দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দী অবস্থায় ঈদ অতিবাহিত করছেন। প্রিয় নেত্রীকে কারাগারে রেখে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারছেন না দলটির নেতাকর্মীরা। তাই ঈদুল ফিতরের দিনেও
বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন তারা। বুধবার (৫ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় নয়াপল্টনস্থ
বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে অবিরাম বৃষ্টির মধ্যে একটি বিক্ষোভ মিছিল নাইট এ্যাঙ্গেল মোড় ঘুরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। এতে নেতৃত্ব দেন
বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট
রুহুল কবির রিজভী।
মিছিল শেষে বক্তৃতায় রিজভী আহমেদ বলেন, দেশ ও জনগণ আজ বাকশালী কারাগারে বন্দী। একদলীয় শাসনের চিরস্থায়ীত্ব দেয়ার জন্যই
বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করা হয়েছে। কর্তৃত্ববাদী শাসন দীর্ঘস্থায়ী করতেই গণতন্ত্রকে কবর দেয়া হয়েছে। গত ৩০ ডিসেম্বররের নির্বাচন ২৯ ডিসেম্বর রাতেই সমাপ্ত করা হয়েছে। সর্বকালের সেরা জাল-জালিয়াতির এই নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্যই আপোষহীন দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। আজ ঈদের দিন, উৎসবের দিন অথচ এই ঈদের প্রাককালে জনগণের প্রত্যাশা ছিল অন্যায়ভাবে কারাবন্দী করে রাখা দেশনেত্রীকে মুক্তি দেওয়া হবে। কিন্তু সরকার দেশনেত্রীর মুক্তি নিয়ে এক সর্বনাশা খেলায় মেতেছে। দেশকে চিরদিনের মতো আওয়ামী খাচায় বন্দী করে রাখার জন্য গণতন্ত্রেকে ধ্বংশস্তুপে পরিনত করার চূড়ান্ত লক্ষ্য হিসেবে বেগম জিয়া বন্দী শালায় রাখা হয়েছে।
রিজভী আহমেদ বলেন, এই বন্দীশালা ভেঙ্গে দেশনেত্রীকে মুক্ত করে আনতে হবে। দেশনেত্রীর জীবন নিয়ে সরকারের মাষ্টারপ্লানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে সকলকে। দেশের স্বাধীনতার সর্বভৌমত্ব ও গনতন্ত্র রক্ষার জন্যই দেশনেত্রীর মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। কারণ এই সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততোদিন দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ক্রমানয়ে দূর্বল থাকবে। লুটেরাদের আধিপত্য থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে গণতন্ত্রের প্রতিক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্যই ঝড়-বৃষ্টি-প্রখর খরতাপ উপেক্ষা করে সকলের রাজপথে উপস্থিতি অপরিহার্য। সাধারণ মানুষের জীবন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এই সরকারের পতন ঘটিয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবন্ধ হতে হবে।
তিনি বলেন, গুম-খুন-ক্রসফায়ার-অপরন-ভয় ও সঙ্কার বর্তমান এই দুঃসময় অতিক্রম করতে হবে। গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে। ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য রাজপথ হবে আমাদের একমাত্র ঠিকানা।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ
বিএনপি’র যুগ্ম
সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান নাদিম, তাঁতী দল কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক- আবুল কালাম আজাদ, সদস্য সচিব- হাজী মুজিবুর রহমান, মৎস্যজীবী দল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব- আব্দুর রহিম সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক- নাদিম চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের
সাধারণ সম্পাদক- গোলাম মাওলা শাহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনি: সহ সভাপতি রফিক হাওলাদার, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক- আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, মহানগর পূর্বের সাংগঠনিক সম্পাদক- রবিউল ইসলাম নয়নসহ অঙ্গসংগঠের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।