বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আইনি বেড়াজাল পেরিয়ে অবশেষে আগামীকাল মঙ্গলবার হতে যাচ্ছে রাজশাহীর পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনের সরঞ্জামাদি পৌঁছানো শুরু করা হয়েছে। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত শংকা ছিল ফের বুঝি আইনি নিষেধাজ্ঞা আসবে। এদিকে বিএনপি জামায়াতসহ বেশকটি রাজনৈতিক দল ভোট থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ায় ভোট নিয়ে নেই কোন নির্বাচনী উত্তাপ। মোটামুটি নিরুত্তাপ অবস্থায় হতে যাচ্ছে ভোট। যতটুকু উত্তাপ ছড়িয়েছে তা ক্ষমতাসীন দলের নিজেদের মধ্যকার বিরোধ।
পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার জাহিদ নেওয়াজ বলেন, কেন্দ্রে পর্যাপ্ত আইনশৃংখলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও ৪ প্লাটুন বিজিপি এবং এক প্লাটুন র্যাব স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রতি ভোট কেন্দ্রে অস্ত্রধারী ৪ জন পুলিশ এবং ২জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও র্যাব, বিজিপি এবং নির্বাহী ম্যাজিস্টেট নির্বাচনী এলাকায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি বলেন, তেমন ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র নেই তবে নওহাটা, কাটাখালি, পারিলা, বড়গাছি সহ কয়েকটি কেন্দ্রে সমস্যা হওয়ার আশংকা থাকলেও সেগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মুনসুর রহমান এবং ওয়ার্কার্স পার্টির বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আশরাফুল হক তোতা।
পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন এরা হলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি ওয়াজেদ আলী খাঁন, আওয়ামীলীগ নেতা রবিউল জামান বাবলু, এএফএম আহসান উদ্দিন এবং আলমগীর হোসেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী মহিলালীগ নেত্রী সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সুফিয়া বেগম, মহিলালীগ নেত্রী আরজিয়া বেগম এবং রিতা বিবি। মোট ভোট কেন্দ্র ৭৯ টি। মোট ভোটার হচ্ছে ২ লাখ ২৮ হাজার ১৩৭ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।