকে অভিনয় করেছেন এই গুণী অভিনেতা। তার স্ত্রী সাবিহা জামানও একজন অভিনেএী। অভিনয়ে স্বপ্নের চরিত্র কি পেয়েছেন? সিনেমা পরিচালনায় কি নিয়মিত হবেন? এসব প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখনো স্বপ্নের চরিত্রে কাজ করতে পারিনি। আমার ভেতরেও প্রচুর গল্প আছে। তা প্রকাশ করার সময় পাচ্ছি না। আর সিনেমা পরিচালনা নিয়মিত করবো না। এতো ঝামেলা নিয়ে সৃষ্টিশীল কাজ হয়না। যেখানে নিজের সৃষ্টি, মেধা, পরিশ্রম জিম্মি হয়ে যায়, সেখানে কাজ করে শান্তি নাই’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।