মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসার পর মালদ্বীপ দিয়ে বিদেশ সফর শুরু করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার দেশটিতে পৌঁছে স্থাপিত কোস্টাল সার্ভিলেন্স রাডার সিস্টেমেরও উদ্বোধন করেন তিনি।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, ওই রাডার উদ্বোধনের মাধ্যমে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনা নৌবাহিনীর গতিবিধির ওপর নজর রাখার প্রশ্নে এক ধাপ এগিয়ে গেল নয়া দিল্লি।
খবরে বলা হয়েছে, দীর্ঘকাল ধরে ঝুলে থাকা কোস্টাল সার্ভিলেন্স রাডার সিস্টেমের উদ্বোধন করেন মোদি ও মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মহম্মদ সোলি। ভারত ইলেকট্রনিক্সের তৈরি এই রাডারগুলি গত বছরই বসানো হয়ে যায়। কিন্তু মালদ্বীপের তৎকালীন চিনপন্থী সরকার সেগুলিকে চালু করতে দেয়নি। নভেম্বরে সোলি আসার পর ফের এই কাজ শুরু হয়।
আনন্দবাজার বলছে, শনিবার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সই হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। তার মধ্যে রয়েছে দুই দেশের নৌ চলাচল এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত তথ্য বিনিময় চুক্তি, জলবিজ্ঞান এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সহযোগিতা চুক্তি, প্রশাসনিক সংস্কারের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা বাড়ানোর জন্য সমঝোতা চুক্তির মতো বিষয়গুলি।
কূটনীতিকরা বলছেন, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অত্যন্ত সুবিধাজনক পকেটে এই রাডার সফলভাবে বসাতে পারার বিষয়টি চীনকে চাপে রাখার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সম্পদ (স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসেট) হয়ে থাকল। মোট দশটি রাডার তৈরি করে বসানো হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলের কথায়, ‘ভারত মহাসাগরে এই দ্বীপরাষ্ট্রের একটি নিজস্ব অর্থনৈতিক ক্ষেত্র রয়েছে। সেটির নিরাপত্তার জন্য ওই রাডার সিস্টেম কাজ করবে।’
সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু মালদ্বীপের উপকারের জন্য নয়, সমুদ্রপথে নজরদারি বাড়াতেই মালদ্বীপের জমিকে কাজে লাগালো ভারত। দুই বছর আগে এই এলাকায় চীনা সামরিক সাবমেরিন ঢুকে পড়েছিল। বেইজিংয়ের সঙ্গে ডোকলাম সংঘাত চলার সময় ৭টি সাবমেরিন এবং সমরসজ্জায় সজ্জিত ১৪টি যুদ্ধজাহাজ ভারত মহাসাগরের এই অঞ্চলে ঢুকে পড়ার অনেক পর টের পায় ভারত। তবে প্রশ্ন উঠছে, এই রাডার বসানোর পর অদূর ভবিষ্যতে যদি চীনপন্থী সরকার মালদ্বীপে আসে, তা হলে এই ব্যবস্থা ভারতের কাছে বুমেরাং হয়ে উঠবে না তো?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, না তা হবে না। কারণ এগুলি বানিয়েছে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এবং এগুলির দূর নিয়ন্ত্রণ থাকবে পুরোপুরি ভারতের হাতেই। কোনো সঙ্কট তৈরি হলে ভারত এককভাবে এগুলির কাজ বন্ধ করে দিতে পারে। আর সেটা নাকি চুক্তিতেই উল্লেখ রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।