Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘চেহারা শুধু পোস্টারে দেখছি ভোট দিয়ে লাভ কী’

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০১৯, ১২:০৯ এএম

আর একদিন পর সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হলেও ভোটারদের মাঝে নেই কোন আমেজ। প্রার্থীরা তেমন কোন প্রভাব ফেলতে পারেনি ভোটারদের মাঝে।

১৫ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা। চারজন চেয়ারম্যান, চারজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ছয়জন পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যানসহ মোট ১৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সাধারণ ভোটার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনা করে জানা গেছে, চেয়ারম্যান পদে সরকার দলীয় প্রার্থী আশরাফুল আলম সরকার লেবু (নৌকা), জাপা মনোনীত প্রার্থী আহসান হাবীব খোকন (লাঙ্গল) ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী খয়বর হোসেন সরকার মওলা (ঘোড়া) মধ্যে প্রতিদ্ব›িদ্বতা হবে। এছাড়া অপর প্রার্থী গোলাম আহসান হাবীব মাসুদ (মোটর সাইকেল) পারিবারিক কারণে নির্বাচনে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি।

উপজেলা আওয়ামী লীগ আহবায়ক টিআইএম মকবুল হোসেন প্রামানিকসহ যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল আলম রেজা, মেহেদী মোস্তফা মাসুম, আশরাফুল আলম সরকার লেবু, আওয়ামী লীগ নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টু ও খয়বর হোসেন সরকার মওলা মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা শেষে নৌকার কান্ডারি হন আশরাফুল আলম সরকার লেবু। অন্যারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও খয়বর হোসেন সরকার মওলা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। এতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে সমন্বয়ের অভাব দেখা দিয়েছে। নেতাকর্মীরা বলেন, আওয়ামী লীগের একটি ভোট ব্যাংক রয়েছে। সেই ভোট ব্যাংক কাজে লাগিয়ে নৌকার বিজয় ছিনিয়ে আনতে গেলে সকল নেতাকর্মীকে একসাথে কাজ করতে হবে। উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি আহসান হাবীব খোকনকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়। উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মন্ডল বলেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। তিনি মনে করেন জাতীয় পার্টির রাজনীতি এখন গোছালো রয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগ আহবায়ক কমিটির সদস্য খয়বর হোসেন সরকার মওলা। তিনিও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তারাপুর ইউনিয়নের নিজামখাঁ গ্রামের ভোটার আতাউর জানান, ভোট দিয়ে কি হবে। ভোটের সময় ভাল-ভাল কথা বলে প্রার্থীরা। ভোট শেষ হলে তাদেরকে আর পাওয়া যায় না। সে জন্য তিনি ভোট দিতে অনীহা প্রকাশ করেন। মাইকে প্রচার প্রচারণায় সরগরম হলেও ভোটারদের মাঝে তেমন সারা নেই। মনমত গ্রামের ভোটার বিপুল বলেন, কোন প্রার্থীকেই সরাসরি দেখিনি শুধু পোস্টারে ছবি দেখতেছি ভোট দিয়ে লাভ কি?
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২১৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৬৫ হাজার ৩৪১ ও মহিলা এক লাখ ৭৩ হাজার ৮৭৭ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ১১১টি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উপজেলা পরিষদ নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ