গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ জরমনদী গ্রামের একটি বাঁশঝাড় থেকে নিখিল চন্দ্র বর্মণ (৪৮) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে ওই গ্রামের মৃত ক্ষেত্র মোহন বর্মণের ছেলে নিখিল চন্দ্র বর্মনের ঝুলন্ত লাশ তারই বাড়ির পাশের বাঁশঝাড়ে দেখতে পায় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ নিখিল চন্দ্রের মরদেহ উদ্ধার করে লাশের সুরুত হাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। নিখিল চন্দ্র শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ থাকলে তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর সকালে বাঁশঝাড়ের একটি বাঁশের সঙ্গে তার গলায় শার্ট পেঁচানো অবস্থায় মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে থানা অফিসার ইনচার্জ এসএম আব্দুস সোবহান বলেন, নিখিল চন্দ্র বর্মণ সুদে ব্যবসা করতেন। তিনি ২০/২৫ লাখ টাকা মানুষের কাছ থেকে পাওনাদার ছিলেন। সে টাকার লেনদেনের জের ধরে এ হত্যাকান্ডের সূত্রপাত ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে নিহতের বড় ভাই নারায়ণ চন্দ্র বর্মণ বাদী হয়ে একটি মামলার করার প্রস্তুতি চলছে।