মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মূর্তি ভেঙে বিদ্যাসাগরকে ও বর্ণপরিচয়কে মোছা যায় না। বাংলার সংস্কৃতি ভুলিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত হচ্ছে। মঙ্গলবার হেয়ার স্কুলে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মূর্তি উন্মোচনের পরে ভাষণে এমনই মন্তব্য করলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু বিদ্যাসাগর প্রসঙ্গে অবশ্য সীমাবদ্ধ থাকলেন না মুখ্যমন্ত্রী এ দিন। টেনে আনলেন সন্দেশখালি প্রসঙ্গও। বিজেপির যে ২ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে, তারা তৃণমূলের কর্মী কায়ুমকে মারতে তার গ্রামে গিয়েছিলেন বলে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন মন্তব্য করেছেন।
মঙ্গলবার হেয়ার স্কুলের মাঠে মূল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই মঞ্চেই বিদ্যাসাগরের নতুন মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন মমতা। মন্ত্রী, আমলা, শিক্ষাবিদরা ছাড়াও সে মঞ্চে হাজির ছিলেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, আবুল বাশার, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়িদের মতো বিদ্বজ্জনরাও।
বর্ণপরিচয়ের মলাটের আদলেই এ দিন সাজানো হয়েছিল অনুষ্ঠান মঞ্চ। ওই একই রঙে তোরণ তৈরি করা হয়েছিল বিদ্যাসাগর কলেজের সামনেও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন নিজের ভাষণের শুরুর দিকেই বলেন, ‘আজকের এই অনুষ্ঠানটার প্রয়োজন হয়তো ছিল না। কিন্তু প্রয়োজনটা একটা বিশেষ কারণে হয়েছে। এটা বুঝিয়ে দেওয়া দরকার যে, বাংলা ফেলনা নয়, বাংলা খেলনা নয় আর বাংলা ছেলের হাতের মোয়াও নয়।’
গত ১৪ মে উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিংহের হয়ে ধর্মতলা থেকে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি পর্যন্ত রোড শো করেছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। শুরুতে কোনও গোলমাল না থাকলেও অমিত শাহের রোড শো কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছতেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে বিক্ষোভরত ছাত্রদের সঙ্গে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ছোটখাটো সংঘর্ষ হয়। দু’পাশ থেকে উড়ে যেতে থাকে ইট-পাটকেল বা জলের বোতল। যে ট্রাকের উপরে অমিত শাহ ছিলেন, সেটিকে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যান নিরাপত্তারক্ষীরা। কিন্তু ঠনঠনিয়ার কাছে বিদ্যাসাগর কলেজের গেটের সামনে আবার গোলমাল শুরু হয়। অমিত শাহকে কালো পতাকা দেখানোর জন্য সেখানেও জড়ো হয়েছিলেন কিছু ছাত্র। তারা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী বলেই জানা গিয়েছিল। তাদের সঙ্গেও বিজেপি কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। বিদ্যাসাগর কলেজ চত্বর রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল। সংঘর্ষের পরে দেখা গিয়েছিল চুরমার হয়ে পড়ে রয়েছে বিদ্যাসাগরের মূর্তি।
মূর্তি ভাঙার দায় সে রাতেই বিজেপির উপরে চাপিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সে অভিযোগ নস্যাৎ করে বিজেপি বলেছিল, নিজেরা মূর্তি ভেঙে বিজেপির উপরে দোষ চাপাচ্ছে তৃণমূল। কে ভাঙল মূর্তি, তা নিয়ে চাপানউতোর এখনও অব্যহত। তবে এ দিনের সরকারি অনুষ্ঠান থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের বিজেপির উপরেই দায় চাপিয়েছেন। ‘এটা ভাঙা নয়, এটা আমাদের কৃষ্টিতে আঘাত করা, সংস্কৃতিতে আঘাত করা, জাগরণে আঘাত করা।’ মঙ্গলবার এই মন্তব্যই করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার সংস্কৃতিকে ভুলিয়ে দেওয়ার একটা চক্রান্ত চলছে বলে মমতা এ দিন অভিযোগ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।