Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুন্দরগঞ্জে সারা নেই ভোটারের, লড়াই হবে ত্রিমুখী

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০১৯, ৪:১৫ পিএম

ঘোষিত তফশীল মোতাবেক ১৮ জুন ভোট সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ। কিন্তু ভোটারদের মাঝে নেই কোন ভোটের আমেজ। চারজন চেয়ারম্যানসহ ১৪ জন প্রার্থী তেমন কোন প্রভাব ফেলতে পারেনি ভোটারদের মাঝে। দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ভোট নিয়ে নেই কোন মাথা ব্যথা।
১৫ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা। এখানে কমপক্ষে সাত লাখ মানুষের বসবাস। চারজন চেয়ারম্যান, চারজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ছয়জন পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যানসহ মোট ১৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ফিরে সাধারণ ভোটার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনা করে জানা গেছে, চেয়ারম্যান পদে সরকার দলীয় প্রার্থী আশরাফুল আলম সরকার লেবু (নৌকা), জাপা মনোনীত প্রার্থী আহসান হাবীব খোকন (লাঙ্গল) ও আ’লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী খয়বর হোসেন সরকার মওলা (ঘোড়া) মধ্যে প্রতিদ্বদ্বিতা হবে। এছাড়া অপর প্রার্থী গোলাম আহসান হাবীব মাসুদ (মোটর সাইকেল) পারিবারিক কারণে নির্বাচনে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। তবে ৫ম ধাপের এই উপজেলা নির্বাচনে ভোটার ও প্রার্থীর মধ্যে কোন উৎসাহ ও উদ্দীপনা নেই।

উপজেলা আ’লীগ আহবায়ক টিআইএম মকবুল হোসেন প্রামানিকসহ যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল আলম রেজা, মেহেদী মোস্তফা মাসুম, আশরাফুল আলম সরকার লেবু, আ’লীগ নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টু ও খয়বর হোসেন সরকার মওলা মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা শেষে নৌকার কান্ডারি হন আশরাফুল আলম সরকার লেবু। অন্যারা নির্বাচন থেকে সরে দাড়ালেও খয়বর হোসেন সরকার মওলা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। সে কারণে আ’লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে সমন্বয়ের অভাব দেখা দিয়েছে। আ’লীগ যুগ্ম আহবায়ক সাজেদুল ইসলাম বলেন আ’লীগের একটি ভোট ব্যাংক রয়েছে। সেই ভোট ব্যাংক কাজে লাগিয়ে নৌকা মার্কার বিজয় ছিনিয়ে আনতে গেলে সকল নেতাকর্মীকে একসাথে কাজ করতে হবে। উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি আহসান হাবীব খোকনকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়। উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মন্ডল বলেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনিত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। তিনি মনে করেন জাতীয় পার্টির রাজনীতি এখন গোছালো রয়েছে। সে কারণে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদি সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে আ’লীগ মনোনিত প্রার্থী আশরাফুল আলম সরকার লেবু ও জাপা মনোনিত প্রার্থী আহসান হাবীব খোকন স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম আহসান হাবীব মাসুদ একই ইউনিয়নের বাসিন্দা। স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আ’লীগ আহবায়ক কমিটির সদস্য খয়বর হোসেন সরকার মওলা। তিনিও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদি। তারাপুর ইউনিয়নের নিজামখাঁ গ্রামের ভোটার আতাউর জানান, ভোট দিয়ে কি হবে। ভোটের সময় ভাল-ভাল কথা বলে প্রার্থীরা। ভোট শেষ হলে তাদেরকে আর পাওয়া যায় না। সে জন্য তিনি ভোট দিতে অনিহা প্রকাশ করেন। মাইকে প্রচার প্রচারনায় সরগরম হলেও ভোটারদের মাঝে তেমন সারা নেই। মনমত গ্রামের ভোটার বিপুল বলেন কোন প্রার্থীকেই সরাসরি দেখিনি শুধু পোস্টারে ছবি দেখতেছি। ভোট দিয়ে লাভ কি।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২১৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৬৫ হাজার ৩৪১ ও মহিলা এক লাখ ৭৩ হাজার ৮৭৭ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ১১১টি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উপজেলা পরিষদ নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ