Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ভারতের জিএসপি সুবিধা বুধবার বাতিল হচ্ছে

মোদিকে যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম নির্বাচনে জয়ের পর শপথ অনুষ্ঠানে এসেছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। আর এবার দ্বিতীয় দফায় শপথের দিনে মিলল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের হুঁশিয়ারি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার হুমকি সত্তে¡ও রাশিয়ার কাছ থেকে অত্যাধুনিক এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কিনছে ভারত। আর এই কারণেই যত রাগ যুক্তরাষ্ট্রের। এর আগে ২০১৪ সালে চীন এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পেয়েছে রাশিয়ার কাছ থেকে। ট্রাম্পের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, মস্কোর কাছ থেকে দিল্লির এস-৪০০ কেনার সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমরা মানতে পারছি না। এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এ কারণে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে ‘গুরুতর প্রভাব’ পড়বে। গত বছর ৫ অক্টোবর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের সময় ৫০০ কোটি ডলার দিয়ে ওই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনা নিয়ে দুই পক্ষের চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছেন, ৫ জুন থেকে ভারতকে দেয়া অগ্রাধিকারমূলক বাজারসুবিধা (জিএসপি) বাতিল করছে যুক্তরাষ্ট্র। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এত দিন ভারত এই বিশেষ মর্যাদা পেত। এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই সুবিধা বাতিলের কথা জানানো হয়। জিএসপি যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় বাণিজ্য সুবিধা। এর মাধ্যমে উন্নয়শীল অর্থনীতির দেশগুলোকে বিনা শুল্কে শত শত পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ঢোকার অনুমতি দেয়া হয়।
নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে গত শুক্রবার ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা যে ধরনের বাণিজ্যিক সুবিধা ভারতকে দিয়ে থাকি, তার সমতুল ও গ্রহণযোগ্য কোনো কিছু দেয়ার ব্যাপারে পাল্টা আশ্বাস পাইনি। আর তাই ৫ জুন থেকে উন্নয়শীল দেশ হিসেবে এই বিশেষ মর্যাদা ভারত পাবে না।’
জিএসপি ব্যবস্থাপনার সুবিধা যে কটি দেশ পেত, তার মধ্যে ভারতের উপকার হতো সবচেয়ে বেশি। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, শুধু ২০১৭ সালে ৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠায় ভারত। কিন্তু এবার বন্ধ হচ্ছে সেই রাস্তা। ২০১৭ সালে তুরস্ক ছিল পঞ্চম বৃহত্তম সুবিধাপ্রাপ্ত দেশ।
গত মার্চ মাসে ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে বলা হয়, তারা এই বিশেষ মর্যাদা শেষ করার পক্ষে। কিন্তু কূটনৈতিক মহলের একাংশ মনে করেছিল, নরেন্দ্র মোদি আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন প্রশাসনের সুসম্পর্কের কথা সবাই জানেন। এ অবস্থায় এমন কোনো সিদ্ধান্ত হবে না। তবে শেষমেশ সেটাই হলো। মার্কিন প্রশাসনের এক কর্তা বৃহস্পতিবার বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি নতুন করে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। এতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও সুগম হবে। কিন্তু মার্চ মাসে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল, তা পরিবর্তনে তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। আমার মনে হয়, বিষয়টি ইতিমধ্যেই পাকা হয়ে গেছে। এখন শুধু এটাই দেখার যে আগামী দিন বিষয়টি আমাদের তরফ থেকে কীভাবে করা হয়।’ সূত্র : এনডিটিভি।



 

Show all comments
  • MAK ২ জুন, ২০১৯, ১:২৮ এএম says : 0
    এবার মনে হচ্ছে ট্রাম্প একটা রিয়েল মাল। আমেরিকাকে দাদা না বানিয়ে ছাড়বে না। চীন দিয়ে শুরু, তারপর মেক্সিকো, এখন ভারত। দেখা যাক, পরবর্তীতে কে... খেলা মাত্র শুরু।
    Total Reply(0) Reply
  • Omar Shaheen ২ জুন, ২০১৯, ১:২৮ এএম says : 0
    সুখবর ঈদ উপলক্ষে মোদির জন্য আমেরিকার প্রথম বাঁশ উপহার...
    Total Reply(0) Reply
  • Sougata Thakur ২ জুন, ২০১৯, ১:২৯ এএম says : 0
    এই নিয়ে ৪৬ বার এই ঘোষনা করলো..দেখা যাক , বাতিল করতে পারে কিনা ।
    Total Reply(0) Reply
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২ জুন, ২০১৯, ১:২৯ এএম says : 0
    পরোক্ষভাবে হলেও বাংলাদেশের সুবিধা হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Saif ২ জুন, ২০১৯, ১:২৯ এএম says : 0
    ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা যে ধরনের বাণিজ্যিক সুবিধা ভারতকে দিয়ে থাকি, তার সমতুল ও গ্রহণযোগ্য কোনো কিছু দেওয়ার ব্যাপারে পাল্টা আশ্বাস পাইনি" !!!! ধান্দা ছাড়া বন্ধুত্ব নয়...আবার প্রমাণ দিলো আম্রিকা...
    Total Reply(0) Reply
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২ জুন, ২০১৯, ১:৩০ এএম says : 0
    মোদী জি ট্রাম্প কে চাই বানাই দিবে আবার সব সমস্যা ফিক্স হয় যাবে জাস্ট মোদির হাতে চা এর দরকার লাগছে.
    Total Reply(0) Reply
  • Md Nasim Wahid ২ জুন, ২০১৯, ১:৩০ এএম says : 0
    ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ায় আনন্দে এক দাদার বুনো উল্লাস দেখেছিলাম সেদিন.... আজ উনার অনুভূতি জানতে ইচ্ছা হচ্ছে
    Total Reply(0) Reply
  • ABDUL MAJID QUAZI ২ জুন, ২০১৯, ১:৩০ এএম says : 0
    বিদেশী পন্যের উপর যে কর আরোপ করা হয় তা পরোক্ষভাবে দেশের ভোক্তারাই মূল্য হিসাবে পরিশোধ করে। দেশের জনগণ সে হ্রাসকৃত মূল্যে কিনত তা বাড়বে। হয়ত করারোপ করায় মূল্য বৃদ্ধিতে চাহিদা হ্রাস পাবে। কিন্তু খুব প্রয়োজনীয় জনপ্রিয় দ্রব্যের আমদানি ঠিকই থাকতে পারে।
    Total Reply(0) Reply
  • Z.Rahman ২ জুন, ২০১৯, ১:৩১ এএম says : 0
    যারা মোটা অংকের টাকা পারমাণবিক অস্ত্রের পেছনে ব্যয় করে সেই ভারত পাকিস্তানকে কোনো শুল্ক মুক্ত সুবিধা দেয়া উচিত নয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Rashidullah ২ জুন, ২০১৯, ১:৩১ এএম says : 0
    বানিজ্য সুবিধা একতরফা যুক্তরাষ্ট্র এযাবৎ দিয়ে আসছে এটা দীর্ঘদিন চলতে পারে না। উভয়ের জন্যে সমান সুবিধা হতে হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ