পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফেনীর সোনাগাজী ফাজিল মাদরাসার আলীম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার ঘটনায় ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের জামিন না’মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল সোমবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এ আদেশ দেন। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী ২০ জুন ধার্য করা হয়েছে। আদালত নুসরাত হত্যায় গ্রেফতারকৃত ২১ জনের মধ্যে পাঁচজনকে অব্যাহতি দিয়েছেন। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে, সোনাগাজী সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার বহিস্কৃত প্রিন্সিপাল সিরাজউদ্দৌলা, সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রুহুল আমিন (৫৫), সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিলর ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাকসুদ আলম (৫০), নুর উদ্দিন (২০), শাহাদাত হোসেন শামীম (২০), সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের (২১), জাবেদ হোসেন (১৯), হাফেজ আবদুল কাদের (২৫), আফছার উদ্দিন (৩৩), কামরুন নাহার মণি (১৯), উম্মে সুলতানা পপি (১৯), আবদুর রহিম শরীফ (২০), ইফতেখার উদ্দিন রানা (২২), ইমরান হোসেন মামুন (২২), মোহাম্মদ শমীম (২০) ও মহিউদ্দিন শাকিল (২০)।
ফেনী জেলা জজ আদালতের (পিপি) বাবু প্রিয়রঞ্জণ দত্ত জানান, কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে নুসরাত হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার ২১ আসামিকে গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আদালতে তোলা হয়। এ সময় আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ১৬ আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে দেয়া চার্জশিট আমলে নেন। আগামী ২০ জুন চার্জ গঠনের দিন ধার্য করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, নুসরাত হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন, কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, প্রভাষক আবসার উদ্দিন, মো. শামিম, ইফতেখার উদ্দিন, নূর উদ্দিন জামিন চাইলে আদালত তাদের জামিন আবেদন না’মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার নুসরাতের সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন ও শাহিদুল ইসলামের নাম চার্জশিটে না থাকায় তাদের মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়।
আদালত সূত্র জানায়, গত ২৮ মে মামলার অভিযোগপত্র ও ৭২২ পৃষ্ঠার নথিটি ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচার বিভাগীয় হাকিম জাকির হোসাইনের আদালতে দাখিল করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কর্মকর্তারা। সেদিন বিচারক অভিযোগপত্রটি পর্যবেক্ষণ করে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুন-উর রশিদের আদালতে পাঠিয়ে দেন। এরপর গত ৩০ মে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে আসামিদের হাজির করা হলেও বিচারক সেদিন অভিযোগপত্র গ্রহণের ওপর শুনানি না করে ১০ জুন শুনানির তারিখ ধার্য করেন। অভিযোগপত্রে ১৬ জনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের সুপারিশ করে মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই। মামলার তদন্তকারী কর্তাকর্তা শাহ আলম গত ২৮ মে এই চার্জশিট জমা দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।